১ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:১৪

মধ্যরাতে গ্রেফতার সকাল বেলায় লাশ

বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফারুক মিয়া নামে এক আসামির মৃত্যুর ঘটনায় হবিগঞ্জ শহরে তোলপাড় চলছে। পুলিশ বলছে গ্রেফতারের কারণে আতঙ্কিত হয়ে আসামি ফারুক মিয়া হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহতের পরিবারের দাবিÑ মধ্য রাতে গ্রেফতারকালেই পুলিশ ফারুক মিয়াকে নির্যাতন শুরু করে। থানায় নিয়ে আসার পরও তাকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনেই ফারুক মিয়া মারা যান। আর ডাক্তার মিঠুন রায় বলেছেন- নিহত ফারুক মিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া বলা যাবে না।

নিহত ফারুক মিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়- মাত্র ১৫ হাজার টাকার একটি চেক ডিজওনার মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিলেন হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সঞ্জব আলীর ছেলে ফারুক মিয়া (৪৫)। পুলিশ রোববার রাত ২টার দিকে আসামি ফারুক মিয়াকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে। নিহতের ছেলে কলেজছাত্র সাইদুল ইসলাম ও মাসুক মিয়া জানান, গ্রেফতারকালেই পুলিশ তাদের বাবাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন করতে করতে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে সকাল বেলায় তার বাবা অজ্ঞান হয়ে পড়লে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। থানাহাজতে ফারুক মিয়ার সাথে তার পরিবারের কাউকে দেখাও করতে দেয়া হয়নি।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিঠুন রায় জানান, নিহত ফারুক মিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া কিছু বলা যাবে না। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান। হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মাসুক আলী জানান- কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছেন- গ্রেফতারের পর ফারুক মিয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ফলে হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে যে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা সত্য হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/444524/