১৫ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার

পঞ্চগড়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময়

আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল: মাওলানা আবদুল হালিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। ঐ সময়ের মর্মান্তিক ঘটনার পর আওয়ামী লীগ কোনো মিছিল বের করতে পারেনি। এটা প্রমাণিত সত্য। শেখ হাসিনা ঐ ঘটনার ২১ বছর পর মাথায় পট্টি বেঁধে, হাতে তাসবিহ নিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিল। ২০০১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের চেহারার প্রকাশ ঘটে। ঐ দিন লগি-ক্সবঠার তান্ডব চালিয়ে রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররমে ৬ জনসহ সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৩ জন নেতাকর্মীকে শাপের মত পিটিয়ে হত্যা করে। তারা মানবতাকে ভূলুণ্ঠিত করে ঐসব লাশের ওপর দাঁড়িয়ে নৃত্য করে উল্লাস প্রকাশ করেছে। তাদের এই বর্বর বীভৎসতা বিশ্ববাসী অবলোকন করেছে। ২৮ অক্টোবরের ধারাবাহিকতায় বিগত সাড়ে ১৫ বছরে বিরোধীদলের অসংখ্য নেতাকর্মী, সাংবাদিক, আলেম-ওলামাসহ প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য জুলুমনির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে পরিকল্পিতভাবে সাজানো মামলায় ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আল্লাহর রাহমাতে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল গণআন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারি সরকারের পতন হয়েছে। বিনিময়ে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে জীবন দিতে হয়েছে।”

১৪ অক্টোবর সোমবার পঞ্চগড় জেলা জামায়াত আয়োজিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, “জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্রে আমাদেরকেই হত্যা করা হয়েছে। অনেক শিশুও নিহত ও আহত হয়েছে। আমরা সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। নিহতদের জাতীয় বীর ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পঞ্চগড় জেলার আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মফিজউদ্দীন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও মানবসম্পদ বিভাগীয় সেক্রেটারি শাহীদ আল ইসলাম, জেলা শূরা সদস্য সাইয়েদ নূর-ই-আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, শহীদ সাজুর বাবা আজহার আলী, নিখোঁজ আল আমিনের স্ত্রী সুমি আক্তার প্রমুখ।

এ সময় নিহতের স্বজনদের হাতে ১ লাখ টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন প্রধান অতিথি মাওলানা আবদুল হালিম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি আশরাফুল আলম, শ্রমিক কল্যানের জেলা সভাপতি মোঃ ওয়ালিউর রহমান, বায়তুলমাল সেক্রেটারি মাওলানা মনিরুল ইসলাম, শহর আমীর মাওলানা জয়নাল আবেদীন, দেবীগঞ্জ উপজেলা আমীর আবুল বাশার বসুনিয়া, সদর উপজেলা আমীর শফিউল আলম, আটোয়ারী উপজেলা আমীর মাওলানা মোঃ ইউনুস, জেলা শূরা সদস্য মাওলানা তোফায়েল প্রধানসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।