২৫ মে ২০১৯, শনিবার

ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজকে নেতৃত্বের জন্য যোগ্যতর করে গড়ে তুলতে হবে -সেলিম উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, আজকের দিনের যুব সমাজই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুব সমাজই অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম সহ জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে যুব সমাজ থেকেছে আপোষহীন। তাই ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজকে নেতৃত্বের জন্য যোগ্যতর করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি আর্ত-মানবতার কল্যাণে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের যুববিভাগ আয়োজিত ‘ইনসাফপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে যুব নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। যুব বিভাগের সভাপতি ডা. ফখরুদ্দীন মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাতের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন যুবনেতা মোস্তাফিজুর রহমান, ডা. মইন উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, সাইফুল কাদের ও নাসির উদ্দীন প্রমূখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, আমরা যাতে তাওকয়া অর্জন করে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন করত পারি সেজন্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের ওপর সিয়াম পালনকে ফরজ বা অত্যাবশ্যক করে দিয়েছেন। পবিত্র কালামে হাকীমে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম পালনকে অত্যাবশ্যকীয় করে দেয়া হয়েছে, যেমন দেয়া হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীগণের ওপর। যেন তোমরা তাকওয়া তথা খোদাভীতি অর্জন করতে পার’। তাই আমাদেরকে রমজান মাসের হক যথাযথভাবে আদায় করে তাকওয়া অর্জনে মনোনিবেশ করতে হবে। তিনি মাহে রমজানের প্রকৃত শিক্ষা বাস্তবজীবনে প্রতিফলন ঘটাতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, ‘রমজান মাসের প্রথম অংশ রয়েছে রহমত, মধ্যবর্তী অংশ মাগফিরাত ও শেষ অংশ নাজাত।’ এ মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে রয়েছে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর। এটি একটি বরকতময় রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসে একটি ফরজ ইবাদাত অন্য মাসের ৭০টি ফরজ, আর ১টি নফল ইবাদাত অন্যমাসের ১টি ফরজের সমতুল্য। এ মাস সবর ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীলতার মাস। বস্তুত, পবিত্র মাহে রমজান কুরআন নাজিলের মাস। কুরআন মানবজাতির প্রতি আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে কুরআনকে সঠিকভাবে জানা এবং সেই অনুযায়ী নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমেই সত্যিকার অর্থে পবিত্র রমজানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা সম্ভব। কুরআন থেকে হেদায়াত লাভের জন্য যে মন-মানসিকতা ও চরিত্রের প্রয়োজন, সেই মন ও চরিত্র গঠনের উদ্দেশ্যেই আল্লাহ তায়ালা মাহে রমজানের সিয়াম পালনকে আমাদের প্রতি ফরজ করেছেন। তিনি এ মাসের কল্যাণ ও বরকতকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্য যুব সমাজের প্রতি আহবান জানান।