৭ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, ১:৫৪

ফের দরপতনে পুঁজিবাজার

টানা তিন কর্মদিবস সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন গতকাল নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। দিন শেষে দুই বাজারেই বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। লেনদেনের একই চিত্র অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও লক্ষ্য করা গেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে , পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের নানা পদক্ষেপে গত সপ্তাহের শেষদিকে পতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসে পুঁজিবাজার। তিনদিন সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার দেশের দুই পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধন হয়েছে। পুঁজিবাজারে টানা উত্থান কিংবা পতন কোনোটাই স্বাভাবিক নয়। বরং টানা উত্থানের পর মূল্য সংশোধন বাজারের জন্য ইতিবাচক।

সূত্র জানায়, অব্যাহত দরপতনের পর গত সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়ায়।

রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৮.১৫ পয়েন্ট বাড়ে। আগের দুই কর্মদিবসেও সূচক বাড়ে দুই বাজারে। এই তিন দিনে ডিএসইএক্স ২১৯ পয়েন্ট বেড়েছিল। কিন্তু গতকাল সোমবার সেই সূচক ৫৩ পয়েন্ট পড়ে গেছে।

ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটা প্রফিট টেকিং (মূল্য সংশোধন)। টানা দরবৃদ্ধির পর কিছুটা মুনাফা তুলে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। সে কারণে বিক্রির চাপ বাড়ায় সূচক কমেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৩৪৫টি কোম্পানির ১৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭ হাজার ৪১৫ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ২৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৫৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে নেমে আসে। ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসইতে আর্থিক লেনদেন হয় ৪৬৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৩৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।

এদিকে রমজান মাসে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আধা ঘণ্টা আগে লেনদেন শুরু হবে; শেষও হবে আধা ঘন্টা আগে। লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে। স্বাভাবিক সময়ে যেটা সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে আড়াইটা শেষ হয়। তবে ডিএসই অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

লেনদেন শীর্ষে রয়েছে যে কোম্পানিগুলো সেগুলো হলো- ফরচুন সুজ, এসকোয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেড, ন্যাশনাল পলিমার, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, মুন্নু সিরামিকস, ন্যাশনাল টিউবস, জেনেক্স ইনফোস লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=171337&cat=3