বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, দায়িত্বশীলদের উপজেলা ভিত্তিক গণভিত্তি রচনার জন্য পাঁচটি মৌলিক গুণাবলী প্রয়োজন। এ গুণগুলো হলো- সত্যের স্বাক্ষী, সুসংবাদ বহনকারী, সতর্ককারী, সত্য কথা উপস্থাপনকারী ও বিনিময় না চাওয়া। প্রত্যেক দায়িত্বশীল ব্যক্তির মধ্যে এই জিনিসগুলো থাকলে গণভিত্তি তৈরি না হয়ে পারবে না
২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার, সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় জেলা জামায়াতের আয়োজনে “লিডারশীপ ট্রেনিং কর্মশালা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।
এডভোকেট আকন্দ আরো বলেন, পৃথিবী পরিবর্তনের দুটি ধারা রয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক অপরটি গণবিপ্লব। এ দুটির জন্য জনসমর্থন প্রয়োজন। গণভিত্তির একটি অংশ হবে জনসমর্থন। এটা না হলে কোন জাতি বিজয়ী হতে পারবে না।
তিনি বলেন, গণভিত্তি রোট ল্যাবেলে হবে, ওয়ার্ড পর্য়ায়ে হবে। একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড যদি মজবুত থাকে, তবে এখান থেকে সমাজের সকল সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদবী বের হবে। সুতরাং কর্মী তৈরি করতে হলে অবশ্যই আমাদের রোট ল্যাবেলে যেতে হবে।
ছাত্রদের মাধ্যমে নেতৃত্ব তৈরি হয় উল্লেখ করে জনাব আকন্দ আরো বলেন, একটি এলাকায় বয়স্কদের দাওয়াতের আওতায় আনতে হবে। এটি করতে পারলে একজন ছাত্র তার আরেক অভিভাবক পাবে। সংগঠনের কাজে আরো উৎসহ পাবে।
দাওয়াতী কাজ কিভাবে করতে হবে উল্লেখ করে জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি আরো বলেন, আল্লাহ’র রাসুল(ﷺ)যেভাবে দাওয়াতি কাজ করেছেন, আমাদেরকেও ঠিক সেইভাবে সহিহ তরিকায় পেরেশানি নিয়ে দাওয়াতি কাজ করতে হবে।
আল্লাহর রাসুল(ﷺ)যত লোককে দাওয়াত দিয়েছেন সেটি বৃথা যায়নি। আমাদের জান্নাতের সুসংবাদ বহনকারী হতে হবে। কিন্তু আমরা হয়ে যাই ব্যবসা বানিজ্যের সংবাদ বহনকারী। দাওয়াতিদের দাওয়াত কাজে কোন বিনিময় নেওয়া যাবে না বলে তিনি আরও বলেন, যারা দাওয়াতি কাজ করবেন তারা প্লাবন তৈরি করবেন, কিন্তু কোন বিনিময় নেবেন না।
অনুষ্ঠানে জামায়াতের জেলা আমীর প্রকৌশলী এম শাহেদ আলী’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামীর আলী’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর মোঃ ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্বশীলদের দাওয়াতী কাজ উদার মনে করতে হবে। সেই দাওয়াত দিতে হবে সর্বমহলে। শুধু বড় ব্যবসায়ী দেখে দাওয়াত দিলে হবে না। একজন পান দোকানদারকেও জামায়াতের দাওয়াত দিলে সেটি আরো প্রচার ও প্রসার হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর মোঃ আব্দুল মান্নান, সাবেক জেলা আমীর দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, প্রবাসী দায়িত্বশীল আজাদ সোবহান, মাওঃ আমিনুল ইসলাম, মাওঃ শেখ আব্দুল হক প্রমূখ।
লিডারশীপ ট্রেনিং-এ জেলা কর্মপরিষদ, জেলা ইউনিট ও বিভিন্ন উপজেলা দ্বায়িতশীলগণ উপস্থিত ছিলেন।