অব্যাহত বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পানির ঢলে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলসহ যমুনা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। কৃষকের অর্থকড়ি ফসল সোনালী আঁশ পাটের ব্যাপক ক্ষতিসহ সব ধরনের ফসলহানি ও গ্রামীণ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং রাস্তা-ঘাট পানিতে ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্গত এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে মাথা গুঁজতে শুরু করেছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের বন্যা কমিটির সমন্বয়ক ড. ছামিউল হক ফারুকীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল ২০ জুন সোমবার ইসলামপুরের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা উপজেলার সাপধরি, নোয়ার পাড়া, চিনাডুলি, বেলগাছা ও কুলকান্দি ইউনিয়নের দুর্গত এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর নেন এবং উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন।
এ প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জামালপুর জেলা আমীর এডভোকেট নাজমুল হক সাঈদী, ইসলামপুর উপজেলা আমীর মাওলানা খন্দকার লিয়াকত আলী, উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা আমজাদ হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় জামায়াত ও শিবিরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্গত এলাকায় বিরাজমান সমস্যা ও সংকট নিয়ে তাঁরা সাপধরি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহ আলম মন্ডল ও চিনাডুলি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালামের সাথে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মত বিনিময় করেন। চেয়ারম্যানদ্বয় তাঁদেরকে নিয়ে দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখান। এ সময় স্বতঃস্ফূর্ত আয়োজিত বিভিন্ন সমাবেশে ড. ছামিউল হক ফারুকী ও জেলা আমীর এডভোকেট নাজমুল হক সাঈদী বক্তৃতা করেন।
ড. ছামিউল হক ফারুকী দুর্গত এলাকার জন্যে পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা ও সুষ্ঠু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দাবী জানিয়ে জনগণকে ধৈর্য ধারণ ও আল্লাহর সাহায্য কামনার আহবান জানান।