৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস পালনে আওয়ামী লীগকে বাধা দেওয়ার অংশ হিসেবে বনানী কবরস্থান এলাকা জামায়াত-শিবিরের লোকজন ঘিরে রেখেছে মর্মে মিথ্যা তথ্য প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দ ৩ নভেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস পালনে আওয়ামী লীগকে বাধা দেওয়ার অংশ হিসেবে বনানী কবরস্থান এলাকা জামায়াত-শিবিরের লোকজন ঘিরে রেখেছে মর্মে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজ-এ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। আওয়ামী লীগের উল্লেখিত কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বাধা দেয়ার প্রশ্নই আসে না। এব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপ্রিয় রাজনৈতিক দল। জামায়াতে ইসলামী অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দেয় না। এই ধরনের কোনো নোংরা রাজনীতির সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রচারিত তথ্যের আরেক জায়গায় প্রশ্ন ছুড়ে বলা হয়েছে যে, ‘আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট বলে অবৈধ সরকার আর তার সহযোগী জামায়াত - আসলে ফ্যাসিস্ট কারা?’ এর উত্তরে আমরা বলতে চাই যে, আওয়ামী লীগ এবং তার দোসররা ফ্যাসিস্ট বলেই গত জুলাই-আগস্ট মাসে এদেশের ছাত্র-জনতা তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলে ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের আপামর জনগণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এখন তাদের মুখে ‘আসলে ফ্যাসিস্ট কারা?’ এ প্রশ্ন তুলে নিজেদেরকে ফ্যাসিবাদ নয় বলে প্রমাণ করা যাবে না।
‘এর বিচার জনগণ করবে’ বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে চাই, জনগণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ৫ আগস্ট গণরায় ঘোষণা করেছে। জনগণ প্রতিদিনই গণহত্যার বিচারের দাবিতে তাদের মতামত প্রকাশ করছে।
আমি এ ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”