নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতদের দেখতে ও চিকিৎসাধীন দগ্ধ রোগীদের খোঁজখবর নিতে আজ শনিবার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ছুটে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। এসময় তিনি নিহত মুসল্লিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। পাশাপাশি দগ্ধ ও চিকিৎসাধীন মুসল্লিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে বিশেষ দোয়া করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলওয়ার হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আশরাফুল আলম ইমন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় বহু মানুষ হতাহতের মর্মান্তিক দৃশ্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অগ্নিদগ্ধ মানুষের অসহনীয় কষ্ট আমাদের সবাইকে বিমর্ষ করে তুলেছে। সরকারের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। তিনি বলেন, মূলত জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় সরকারের কাছে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময় অবহেলিত ও উপেক্ষিত থাকছে।
ড. মাসুদ অবিলম্বে এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত ও এ জাতীয় দুর্ঘটনা রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহবান জানান। এছাড়াও তিনি নিহত প্রত্যেক ব্যাক্তির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং চিকিৎসাধীন ও দগ্ধ মুসল্লিদের বিনামূল্যে সু-চিকিৎসা নিশ্চিত ও সার্বিক সহায়তা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। তিনি মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতদের পরিবারেরকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করেন এবং ভবিষ্যতেও এই সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের সময় মসজিদে ৫০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে সেখানে শিশু সহ ১৬ জন ব্যাক্তি নিহত হন। ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্যমতে গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে যায় এবং বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা অন্য কোনোভাবে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি হলে সেখানে শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটে ও আগুন লেগে যায়।