আমীরে জামায়াত

2022-05-14

রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের উদ্যোগে নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানদের ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠানে আমীরে জামায়াত

মহান আল্লাহর শাস্তির ভয়ে দায়িত্ব সম্পর্কে খুবই সতর্ক থাকতে হবে

-ডা. শফিকুর রহমান

১৩ মে জামায়াতে ইসলামী রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের উদ্যোগে নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলালের সঞ্চালনায় ওয়ার্কশপে প্রধান মেহমান হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাট ফর্ম-এ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। অন্যান্যদের মাঝে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও নির্বাচন বিভাগীয় কমিটির সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ, চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও অঞ্চল টিম সদস্য জনাব আফতাব উদ্দিন মোল্লা, পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও টিম সদস্য মাওলানা আবদুল খালেক, অঞ্চল টিম সদস্য এড. আবদুল বাতেন, রংপুর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, গাইবান্ধা জেলা আমীর জনাব আবদুল করিম, পঞ্চগড় জেলা আমীর জনাব ইকবাল হোসাইন, লালমনিরহাট জেলা আমীর জনাব আতাউর রহমান প্রমুখ।

প্রধান মেহমান আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা আল্লাহর নিয়ামাতের কথা স্মরণ করে বেশি বেশি শুকর আদায় করুন। মহান রবের রহমত ছাড়া বিজয় সম্ভব ছিল না। জনপ্রতিনিধিদের কাজটি খুবই ভারী, কঠিন ও শ্রেষ্ঠ কাজ। তিনি বলেন, আল্লাহর শাস্তির ভয়ে হযরত ওমর রা. এর দায়িত্বানুভূতি ছিল এ রকম- তিনি (ওমর রা.) বলেন, আমি যদি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে ব্যর্থ হই এবং ফোরাতের তীরে একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায় তবে আমার কী হবে?’ তাই আপনারা দায়িত্ব সম্পর্কে খুবই সতর্ক থাকবেন।

কোনো অনৈতিক কাজে যুক্ত হবেন না। জনগণের টাকা যেন আত্মসাৎ না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। আপনাদের দ্বারা কোনো অসৎ কাজ যেন না হয়, সে ব্যাপারে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। ইয়াতিমের হক আদায় করবেন। জিম্মাদারি যথাযথভাবে পালন করবেন। এতে আল্লাহর রহমত পাবেন।

তিনি আরো বলেন, নিজেকে জনগণের সেবক মনে করবেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সেবা করবেন। সবার প্রতি ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবেন। পরামর্শ করে কাজ করবেন। মেম্বারদের বিরোধী প্রতিপক্ষ না ভেবে নিজের পক্ষ করুন। ইনসাফ করবেন। এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে জনগণের খেদমতে সর্বদা লেগে থাকবেন।

সংগঠনের ভাবমর্যাদা রক্ষা করবেন। জনসেবায় যেমন সময় দিতে হবে, ঠিক তেমনি আদর্শ পরিবার গঠনেও যৌক্তিক সময় দিতে হবে। সংগঠনের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করবেন। সব কাজে আল্লাহর সাহায্য চাইবেন এবং ভারসাম্য রক্ষা করে চলবেন।”