বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মেডিকেল বিভাগের প্রবীণ সদস্য (রুকন), রমনা থানা জামায়াতের দীর্ঘদিনের সাবেক আমীর ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবদুস সালাম নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩০ আগস্ট রাত পৌণে ১১টায় ৭৪ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ৪ পুত্র ও ৩ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ৩১ আগস্ট বাদ জোহর মোহাম্মাদপুরের ১ নং রোডস্থ চাঁদ উদ্যান আবাসিক এলাকার বাইতুর রহমান জামে মসজিদে জানাযা শেষে তাঁকে রায়েরবাগ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় জামায়াত ও ঢাকা মহানগরীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শোকবাণী
বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবদুস সালামের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ৩১ আগস্ট ২০২১ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৩০ আগস্ট রাত পৌণে ১১টায় মহান মাওলার ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়ার এ সফর শেষ করলেন। দ্বীনের এই শ্রদ্ধেয় দা’য়ী গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইকামাতে দ্বীনের দায়িত্ব নিবিড়ভাবে আঞ্জাম দিয়ে গেছেন।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, ডা. আবদুস সালামের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি একজন দ্বীনদার ও মুখলিস মানুষ ছিলেন। দুনিয়ার জৌলস তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি অত্যন্ত সহজ-সরল ও সাদা-মাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। মিতব্যয়িতা ছিল তাঁর চরিত্রের অন্যতম গুণ। তিনি আজীবন ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক জীবন-যাপনের চেষ্টা করেছেন এবং দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। উপরন্তু তিনি বহু ধর্মীয় ও কল্যাণমূলক কাজের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর রেখে যাওয়া অনেকগুলো সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ ও প্রতিষ্ঠান যুগ-যুগ ধরে উম্মাহর খেদমতে লাগবে ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহ্ তাআলা এই তামাম প্রয়াসগুলোকে তাঁর বান্দার জন্য সাদাকাতুল জারিয়াহ হিসেবে কবুল করুন এবং কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং পরিবার-পরিজন, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সকলকে আল্লাহ্ তাআলা সবরে জামিল দান করুন। আমীন।