২৫ জুলাই ২০২২, সোমবার

বীরগঞ্জে মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ রাহিমাহুল্লাহ এর স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জানাযা অনুষ্ঠিত

মাওলানা হানিফ রাহিমাহুল্লাহ ছিলেন অসহায় আর্ত-মানবতার একজন মহান সেবক- মাওলানা আবদুল হালিম

আমাদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে মানুষের জন্য সেবামূলক কাজ করে যেতে হবে। মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ একজন আলেমে দ্বীন ও সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন। এলাকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ বিপদ-আপদে সব সময় তাঁকে কাছে পেতেন। তিনি ছিলেন অসহায় আর্ত-মানবতার একজন মহান সেবক। মাওলানা মুহাম্মাদ হানিফের জানাযায় বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি তারই প্রমাণ বহন করে। তিনি একজন অল্পে তুষ্ট, নির্লোভ ও নিরহঙ্কারী মানুষ ছিলেন। তিনি খুবই সাধারণ ও অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ২৫ জুলাই মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ রাহিমাহুল্লাহ এর জানাযায় অংশগ্রহণ করে উপরোক্ত কথা বলেন এবং প্রথম জানাযায় ইমামতি করেন।

মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ রাহিমাহুল্লাহ এর জানাযায় রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দীন, অঞ্চল টিম সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দীন মোল্লা, ঠাকুরগাঁও জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল হাকীম, দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা আমীর জনাব আনোয়ারুল ইসলাম, দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান, দিনাজপুর জেলা উত্তরের নায়েবে আমীর এ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান ভুট্টু, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা রবিউল ইসলাম, বীরগঞ্জ উপজেলা (পশ্চিম) আমীর মাওলানা খোদা বখ্শ, বীরগঞ্জ উপজেলা (পূর্ব) আমীর ক্বারী আজিজুর রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুল কাদের, সাবেক ছাত্র নেতা ও মরহুমের নাতি মতিউর রহমান ও ভাতিজা নূর আলম প্রমুখ।

২৫ জুলাই সকাল ১০:২০টায় বীরগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল বীরগঞ্জের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জানাযা। জানাযায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ শরীক হন। তাঁর ইন্তিকালের খবর ছড়িয়ে পড়লে বীরগঞ্জ, কাহারোলসহ আশেপাশের উপজেলাগুলোতে সাধারণ মানুষ শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। মাওলানা হানিফের এতো জনপ্রিয়তা দেখে জানাযায় আগত মানুষ আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, বীরগঞ্জ উপজেলার সাবেক আমীর, দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলার সাবেক কর্মপরিষদ সদস্য, বীরগঞ্জ পৌরসভার ৩ বারের সাবেক প্রশাসক ও মেয়র, জনপ্রিয় প্রতিনিধি মাওলানা মুহাম্মাদ হানিফ রাহিমাহুল্লাহ ২৪ জুলাই সকাল সোয়া ১০টায় ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। মাওলানা হানিফ দীর্ঘদিন যাবত কিডনি ও বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি ২০০৮ ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

সকাল সাড়ে ১১টায় ছোট বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের দ্বিতীয় পুত্র হাফেজ মাহফুজের ইমামতিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জানাযা শেষে চাউলিয়া গ্রামের পারিপারিক কবরস্থানে মাওলানা হানিফকে তাঁর বাবা-মার পাশে দাফন করা হয়।