৬ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

শাহজাহানপুর থানা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি কর্মীকে শহীদ হতে হলেও ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করা হবে- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দলীয় লোকজন ব্যতিত সাধারন জনগণকে কোন নিয়োগ দেয়নি। ক্ষমতা দখল করে রাখতে এই নিয়োগ প্রাপ্তরা শেখ হাসিনাকে সহযোগতিা করেছে। আওয়ামী লীগ ভেবেছে দলীয় লোকদের নিয়োগ দিলে তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী থাকবে। কিন্তু এদেশের জনগণ সেটা মেনে নেয়নি। জনগণ আওয়ামী লীগকে বিদায় করে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে। এখন অন্তবর্তীকালীন সরকারের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে আওয়ামী দূষিত লোকদের প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করা।”

০৬ ডিসেম্বর জুমাবার ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শাহজাহানপুর থানার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মতিঝিল-শাহজাহানপুর জোন পরিচালক সৈয়দ সিরাজুল হক প্রমুখ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “আগে সংস্কার পরে নির্বাচন; ছাত্র-জনতার অঙ্গীকার। ছাত্র-জনতা ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য জীবন ও রক্ত দেয়নি। ছাত্র-জনতা রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করতেই জীবন ও রক্ত দিয়েছে। তাই সংস্কার ব্যতিত নির্বাচন দিলে ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা পূরণ হবে না। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি কর্মীকে শহীদ হতে হলেও ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করা হবে।”

তিনি আরো বলেন, “পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যেই বৈষম্য ছিল সেই বৈষম্য থেকে মুক্ত হতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে। কিন্তু বিগত ৫৩ বছরেও স্বাধীন দেশ বৈষম্যমুক্ত ছিল না। স্বাধীনতার মাত্র দু’বছরের মাথায় পিতা কায়েম করেছে বাকশাল, আর সেই ধারায় মেয়ে কায়েম করেছে ফ্যাসিবাদ। মানুষের ভুল হয় বলেই মানুষের তৈরি আইনেও ভুল রয়েছে। যার কারণে মানুষের তৈরি আইনে শান্তি আসে না এবং আসবে না। শান্তির জন্য প্রয়োজন আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করা।

শেখ মুজিব সোনার দেশ চেয়েছে কিন্তু সোনার মানুষ বানায়নি। চোর-ডাকাতের দল বলে নিজেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সম্বোধন করেছে। সেই চোর-ডাকাতের দল দিয়ে সোনার দেশ গঠন সম্ভব হয়নি, হবেও না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগে সোনার মানুষ তৈরির কাজ করেছে। এবার সোনার দেশ গঠনে কাজ করতে চায়। জনগণ যদি সেই সুযোগ দেয় তবে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সোনার বাংলা গঠন করা হবে। যেখানে কোন বৈষম্য, বিভেদ, হিংসা, জুলুম, নির্যাতন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থাকবে না।” তাই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের আাগামী নির্বাচনের জন্য জনমত গঠন করতে তিনি আহ্বান জানান।