বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে দেশের মানুষের মধ্যে শোষনহীন সমৃদ্ধ একটি দেশ প্রাপ্তির আকাঙ্খা তৈরী হয়েছে। তাই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, সমাজের নেতারা যদি দক্ষ, সৎ ও খোদাভীরু হয় তাহলে জমিনে আল্লাহ রহমতের ফুল্গধারা বর্ষিত হয়। ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ কায়েম ব্যতিত দুনিয়ায় প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই রুকনদের কুরআনের রাজ কায়েমের প্রত্যয়ে নিরলসভাবে দ্বীনের কাজ করার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, রুকনদের আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে হবে। নিজেকে পরিবার ও সমাজের মাঝে উত্তম মানুষ হিসাবে উপস্থাপন করতে হবে। মন্দের জবাব ভালো দিয়ে দিতে হবে। প্রতিনিয়ত কুরআন হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য হক আদায় করে পড়তে হবে। রুকনদের দানের হাতকে প্রসারিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, তিনি বলেন রাসুল (ﷺ)-এর সীরাত অধ্যয়নের প্রতি আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমানে বাজারে নতুন নতুন বহু সীরাত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, তা সংগ্রহ করে পড়তে হবে। রুকনদের আত্মগঠনে সচেষ্ট হয়ে পরিবারের কাছে উত্তম আর্দশ হতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রেীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর আলহাজ্ব মমিনুল হক সরকার।
রুকন সম্মেলনের সভাপতি, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার বর্তমান পরিস্থিতিতে রুকনদের সংগঠন সম্প্রসারণ-মজবুতি অর্জন , ইউনিট বৃদ্ধি, কর্মী বৃদ্ধিসহ নারায়ণগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীকে গন মানুষের সংগঠনে পরিনত করার আহবান জানান।
মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় উক্ত রুকন সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরী নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, সহকারী সেক্রেটারী জামাল হোসাইন ও মহানগরী কর্ম পরিষদেরর সদস্য বৃন্দ।
উল্লেখ্য বার্ষিক রুকন সম্মেলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জুমাবার সকাল ৮:৩০ টা থেকে দুপুর ১২:৩০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।