১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রবিবার, ১২:৫২

সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়ালো

*এক মাস পর ২৪ ঘণ্টায় হাজারের কম রোগী ভর্তি
* শনিবার আরও দুই জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার : এক মাস পর ২৪ ঘণ্টায় প্রথমবারের মতো এক হাজারের কম নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। তবে গতকালের ভর্তির মধ্য দিয়ে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে তথ্য মতে, গত শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ৭৬০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। রোগীদের মধ্যে ঢাকার ৩৪৯ জন আর ঢাকার বাইরের ৪১১ জন। এদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আগের দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল এক হাজার ২৫ জন রোগী। এর আগ গত ২৯ জুলাই প্রথমবারের মতো ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৭৬ জন রোগী ভর্তি হয়। আর পরের দুই সপ্তাহ ক্রমেই বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। এক পর্যায়ে দিনে আড়াই হাজারের বেশি রোগীও ভর্তি হয় হাসপাতালে।

বাংলাদেশে ৬০ এর দশকে ঢাকা ফিভার নামে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ ছিল। তবে ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো এটি মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু বলে শনাক্ত হয়। তবে চলতি বছরের মতো এত বেশি প্রকোপ দেখা যায়নি।
জুলাই এবং আগস্টে প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে আর বাড়তে থাকে মানুষের উৎকণ্ঠা। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে রোগটি। এর মধ্যে ঢাকার দুই নগর কর্তৃপক্ষ বাসাবাড়িতে ডেঙ্গুর বাহক এডিসের লার্ভা নিধনে মনযোগ দেয়। আর আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ঈদের পর থেকেই রোগীর সংখ্যা উঠানামা করতে থাকে, যদিও বিদায়ী সপ্তাহে নাটকীয়ভাবে রোগী কমতে থাকে। আর রোগী কমে আসার এই প্রবণতাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, ‘গত ১৫ দিন থেকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। আগস্ট প্রথম দিকে তো অনেক বেশি ছিল।’
‘রোগীর সংখ্যা কমার অন্যমত কারণ জনগণ বেশ সচেতন হয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগের কারণেই এটা হয়েছে। আমরা আশা করতে পারি, ডেঙ্গু রোগী কমের দিকেই থাকবে। তবে ভবিষ্যতে বাড়বে কি না সেটা নির্ভর করছে জনগণ কতটা সচেতন থাকবে সেটার উপরে।

এখন পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭০ হাজার ১৯৫ জন। আর এদের মধ্যে ৯৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এই সমেয় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৫ হাজার ১৯৫ জন। বর্তমানে ঢাকার ৪১ টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৬৯৬ জন। আর ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগী আছে দুই হাজার ১৬৪ জন।

ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভর্তি আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ৫৬ জন। এছাড়া মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৪ জন, মিটফোর্ডে ২৯ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২২ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় হাসপাতালে ২০ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে আট জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সাত জন, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চার জন, পঙ্গু হাসপাতালে দুই জন ভর্তি আছে। ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬১ জন, খুলনা বিভাগে ১২১ জন, রংপুর বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩২ জন, বরিশাল বিভাগে ৬৩ জন, সিলেট বিভাগে ছয় জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪ জন রোগী ভর্তি আছেন।

সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে :
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর আরো পাঁচ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। ফলে এই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জন। গতকালের আগ পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার।

এখন পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতাল থেকে মোট ১৮২টি মৃত্যুর তথ্য এসেছে গণমাধ্যমে। এগুলো পর্যালোচনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত যারমধ্যে ৯৬ টি মৃত্যু পর্যালোচনা শেষ হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদশা নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর ৫টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ এলাকায় পার্কভিউ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত বাদশা মোল্লার বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলার সলিমপুরে।

এদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাওয়া নারীর নাম শিল্পী বেগম (৪৫)। তিনি জেলার তেরখাদা উপজেলার আঠালিয়া গ্রামের সাহেব আলীর স্ত্রী। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, ডেঙ্গু রোগী শিল্পী বেগম শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর দেড়টায় তিনি মারা যান। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় যাননি। স্থানীয়ভাবেই তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৪ হাজার
ছাড়ালো ডেঙ্গু রোগী
খুলনা অফিস : খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিল্পী আক্তার (৪৫) নামের আরও এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে ওই হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। মৃত শিল্পী তেরখাদা উপজেলার আঠালিয়া গ্রামের সাহেব আলীর স্ত্রী।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক ফিজিসিয়ান (আরপি) ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, ৩০ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে শিল্পী আক্তার খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার সকালে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ডেঙ্গু জ্বরে ভুগছিলেন। এই নিয়ে খুলনায় ডেঙ্গুরোগে মোট সাতজনের মৃত্যু হলো। এর আগে ৪ আগষ্ট খুমেক হাসপাতালে দিঘলিয়ার মর্জিনা বেগম (৭০) ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপসার মো. মঞ্জুর শেখ (১৬), ৫ আগষ্ট সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাগেরহাটের শরণখোলার খাদিজা বেগম (৪০), ১২ আগষ্ট খুমেক হাসপাতালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার রাসেল (৩২), ১৯ আগষ্ট খুমেক হাসপাতালে রূপসার মিজানুর রহমান (৪২) এবং ২৮ আগষ্ট খুমেক হাসপাতালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার শাহিদা বেগম (৫০) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় চার হাজার ৩৯০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে পারে এমন উৎসকে ধংস করতে মরিয়া শহর-নগর, গ্রামগঞ্জের মানুষ। বৃষ্টির পানি বা যেকোনো উৎস থেকে পানি জমতে পারে এমন জায়গায় জন্ম নিতে পারে এই লার্ভা। প্রতিদিনই কেউ না কেউ ডেঙ্গু রোগে মারা যাচ্ছে। এতো কিছুর মধ্যেও নগরীর অনেক প্রতিষ্ঠানের ফুলের টব, খাদ্যপণ্যের মোড়ক, অব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্যে জমতে দেখা গেছে পানি। আর সেখানেই এডিস মশার লার্ভা জন্মানোর আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।

সহকারী স্বাস্থ্য পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. ফেরদৌসী আক্তার বলেন, বিভাগের ১০ জেলায় এ পর্যন্ত চার হাজার ৩৯০জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে মাত্র ৫৭৯জন। বাকী রোগীদের মধ্যে ২১৪জনকে রেফার্ড করা হয় এবং তিন হাজার ৫৯৭জনই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে। তবে বিভাগে এ পর্যন্ত মোট নয়জন রোগীর মৃত্যু হয়। অবশ্য খুলনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সিংহভাগই ঢাকা থেকে আসা বলেও চিকিৎসকরা জানান।

খুলনা জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সূত্রটি বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় মোট আক্রান্ত ২৫ জনের মধ্যে শুধুমাত্র খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি হয় ২২জন। বাকী তিনজনের মধ্যেও কেউ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। এর মধ্যে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল, তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন রোগী ভর্তি হয়। তাছাড়া পাইকগাছা, তেরখাদা, রূপসা, দিঘলিয়া ও ফুলতলায় ইতোপূর্বে ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও ডুমুরিয়ায় এই প্রথম কেউ আক্রান্ত হলো। এছাড়া খুলনায় যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে জেলার রূপসায় দু’জন, দিঘলিয়া ও তেরখাদায় একজন করে হলেও বাকী তিনজনই খুলনার বাইরের রোগী কিন্তু মৃত্যু হয় খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে।

স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রটি বলছে, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু সনাক্তকরণ কীটের কোন ঘাটতি নেই। বর্তমানে বিভাগে ১৩ হাজারেরও বেশি কীট মজুদ রয়েছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। এছাড়া জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, জেলায় মোট ২৬২৭টি কীট মজুদ রয়েছে। সংখ্যা উল্লেখ না করলেও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কীট মজুদ রয়েছে উল্লেখ করে প্যাথলজী বিভাগের সূত্রটি বলছে, যত রোগীই হোক না কেন ডেঙ্গু সনাক্তকরণ কীটের কোন সংকট পড়বে না। তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কীট মজুদ থাকার পরও অনেক ভর্তি রোগীকে এখনও হাসপাতালের বাইরের বেসরকারি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেখা যায়।

প্রতিষ্ঠানের ফুলের টবে এডিস লার্ভার আশঙ্কা : নগরীর অনেক প্রতিষ্ঠানের ফুলের টব, খাদ্যপণ্যের মোড়ক, অব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্যে জমতে দেখা গেছে পানি। আর সেখানেই এডিস মশার লার্ভা জন্মানোর আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে রাখা হয়েছে ফুলের টব। কিন্তু সেই সব ফুলের টব নিয়মিত পরিচর্যার লোক নেই অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে। আর যারা আছেন তারা নিয়মিত খেয়াল করছেন না বলে মন্তব্য অনেকের। তদারকির মানুষের অভাব থাকলেও থেমে নেই লার্ভা জন্মানোর প্রক্রিয়া। বিভিন্ন স্থানে পানি জমছে, আর সেখানেই জন্ম নিচ্ছে এডিস মশার মতো মারাত্মক রোগবাহি মশা বা জিবাণু। তারপরও প্রত্যেকেই দায় সারছেন কেসিসির দোহাই দিয়ে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, ফুলের টবে পানি জমছে বলে, ফুলের টব ধ্বংস করলে হবে না। পরিচর্যা করতে হবে। প্রতিনিয়ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

খুলনার সিভিল সার্জন এএসএম আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়ে থাকে। সেখানে আগে মশা ডিম পাড়ে পরে সেই ডিম ফুটে লার্ভা হয়। আর এই লার্ভাই মশা বা এডিস মশা। আমাদের প্রত্যেকেরই সচেতন হতে হবে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজ জানান, পানি জমতে পারে বা সেইসব জায়গায় এডিস মশার জন্মতে পারে এমন জায়গা ধ্বংস করতে কেসিসিসহ প্রশাসন থেকেও অনেক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই সচেতন হতে পবে। কোথাও এমন অবস্থা দেখলে, নিজে ব্যবস্থা নিতে হবে অথবা সেই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

https://www.dailysangram.com/post/388032