আমীরে জামায়াত

2023-04-29

নাটোর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

দুনিয়ার কল্যাণ ও আখিরাতের মুক্তির জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

২৮ এপ্রিল শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলার উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমানের পরিচালনা প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, তাক্বওয়ার চেতনায় আমাদেরকে কাজ করে দুনিয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কুরআন-সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরে আল্লাহর ভয়ে জীবনের প্রত্যেকটি কাজ করতে হবে এবং যার যে দায়িত্ব আছে তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ঋণ মুক্ত হওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। দান করার ক্ষেত্রে সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মহান আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি ধরনা দিতে হবে এবং সিজদায় গিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও আল্লাহর সাহায্য চেয়ে জীবন পরিচালনা করতে হবে। দুনিয়ার কল্যাণ ও আখিরাতের মুক্তির জন্য আমাদেরকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।

বিশেষ অতিথির অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে হবে এবং মজবুত সংগঠন কায়েম করে জনসমর্থনের মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হচ্ছে গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার গঠন করা। সেজন্য প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশেও তৃণমূল পর্যায়ে গণভিত্তি অর্জন করে গণতান্ত্রিক পন্থায় ইসলাম কায়েমের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ্যাড. মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, শুধু দেশের স্বার্থে ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামী বিএনপিকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে সরকার গঠনে সহযোগিতা করেছিল। জামায়াত দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিঃস্বার্থ ভূমিকা পালন করেছে। দেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য জামায়াতে ইসলামী সর্বপ্রথম কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিল। এই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে তিনটি নির্বাচন সারা পৃথিবীতে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছিল। শুধু দলীয় স্বার্থের জন্য আওয়ামী লীগ তা বাতিল করে দেয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অপশাসনের প্রেক্ষিতে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করে এবং সরকার গঠন করে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার অংশীদার হয়। আমাদের দুইজন মন্ত্রী অত্যন্ত সততা, যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে দেশে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের জনগণ ইসলাম প্রিয়। জামায়াতে ইসলামী যেভাবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ তাতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে অচিরেই গণজোয়ার সৃষ্টি হবে।