আমীরে জামায়াত

2020-09-02

মীর কাসেম আলীর অবদানের কথা স্মরণ করে আমীরে জামায়াতের বিবৃতি

জনকল্যাণমূলক ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মীর কাসেম আলী আজীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য, বিশিষ্ট ইসলামী অর্থনীতিবিদ, সমাজসেবক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জনাব মীর কাসেম আলীর অবদানের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জনাব মীর কাসেম আলী এ দেশে জনকল্যাণমূলক ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ইসলামী ব্যাংক-বীমাসহ বহু মসজিদ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন ইসলামী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিকট স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এ দেশের দরিদ্র জনগণ তার কথা আজীবন স্মরণ করবে।

শুধুমাত্র ইসলামী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারণেই তার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়। সরকার পক্ষ তার বিরুদ্ধে আনীত কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে সেগুলোর সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জনাব মীর কাসেম আলীকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

তিনি যে জনকল্যানমূলক কাজের সূচনা করে গিয়েছেন তা চলতে থাকবে অনন্তকাল পর্যন্ত। তিনি তার কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন। মহান আল্লাহর নিকট আমরা বিশেষভাবে দোয়া করি তিনি যেন জনাব মীর কাসেম আলীর শাহাদাতকে কবুল করেন ও জান্নাতে সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন।

আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে উল্লেখ করছি যে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকধারী এক দল লোক ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট রাতে জনাব মীর কাসেম আলীর পুত্র ব্যারিষ্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তাকে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। তার অবুঝ দুটি শিশু প্রতিনিয়ত তার বাবাকে খুঁজছে এবং তার ফিরে আসার প্রতিক্ষা করছে। ব্যারিস্টার আরমান তার পিতার আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। জনাব মীর কাসেমের পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার । আল্লাহ এ পরিবারকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দিন।

তার অসমাপ্ত কাজ যাতে আমরা সমাপ্ত করতে পারি সেজন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।”