বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, “বর্তমান জালেম সরকার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দেেক গ্রেফতার করে রেখেছে। জেল-জুলুম আর হামলা-মামলা দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা যায় না। তিনি অবিলম্বে আমীরে জামায়াতসহ সকল নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।”
তিনি আরো বলেন, “যুগে-যুগে আল্লাহ তাআলা নবী-রাসূলদেরকে যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রেরণ করেছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দেখানো পথেই ইসলামী আন্দোলনে সেই ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে। তাই কায়েমী স্বার্থবাদী শক্তি নানা চক্রান্ত করে ইসলামী আন্দোলনের পথকে রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। ইসলামী আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে সাচ্চা ঈমানের অধিকারী হয়ে খাঁটি মুসলিম হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে।”
৪ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা পূর্ব এবং পশ্চিম সাংগঠনিক জেলার যৌথ উদ্যোগে ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত উপজেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্যদের শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত উপরোক্ত কথা বলেন।
জেলা পূর্ব শাখার আমীর মাষ্টার নুরুন নবীর সভাপতিত্বে শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আজীজুর রহমান, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস, মাওলানা আশেকে এলাহী, অধ্যক্ষ আলী মোঃ মুহসীন ও পশ্চিম জেলার ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা শিহাব উদ্দিন প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম বলেন, “বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা তরুণ প্রজন্মকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দিয়ে ধর্মবিমুখ মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে সরকার ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডের তিনি তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জোর দাবি করেন।”
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে জনগণের সমর্থনের কোনো বিকল্প নেই। তাই মানবতার সেবার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।”