আমীরে জামায়াত

2022-10-28

‘২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডবে শহীদদের স্মরণে রাজধানীতে আলোচনা ও দোয়া’

জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করুন অপশক্তির ধ্বংস অনিবার্য

-ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে এখন দুর্বিসহ অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। বিচারের নামে অবিচার মানুষের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। মানুষের মান সম্মান নিয়ে বেচে থাকার অধিকার নেই। এক কথায় জাতি এখন সর্বহারা জাতিতে পরিণত হয়েছে। এই অচলাবস্থা সৃষ্টি করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে ২৮ অক্টোবরের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। সরকারকে তিনি বলেন, ক্ষমতা কারো চিরদিন থাকে না, আপনাদের যাওয়ার পালা এসেছে। বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়ে জাতির কোন ক্ষতি না করে বিদায় নিন। ২৮ অক্টোবর আমাদের ভাইয়েরা জীবন দিয়েছেন, কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি, তেমনি আমাদের এই প্রিয় সংগঠন কোন অন্যায়ের কাছে মাথানত করবে না। তিনি সকালের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই। অপশক্তির পরাজয়, ধ্বংস অনিবার্য।

শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর লগি-বৈঠার তান্ডবে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণকারীদের স্মরণে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল যথাক্রমে এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ ও মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ হাফেজ গোলাম কিবরিয়া শিপনের পিতা মু. তাজুল ইসলাম ও শহীদ সাইফুল্লাহ মুহাম্মদ মাসুমের গর্বিত পিতা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আবদুস সবুর ফকির, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান। আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য হাফিজুর রহমান, শাহীন আহমদ খান, আবদুস সাত্তার সুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মহানগর শিল্পী গোষ্ঠী শহীদী গান পরিবেশন করেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুত্থান আমরা দেখেছি, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ আমরা দেখেছি। মানুষের বাঁচার অধিকার, বিচার পাওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন, তারাই মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। তারা শেষ পেরেকটা মেরেছিলেন বাকশাল গঠনের মধ্য দিয়ে। হিমালয়সম ব্যর্থতা ঢাকতে মানুষের কন্ঠরোধ করতে তারা দুইটা অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। একটা ছিল রাষ্ট্রীয় জল্লাদ বাহিনী গঠন, যার নাম ছিল রক্ষীবাহিনী। দ্বিতীয় হলো সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করা। রক্ষীবাহিনী যা ইচ্ছা, তাই করতে পারতো। তাদের আইনের কোন বাধ্যবাধকতা ছিল না, সংবিধান বা কোন কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহীতার বিষয় ছিল না। তাদের হাতে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেন, ৩২ হাজার যুবক বিনা বিচারে সেদিন নিহত হয়েছিল। এটা লজ্জার, এটা কলংকের। কোন অপরাধীকেও বিনা বিচারে হত্যা করার এখতিয়ার কারো নেই। কোন সভ্য সমাজে তা হতে পারেনা। সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের আয়না আর সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির জাগ্রত বিবেক। সে সময় রাষ্ট্রীয় ৪টি সংবাদপত্র ছাড়া সবগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সরকারের ইচ্ছার বাইরে কোন কিছু লেখা বা প্রকাশ করার ক্ষমতা তাদের ছিল না।

ডা. শফিক বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় তারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কিছু মানুষকে দুনিয়া থেকে বিদায় করার জন্য এই কাজ করেনি, তারা এই কাজ করেছিল এই দুই সংগঠনে যারা নেতৃত্ব দেন, তাদেরকে নির্মমভাবে, পাশবিক কায়দায় দুনিয়া থেকে বিদায় করার মাধ্যমে গোটা জাতির অন্তরে ভয় ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলো। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে তারা বেছে নিয়েছিল, কারন তাদের কাছে স্পষ্ট ছিল এই সংগঠন বাংলাদেশের জনগনের স্বার্থ, দেশপ্রেম ও দ্বীনের ব্যাপারে কারো সাথে আপোষ করে না। আপোষ করতে জানে না। সুতরাং এই পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক, ঈমানদার শক্তিকে যদি আঘাত দিয়ে শেষ করে দেয়া হয়, তাহলে বাকী সব এমনিই ভেসে যাবে। আল্লাহর ইচ্ছায় সেদিন তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির শেষ হয়ে যায়নি। এখন এই সংগঠনগুলোকে ঘিরেই দেশের মজলুম মানুষ স্বপ্ন দেখে। বেঁচে থাকার স্বপ্ন, দু:সহ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার স্বপ্ন দেখে।

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনা দেশ ও জাতির জন্য লজ্জার, জামায়াতে ইসলামীর জন্য কস্টের, শহীদ পরিবারগুলোর জন্য গর্বের। তিনি বলেন, আমরা পরিস্কার জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের ভাইয়েরা যেমন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি, তেমনি আমাদের এই প্রিয় সংগঠন কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না। সে দিন নেতৃবৃন্দকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়ে তারা বাঁকা পথ বেছে নিয়েছিল। সেই বাঁকা পথেই সাজানো ও পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে, হাজারো কেলেংকারীতে পরিপূর্ণ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুনিয়ার ইতিহাসে এ রকম বিচারের অনেক প্রমাণ রয়েছে। বিচারের নামে যে সমস্ত প্রহসন করা হয়েছে, উপযুক্ত সময়ে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিকে আবারো সুষ্ঠু বিচার হয়েছে। আমরা সেইদিনের অপেক্ষায় আছি। আমরা এই জগতে যদি বিচার নাও পাই, তাহলে এমন একটা জায়গা আছে, যেখানে শহীদেরা হবেন বাদী, আর খুনিরা হবেন আসামী, কোটি জনতা হবে সাক্ষী। সেই বিচারে শহীদরা জিতবেন আর খুনিরা সেদিন চুড়ান্তভাবে লাঞ্চিত হবেন।

আমীরে জামায়াত বলেন, এ দেশে খুনি কে? ধর্ষক কে? লন্ঠুনকারী কারা? অর্থপাচারকারী কারা? আল্লাহ এটা জনগনকে দেখিয়ে দিচ্ছেন। আল্লাহ এভাবেই জালিমদের উপযুক্ত প্রতিদান দিয়ে থাকেন। দু:শাসন যারা জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে দমিয়ে রাখতে চাচ্ছেন, তাদেরকে শক্ত বার্তা দিতে চাই, মেহেরবানী করে নিজেদের হিসাব নিকাশ করে নেন। ক্ষমতা কারো চিরদিন থাকে না। আপনাদের যাওয়ার পালা এসেছে। ভালোয় ভালোয় জাতির কোন ক্ষতি না করে বিদায় নিন। তিনি বলেন, সেটি হবে আপনাদের জন্য বুদ্ধিমানের পরিচয়। কিন্তু আবারো যদি হঠকারীতার রাস্তায় হাঁটেন, জাতিকে যদি হঠকারীতার দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে আল্লাহ তায়ালা শুভ ফায়সালা দিয়ে জাতিকে সাহায্য করবেন। তখনকার এই পতন হবে, অত্যন্ত শোচনীয়, লজ্জাজনক ও অত্যন্ত অপমানজনক।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী এই দেশে আল্লাহর দ্বীন কায়েমে, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সার্বজনীন কল্যাণ রাষ্ট্র কায়েমের যে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে, ইনআল্লাহ এ থেকে এক চুল পরিমানও নড়বে না। সেই অঙ্গিকার বুকে ধারন করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। জাতির প্রতি বিশেষ করে মজলুম বিরোধী দল ও জনগনের প্রতি আহবান, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। যে কোন ধরনের বিভ্রান্তিকর, বিবেদ সৃষ্টিকারী কোন বক্তব্য যেন আমরা না রাখি। সবগুলো থেকে বিরত থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিকে সামনের দিকে নিয়ে যাই। অপশক্তির পরাজয়, ধ্বংস অবসম্ভাবী।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের আগে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষ থেকে লগি বৈঠা নিয়ে বঙ্গভবন ঘেরাও এর ডাক দেয়া হয়েছিল। এ ঘোষণা ছিল সম্পূর্ন বেআইনী ও অবৈধ। তার নিদের্শেই সেদিন আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা তান্ডব চালিয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন জঘন্য হত্যাকান্ড আর নেই। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে এ সংক্রান্ত মামলার পুন:তদন্ত দেয়া হয়। আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে পুরো মামলাই প্রত্যাহার করে নেয়। মূলত: বিচারহীনতার জন্মদাতা আওয়ামীলীগ, পুষ্টপোষকও আওয়ামীলীগ। তিনি জনগনকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ২৮ অক্টোবর একটা কলংকিত দিন। সেদিন লগি বৈঠার সন্ত্রাসে ১৪ জন ভাই শাহাদাত বরণ করেছিল। আমরা এর প্রতিশোধ নিবো আল্লাহর দ্বীনের কাজকে সমুন্নত করার মাধ্যমে। এখন তারা আমাদেরকে জেল, জুলুমের হুমকি দিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করতে চায়। আমরা অতীতে কোন হুমকির পরোয়া করিনি। আজকের এই দিনে আমরা প্রতিজ্ঞা করতে চাই, আমরা জীবন দিবো, কিন্তু কারো কাছে মাথানত করবো না।

এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ২৮ অক্টোবরের লড়াই ছিল লগি বৈঠাধারী, মানবতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে ইসলামী পতাকাবাহী শক্তির লড়াই। এই লড়াইয়ে নৈতিকতার বিজয় হয়েছে, পরাজয় হয়েছে পশুত্ব ও বর্বরতার। তিনি বলেন, লগি বৈঠার তান্ডবের ধারাবাহিকতায় জাতি আজ অধিকার হারা। ১৬ বছর ধরে মুক্তির জন্য মানুষ হাহাকার করছে। মানবতা মুক্তির জন্য ফরিয়াদ জানাচ্ছে। এমন একটা মানুষও পাওয়া যাবে না, যারা এই অপশক্তির হাত থেকে মুক্তি না চায়। এটাই হচ্ছে ২৮ অক্টোবরের একটা বিজয়। এই বিজয় আনুষ্ঠানিক বিজয়ে পরিণত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ২৮ অক্টোবরের নির্মম হত্যাকান্ডের টার্গেট ছিল জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে নেতৃত্ব শূন্য করার। কিন্তু তাদের সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা হারিয়েছে। তত্বাবধায়ক সরকারকে জোরপূর্বক বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করেছে। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর যে নৃশংসতা আমরা দেখেছি, এই নৃশংতার জন্য বিচারের মুখোমুখি হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, সেদিন কয়েকজন ভাই জীবন দিলেও আমরা আমাদের অবস্থান সমুন্নত রাখতে পেরেছি। এতে প্রমাণিত হয়েছে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ইসলামের বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র হউক না কেন, দেশপ্রেমিক সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীসহ দেশের সচেতন জনগন বাতিলের হাতে দেশকে তুলে দিবো না। তিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ২৮ অক্টোবর আমাদের প্রেরণা। শহীদের রক্ত রাঙ্গানো পথ ধরেই বিজয় আসবে, ইনশাআল্লাহ।

আবদুস সবুর ফকির বলেন, আমরা রাসূল (সা:) এর সময়ে হিন্দাকে দেখিনাই। কিন্তু সেদিন পল্টনের নৃশংসতা হিন্দাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ২৮ অক্টোবরের চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় ষড়যন্ত্রকরে ভোটারবিহীন ও নৈশ ভোটের মাধ্যমে বর্তমান সরকার এখনও ক্ষমতায় রয়েছে। সেদিন আদর্শ ও নৈতিকতার কাছে আদর্শহীনতার পরাজয় হয়েছিল। সেদিন পল্টনের বিজয় ৫৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের বিজয়ে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ।