১৭ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

মাগুরায় পথসভায় আমীরে জামায়াত

আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যেখানে মানুষের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জননেতা ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যেখান আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সুবিচার কায়েম হবে। যেখানে মানুষের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না। যে যার ন্যায্য পাওনা তার হাতে পেয়ে যাবে। যুবকদের হাতে কাজ তুলে দেওয়া হবে। জাতি গঠনে যুবকরা ভূমিকা পালন করবে। বেকারত্বের অভিশাপে আর একটা যুবককেও আত্মহত্যা করতে হবে না। যুবককে চাকুরী পাওয়ার জন্য কোন দুষ্টু লোকের কাছে টাকা ঘুষ দিতে হবে না।”

১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মাগুরা জেলার ভায়নার মোড়ে এক পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মোবারক হোসাইনসহ জেলা জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা সাড়ে ১৫ বছর শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় ছিলাম। মুষ্টিমেয় কিছু লোকছাড়া পুরো জাতি ছিল অন্ধকারে এবং জুলুমের শিকার। বিশেষ করে দেশে ইসলামপন্থীদেরকে তারা একেবারেই সহ্য করতে পারেনি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে তারা হত্যা করেছে। বিচারের নামে প্রহসন করেছে।”

তিনি বলেন, “শুধু আমরাই মজলুম ছিলাম না। দেশের ১৮ কোটি মানুষ ছিল মজলুম। আমার একজন শ্রমিক বন্ধু থেকে শুরু করে রাস্তার পাশে মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকা আমার একজন ভিক্ষুক ভাই কিংবা বোন সকলেই মজলুম ছিলেন। তাদেরকেও বিভিন্ন জায়গায় খাজনা এবং ট্যাক্স দিতে হয়েছে। তাদেরও ২০ টাকা দামের পিয়াজ ৩০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। সরকারের দোসররা সিন্ডিকেট করে মানুষের জীবনকে শ্বাসরুদ্ধ করে দিয়েছিল। মানুষকে গুম করেছে, খুন করেছে, তাদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। সারা বাংলাদেশে জায়গা দখল করেছে, মানুষের সম্পদের ওপর লোলুপ দৃষ্টি দিয়েছে। তাদের জ্বালায় অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েরা পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাদের সোনার ছেলেরা ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছে। আমরা এগুলো থেকে মুক্তি চাই।”

তিনি আরো বলেন, “জামায়াতে ইসলামী এমন একটি দেশ চায়, যেখানে ন্যায় বিচারের জন্য কাউকে কোন বিচারকের দয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। বাজারে গেলে কোন ক্রেতাকে মাথায় হাত দিতে হবে না। এমন একটা বৈষম্যহীন সমাজ আমরা গড়তে চাই। এই সমাজে ধনী এবং দরিদ্র সম্মানের সাথে বাস করবে। কারো ধর্মীয় অনুষ্ঠান পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। সকল ধর্মের লোকেরা স্বস্তির সাথে তাদের ধর্মকর্ম পালন করবে। কোনো মসজিদের মাইকেও যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে, সেই নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে। কোরআনের তাফসির করতে যাওয়া কোন তাফসিরকারকে আর লাঞ্চিত করতে দেওয়া হবে না। এমন একটা দেশ আমরা গড়তে চাই।”