বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রবীণ সদস্য (রুকন) মৌলভীবাজার জেলার সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাবেক সদস্য দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব বার্ধক্যজনিত কারণে ১৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ৮০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ৬ পুত্র, ৩ কন্যা ও অনেক নাতি-নাতনিসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন।
শোকবাণী
দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব এর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৮ জুন এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, প্রবীণ রাজনীতিবিদ দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম একজন সুনামধন্য লেখক ও গবেষক ছিলেন। তিনি বহু সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি ইসলামী আন্দোলনের কাজকে একটি মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরও বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
অপর এক যুক্ত শোকবাণীতে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদ আলী, সাবেক জেলা আমীর মোঃ আব্দুল মান্নান ও জেলা সেক্রেটারী মোঃ ইয়ামীর আলী গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক জীবন-যাপনের চেষ্টা করতেন। তিনি দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। আমরা তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর জীবনের বিরাট খেদমতকে নাজাতের উসিলা হিসেবে কবুল করে মহান রব তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসের আ’লা মাক্বাম দান করুন। দেশে ও প্রবাসে অবস্থানরত পরিবারের সকল সদস্য, আত্মীয়-স্বজন এবং দ্বীনের পথের সহযাত্রীদের সাবরে জামিল দান করুন।
উল্লেখ্য, দেশের বাহিরে অবস্থানরত মরহুমের ছেলে ও মেয়েরা দেশের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। পারিবারিক ও সাংগঠনিক দায়িত্বশীলদের সমন্বয়ে আলাপ আলোচনা করে জানাজার নামাজের সময় ও দাফনের স্থান পরে ঠিক করা হবে।