১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৭:৪৮

আবরারের মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন ও জাবির শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পক্ষে-বিপক্ষের আন্দোলনরত শিক্ষকদের দুই গ্রুপই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। অপর দিকে, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনও কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল রাজধানীর শিশু একাডেমিতে ‘আন্তর্জাতিক শিশু কন্যা দিবস-২০১৯’ অনুষ্ঠান শেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকারের অবস্থান বিষয়ে জানতে চাইলে উপমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অপর একটি পক্ষও পাল্টা অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। ভিসির পক্ষ-বিপক্ষের অভিযোগগুলো অবশ্যই তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপমন্ত্রী বলেন, জনগণের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়। সেখানে শিক্ষকদের নিজেদের স্বার্থে ও আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে এটা কখনো হতে পারে না। কোন নৈতিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করা হলো সেটি শিক্ষকদের কাছে জানতে চাই। শিক্ষকদের জবাব দিতে হবে। জনগণের অর্থে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়। একটা সন্দেহ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে এটা কেমন কথা? সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে এ প্রশ্ন রাখতে চাই।

অপর দিকে, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, কলেজ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তারা যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তা নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) নাজমুল হক নয়া দিগন্তকে বলেন, রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের হাতে এসেছে।

প্রতিবেদনে পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামীতে কোনো প্রতিষ্ঠান কলেজ ক্যাম্পাসে কোনো অনুষ্ঠানের আগে বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ থেকে অবশ্যই ছাড়পত্র নিতে হবে। উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রতিষ্ঠানটির নবম শ্রেণীর দিবাশাখার শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাত মারা যায়। এ ঘটনায় আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে শিক্ষার্থীরা।

আবরারের সহপাঠীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা চেপে রেখে আবরারকে কলেজের পাশের কোনো হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার খবর গোপন করে অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া হয়।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/455712/