বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর, বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ জনাব মকবুল আহমাদের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৩ এপ্রিল প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন,
“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর, বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, আমাদের শ্রদ্ধাভাজন অভিভাবক জনাব মকবুল আহমাদ ১৩ এপ্রিল বেলা ১টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। তাঁর ইন্তিকালে আমরা একজন যোগ্য ও দরদি অভিভাবককে হারালাম। আমরা তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
জনাব মকবুল আহমাদ ছিলেন আল্লাহর পথের একজন আহবানকারী, দাঈ ইলাল্লাহ এবং দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর অত্যন্ত সহজ-সরল জীবন-যাপন ও দাওয়াতী চরিত্র মানুষকে বিমোহিত করতো।
তিনি সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি তাঁর এলাকায় অনেক সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এগুলোর মাধ্যমে তিনি সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন এবং যখনই কোথাও কোনো অসহায় মানুষের খবর পেতেন তখনই তাদের যথাসাধ্য সাহায্য-সহযোগিতা করার চেষ্টা করতেন।
দেশের বৈরি রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি একজন যোগ্য অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। সংগঠনের দুর্দিনে তিনি দ্বীনের যে কঠিন জিম্মাদারি আঞ্জাম দিয়েছেন তা তাঁকে যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় করে রাখবে।
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে নেতৃত্ব ও একজন উদার মনের রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের মানুষ তাঁকে সবসময় শ্রদ্ধার সাথে স্মারণ করবে।
আমরা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার কাছে কায়মনোবাক্যে তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দিন। তাঁর নেক আমলসমূহ কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। তাঁকে সিদ্দিকীন সালেহীনদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
আমরা তাঁর শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, অত্মীয়-স্বজন, সুধী-শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা তাদেরকে উত্তম ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন।