ঘূর্ণিঝড় রিমালে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ২৮ মে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রচ-তা ও জোয়ারের পানি ফুলে উঠে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলায় এ পর্যন্ত ১৬ জন মানুষ নিহত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজার লোক। সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৭৫টি বাড়িঘর। প্রায় তিন কোটি মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। একমাত্র বাগেরহাট জেলায় মাছের ২২ হাজার ঘের পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। ১৫ হাজার মাবাইল ফোন টাওয়ার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে লক্ষ লক্ষ লোক। সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, কক্সবাজারের ২০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে। অসংখ্য জমির উঠতি ফসল নষ্ট হয়েছে। বিপুল পরিমাণ হাঁস-মুরগি, গরু-মহিষ-ছাগল পানিতে ভেসে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সরকারের প্রধান দায়িত্ব সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সরকারের পাশাপাশি স্বচ্ছল ব্যক্তি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উচিত দুর্গত মানুষের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আশা। দুর্গত মানুষের জন্য চাল-ডাল, চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, কাপড়, ঔষুধসহ চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টীম, নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রী, হাড়ি-পাতিল, গৃহনির্মাণ সামগ্রীসহ নগদ টাকা পাঠানো উচিত।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে যারা নিহত হয়েছেন আমি তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি ও তাদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে দেশের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী, সাহায্য সংস্থা, স্বচ্ছল ব্যক্তি বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে মানবিক সাহায্য নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”