বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “দেশের মানুষের উন্নয়নের ও ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জামায়াত ও জনতার ঐক্য প্রয়োজন। এ জমিনকে গড়ে তুলতে হলে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।”
তিনি আজ ১৩ অক্টোবর রোববার নোয়াখালী জেলা জামায়াতের উদ্যোগে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জেলা আমীর জনাব ইসহাক খন্দকার এর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী আমীর কাজী দীন মোহাম্মদ। সম্মলনে দারসে কুরআন পেশ করেন কুমিল্লা অঞ্চলের টিম সদস্য প্রফেসর লিয়াকত আলী ভূঁইয়া।
মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তর করে হিন্দু লেখকদের লিখিত পাঠ্যক্রম আমাদের সন্তানদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। ইসলামী নীতিমালার শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে তারা। সকল মাদ্রাসা এবং কওমী মাদ্রাসার শিক্ষাকে ধ্বংস করেছে। সব জায়গায় ইসলাম বিদ্বেষী প্রথা চাপিয়ে দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকরা, উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট থেকে রাব্বি জিদনী ইলমা বাতিল করেছে। হিন্দু, সেকুলার ও নাস্তিকদের লেখা বই দিয়ে ইসলামী শিক্ষানীতি ধ্বংস করেছে।”
তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী সরকার পুলিশবাহিনীকে দিয়ে সবচেয়ে বেশি গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। পুলিশবাহিনীকে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্থ করে প্রস্তুত করা হয়েছে। হাসিনা সরকার সীমান্ত হত্যার বিচার করেনি এবং কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করে ভারতের এজেন্ডা ও প্রয়োজন পূরণ করেছে। বাংলাদেশেকে ভারতের মার্কেটে পরিণত করে অর্থনৈতিকব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে পরিপূর্ণ ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার মতো জঘন্য পরিকল্পনা স্থাপনের চেষ্টা চালিয়েছে তারা।
আমাদেরকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। সেজন্য আমাদের ও সংগঠনকে প্রস্তুত করতে হবে। দেশগড়ার কাজকে সকলে মিলে শতভাগ কাজে লাগাতে হবে।”