এটিই একমাত্র মর্মান্তিক ঘটনা নয়। সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের হাতে এভাবে কতজন পাশবিক হামলার শিকার হয়েছেন? কতজন প্রাণ হারিয়েছেন? আর কতজন পংগুত্ব বরণ করেছেন? এই অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে কিভাবে বেচে আছেন তা কেবল আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।
প্রতিপক্ষের রক্ত তো তাদের দৃষ্টিতে তাদের জন্য একেবারেই হালাল! সেই আবরার ফাহাদই বলেন আর বিশ্বজিৎই বলেন। প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের ওপর তাদের মর্মান্তিক ঘটনাবলীর ইতিহাস আল্লাহ তা'য়ালার ফিরিস্তাগণ নিখুঁতভাবেই রেকর্ড করে রেখেছেন।
এই তরুণের নাম মাহাদি জে আকিব। সে আমাদের কাছে প্রথমই ছাত্রলীগের নেতা কিংবা কর্মী নয়।
সেঃ-
১. এদেশের একজন নাগরিক
২. মেডিকেল কলেজে ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত একজন মেধাবী ছাত্র।
৩. তার মা বাবার একটি স্বপ্নের গোলাপ।
কিন্তু সেই গোলাপ ঝরবে না টিকে থাকবে তা কেবল আল্লাহ তা'য়ালাই ভালো জানেন।
৪. ছাত্রলীগের নেতা অথবা একজন কর্মী।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে৷ গত শনিবার সকালে তার কলেজের কতিপয় দলীয় সহকর্মী ন্যাক্কারজনকভাবে তার ওপর হামলা করে। মাথায় মারাত্মক জখম নিয়ে ভর্তি হয় চমেক হাসপাতালে। আঘাত গুরুতর। অস্ত্রোপচারের পর তার ঠাঁই হয় আইসিইউতে। এর পর থেকে নিথর পড়ে আছে আকিব। তার মাথায় এমন লেখার রহস্য জানা গেল চিকিৎসকদের কাছে।
এদের থামাবে কে? দায়িত্ব কার? মেহেরবানী করে তারা কি একটু দায়িত্বশীল হবেন?
ফেসবুক স্ট্যাটাস লিঙ্ক