৬ আগস্ট ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:০৭

কাঞ্চন সেতুতে তীব্র যানজট এক ঘণ্টার পথ তিন ঘণ্টায়

ঈদুল আজহা সামনে

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন সেতুতে যানজট যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। এখানে এক ঘণ্টার পথ যেতে সময় লাগছে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা। এতে করে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। গত রোববার সকালে কাঞ্চন সেতুতে সরেজমিনে গিয়ে এ যানজটের চিত্র দেখা যায়।

জানা যায়, টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে প্রতিদিনই এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। নির্ধারিত টোলের চেয়ে অতিরিক্ত আদায় করার কারণে প্রায়সময়ই টোল আদায়কারীদের সঙ্গে যানবাহন চালকদের বাগি¦তন্ডার ঘটনা ঘটে। মাঝে মধ্যে মারপিটের ঘটনাও ঘটে। এতে সময় কেটে যায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট। এ সময়ে যানজট লেগে যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে এ যানজট সেতুর দুই পাশে প্রায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার এলাকা ছাড়িয়ে যায়। তাতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণ থেকে শুরু করে গরুবাহী ট্রাকের চালকরা।

এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি প্রশস্ত হলেও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কটি প্রশস্ত অনেকটা কম। যার ফলে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কে কোনো প্রকার যানবাহন বিকল হয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে শত শত গাড়ি আটকে যায়। যানজট তখন বিশাল আকারে ধারণ করে।
যানবাহন চালকদের অভিযোগ, কাঞ্চন সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে। সেতুর অনেকাংশ মেরামত করা হলেও কিছু অংশে ভাঙা ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

কাঞ্চন সেতু প্রকল্প ও টোলপ্লাজার পরিচালক মোহাম্মদ কারিবুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন সবজিবাহী যানবাহন চলাচল বেড়ে গেছে। এছাড়া হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এ সড়কপথে কাছে বলে যানবাহন চলাচলের চাপ এখন অনেক বেশি। টোল আদায়ের জন্য ১৮ জন লোক নিয়োজিত রয়েছে। হয়তো যানবাহনের চাপ না থাকলে মাঝে মধ্যে ১টি বা দু’টি টোল বন্ধ রাখা হয়। তিনি দাবি করেন, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে টোল অনেক কম দিলেই যানবাহন চালকদের সঙ্গে টোল আদায়কারীদের বাগি¦তন্ডা হয়ে থাকে। তবে সেতু এলাকা ছাড়াও অন্য কারণে যানজট সৃষ্টি হয় বলেও তিনি দাবি করেন।

টোলপ্লাজার পরিচালক বলেন, যানজট কমাতে ১৫ জন আনসার চাওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে। আশা করা যায়, কাঞ্চন সেতু এলাকা যানজটমুক্ত থাকবে। আর যানজটমুক্ত রাখতে সেতু প্রকল্পের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিশির কুমার বড়াল জানান, কাঞ্চন সেতুসহ প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়ক মেরামত কাজ করা হয়েছে। এখন আর তেমন কোনো যানজট হওয়ার কারণ দেখা যাচ্ছে না।

ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর ইকবাল হোসেন বলেন, আমার সঙ্গে মাত্র একজন কনস্টেবল দেয়া হয়েছে। একজন কনস্টেবল দিয়ে কতটুকু যানজট নিরসন করা সম্ভব। পুলিশ সদস্য বাড়িয়ে দেয়া হলে যানজট নিরসন করা সম্ভব বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রায় সময়ই কাঞ্চন সেতু এলাকা থেকে যানজট সৃষ্টি হয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। তবে টোল আদায়ে ধীরগতি যাতে না হয় সেদিকে কর্তৃপক্ষকে খেয়াল রাখতে হবে।

https://www.dailyinqilab.com/article/225459/