বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, “সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার নামে আজ এদেশের মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে নিতে চায়। ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন নিয়ে সরকার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কিন্তু এদেশের ইসলাম প্রিয় জনগণ তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিবে। জনমত ইসলামের পক্ষে আনতে আমাদেরকে দাওয়াত ও সেবার মান বাড়াতে হবে। আত্মগঠনে নিজেদের মনোনিবেশ করতে হবে। নিজেকে পরিবর্তন করতে পারলে নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটবে ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আজ ৩১ মে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি এমবি হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা মোস্তফিজুর রহমান, কক্সবাজার জেলা আমীর মাওলানা অধ্যক্ষ নুর মুহাম্মদ আনোয়ারী।
জনাব হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “ইসলাম একটি কালজয়ী আদর্শের নাম। যুগে যুগে যেখানেই ইসলামী আন্দোলন শক্তিশালী হয়েছে সেখানেই ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত হয়েছে। খোদাদ্রোহী শক্তি ইসলামের অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য জেল-জুলুম, হামলা-মামলার আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে কোন আদর্শকে দমিয়ে রাখা যায়নি। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ।”
মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “আমরা সংগ্রাম মানে বাতিলের সাথে সংগ্রামকে বুঝি। অথচ আত্মউন্নয়নের সংগ্রাম হিসেবে গ্রহণ করি না। বাইয়াতের চেতনাকে ধারণ করে নিজের মানকে সংরক্ষণ করতে হবে। শাহাদাতের তামান্না নিয়ে বুলেটের সামনে নিজের বুক পেতে দেয়া যতই সহজ কাজ, ভারসাম্যপূর্ণ জীবন গঠন করে নিজেকে ইসলামের আলোকে ঢেলে সাজানো তার চেয়ে কঠিন কাজ। আর রুকনগণ সেই চেতনা লালন করবে এটাই শপথের মূল দাবি। দুটো জিনিসের সমন্বয় করতে হবে। এক, আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ততা ও যেই অনুভূতি নিয়ে শপথ গ্রহণ করেছি। রুকনগন নিজেদের মান সংরক্ষণ ও কর্মী তৈরিতে প্রোডাক্টিভ ভূমিকা রাখবে। ব্যক্তিগত জীবনে রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ করা। রাসূল (সা.) কারও কাছ থেকে প্রতিশোধ নেননি। দুই, ইলম অর্জনে দুর্নিবার আকাঙ্খা থাকা। রাসূল (সা.) কিয়ামুল লাইলের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাইতেন। তিন. রাসূল (সা.) সবরের পর সবর করতেন।”
এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, “মানুষের তৈরি মতবাদের উপর আল্লাহর দ্বীনকে বিজয় করার জন্য নবী রাসূলদের আগমন হয়েছিল। দ্বীন কায়েমের কাজ করতে হলে রাসূলে করীম (সাঃ) এর আদর্শ জীবনকে অনুসরণ করতে হবে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, সাংগঠনিক, পেশাগত সবদিক দিয়ে মোয়ামেলাত সুন্দর ও পরিছন্ন হতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদের শপথের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে দ্বীনি তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। যে কোন কঠিন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সদস্যরা সামনের সারিতে থেকে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে নেতৃত্ব দিবেন।”