১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রবিবার, ১২:২৯

এখনও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে যাচ্ছে ৫ শ’র বেশি

ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমলেও প্রতিদিন ৫শ’র বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫২৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ২২ শতাংশ কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ৫২৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ছিল ৬৭৩ জন।

গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে রাজধানীর মাত্র ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ২৮৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। ক্রমেই এই সংখ্যা কমে আসছে। একই সময়ে ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৭১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

সারাদেশে মোট ভর্তি রয়েছে ২ হাজার ৯৯৬ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে আর নতুন ১৫৬ জন ভর্তি হয়েছে ও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫৩ জন এবং ঢাকার বাইরে আরও ৩৭১ জন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে এবং ছাড়পত্র পেয়েছে ২৭৮ জন।

এদিকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) কাছে ডেঙ্গু সন্দেহে ২০৩টি মৃত রোগীর তথ্য এসেছে। এরমধ্যে ১০১টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ৬০টি ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। এ সংখ্যা এখনও সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। হাসপাতলে ভর্তি হয়ে মৃত ৬০ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে এপ্রিলে ২, জুনে ৫, জুলাইয়ে ২৮ এবং আগস্ট মাসে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। তাছাড়া এবারের ডেঙ্গুতে শিশুমৃত্যুর হারও সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে আইইডিসিআর সূত্রে। সরকারের এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মতে, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত মৃত্যুর ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশের বয়সই ১৮ বছরের নিচে। যাদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ৫ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। যা মোট মৃত্যুর ২৩ দশমিক ১ ভাগ।

ডেঙ্গুতে নিশ্চিত মৃত ৬০ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করে আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞরা জানান, ৬০ জনের মধ্যে ৪০ জনের ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম এবং ৭ জনের হেমোরেজিক জ্বর ছিল। ২৩ জনের মধ্যে এর আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া মৃতদের মধ্যে ২১ জনের বয়সই ১৮ বছরের নিচে।

এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে মাসে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৬ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসের ১১ দিনে ৯ হাজার ৪৭০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে ২০১৯ সালেই সর্বোচ্চ ডেঙ্গুতে আক্রান্তের রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে যার। মধ্যে জুলাই মাসে ছিল সর্বোচ্চ।

রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৪, মিটফোর্ডে ২২, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ২, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১৫, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ৪ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ৭ এবং কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারী হাসপাতাল সহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ১০৮ জন ভর্তি রয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ৪৮ জন।
ঢাকা শহর ব্যতীত ঢাকা বিভাগের অন্য এলাকায় ৭৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬, খুলনায় ১৪৩, রংপুরে ৮, রাজশাহীতে ৩০, বরিশালে ৪৯, সিলেটে ৯ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের পর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮০ হাজার ৫৬৭ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৭৭ হাজার ৩৬৮ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের ৯৬ ভাগ রোগীই ছাড়পত্র পেয়েছেন।
জুলাইয়ের পর এক দিনে সবচেয়ে কম ডেঙ্গু রোগী : সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা) পর্যন্ত নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫২৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইমার্জেন্সি হেলথ অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বলছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পর জুলাই থেকে এ পর্যন্ত এক দিনে আক্রান্তের এ সংখ্যা সবচেয়ে কম।

হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, ‘এর আগে গত ২২ জুলাই রোগী সংখ্যা ছিল ৫৫৩ জন। তবে যেভাবে ডেঙ্গু বাড়ছিল সেখান থেকে এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৭-এ নেমে আসাটা একটি স্বস্তির বিষয়, যদিও এখনও আমাদের টার্গেট রোগীর সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা।’

এদিকে রাজশাহীতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রওশন আরা (৫৫)। গতকাল সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হাসপাতালের উপ-পরিচালক চিকিৎসক সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রওশন আরা কুষ্টিয়ার দৌলপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী। চিকিৎসক সাইফুল বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রওশন আরাকে গত মঙ্গলবার এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তিনি মারা যান।

এদিকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাদারীপুরে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবলীগ নেতার নাম সেলিম মাতুব্বর (৩৫)। তিনি জেলার শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের দফতর সম্পাদক। শুক্রবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত যুবলীগ নেতা সেলিম মাতুব্বর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের লাল মিয়া মাতুব্বরের ছেলে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জে কলেজ ছাত্রের পর এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত নিলুফা ইয়াসমিন (৫৬) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়। নিহত নিলুফা ইয়াসমিন সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জ মহল্লার নুরুল ইসলামের স্ত্রী।

রাজশাহী অফিস: ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রওশন আরা (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে ডেঙ্গুরোগে রামেক হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হলো।

গতকাল শনিবার সকাল ১০টা ১০মিনিটে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ওই নারীর মৃত্যু হয়। কুষ্টিয়া থেকে গত মঙ্গলবার রওশন আরাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ঠাকুর দৌলতপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী। গত ৮ সেপ্টেম্বর রওশন আরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। পরে ১০ সেপ্টেম্বর তাকে কুষ্টিয়া হাসপাতাল থেকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

মাদারীপুর সংবাদদাতা: ডেঙ্গ জ¦রেু আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ সেলিম মাদবর (৩৫) এর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের রামরায়েরকান্দি গ্রামের লালমিয়া মাদবরের ছেলে। এ নিয়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মাদারীপুর জেলার ১০ জনের মৃত্যু হলো।

জানা গেছে, জেলার শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ সেলিম মাদবর গত ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে প্রথমে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শিবচরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হন। পরদিন বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোকজন ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ৯দিকে তিনি মারা যান। শনিবার সকালে তার লাশ শিবচরের নিজ বাড়ীতে নিয়ে আশা হয়।

শিবচর উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক জানান, শুক্রবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিম মাদবরের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তিনি উমেদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।

উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ লতিফ মুন্সী বলেন, উমেদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক সেলিম মাদবর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সকালে তার লাশ শিবচরের নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। শনিবার বাদ যোহর জানাজা শেষে তাকে নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় রওশন আরা খাতুন (৫৫) নামে এক গৃহবধূ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত তিন নারীর মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে ৯০০ জন।
সূত্রমতে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের জোসনা খাতুন (৫৫) ও ভেড়ামারার কাজীহাটা গ্রামের মিনা খাতুন (২১) নামের দুই গৃহবধূ ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে।

রওশন আরা খাতুন উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ঠাকুর দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। রওশন আরার পারিবারিক সূত্র মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা : সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং দিনকে দিন হাসপাতালে নতুন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে।
শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪জন ভর্তি হয়েছে। এছাড়া আরও ১৪জন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে, যাদের রক্ত এখনও পরীক্ষা করা হয়নি।

যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২১ জুলাই থেকে আজকের দিন পর্যন্ত যশোরে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২,১২১ জন। এরমধ্যে জুলাই মাসে ছিল মাত্র ১২১জন এবং আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১,১৯৬-এ।

খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সর্বমোট ৫,৯৭৪ (তথ্য : ১৩ সেপ্টেম্বর, বেলা ১১টায় প্রকাশিত; খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর) জন। যশোর জেলা তার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।

যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে ৯০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত যশোরে মোট ২ হাজার ১২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। যারমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১ হাজার ৮৭০ জন। যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০৩জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ১৪৮জন।

https://www.dailysangram.com/post/389493