সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেলসহ ১ জুন থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির যে অন্যায়, অযৌক্তিক ও জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তে দেশের সর্বস্তরের জনগণ উদ্বিগ্ন ও বিস্মিত।
তিনি আরও বলেন, সরকার কেরোসিন ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৭৫ পয়সা এবং পেট্রোল ও অকটেনের দাম প্রতি লিটারে আড়াই টাকা বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে তা সম্পূর্ণ জনস্বার্থ বিরোধী। সকল প্রকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের গোটা অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। সকল জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে কেরোসিন ব্যবহারকারী দরিদ্র লোকদের ঘরে বাতি জ্বলবে না। যারা কেরোসিনের চুলায় রান্না করে তাদের রান্না খরচ বাড়বে।
পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাস ভাড়া, লঞ্চ ভাড়া ও ফেরী ভাড়া বাড়বে। পানি সেচের খরচ বাড়বে। ফলে কলকারখানায় পণ্য উৎপাদনের খরচ বাড়বে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ও কৃষি পণ্য, তরিতরকারী এবং মসলার দাম আরও বাড়বে। দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণের জীবন যাত্রার খরচ বাড়বে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান সরকার অবৈধ। এ সরকার পাশবিক শক্তির জোরে টিকে আছে। জনগণের দুঃখ-কষ্টে এ সরকারের কিছুই আসে যায় না। যে কারণে এ সরকার ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির সাথে সাথেই আবার সকল প্রকার জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করেছে। সরকার জনগণের মাথায় একের পর এক মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য এবং দুর্নীতি ও লুটপাট করার জন্যই পানির দাম বৃদ্ধির পর আবার সকল প্রকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে।
দেশের দরিদ্র জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে সকল প্রকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”