বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর, বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডল এবং আটক জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সকল নেতা-কর্মীসহ গ্রেফতারকৃত সকল আলেম-ওলামাদের মুক্তি দিয়ে পরিবারের সাথে মাহে রমাদানের সাওম পালনের ব্যবস্থা করার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ২০ মার্চ ২০২৩ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে, প্রায় ১৩ বছর যাবত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাগারে আটক রয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৮৫ বছর। বয়সের কারণে তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। চলাফেরা, ওঠা-বসা করতে তাঁকে অপরের সহযোগিতা নিতে হয়। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম প্রায় ১১ বছর যাবত কারাগারে আটক আছেন। তিনিও নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। চলাফেরা, ওঠা-বসা করা তাঁর জন্য খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
সাতক্ষীরার জননন্দিত নেতা ও সাবেক এমপি বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডল ৮ বছর যাবত কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বন্দি জীবনে তিনি হারিয়েছেন তার পুত্রকে। ৭৩ বছর বয়স্ক এ বয়োবৃদ্ধ নেতা শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল।
জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি জনাব শাজাহান চৌধুরীসহ সারাদেশে বিপুল সংখ্যক জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী কারাগারে আটক রয়েছেন। শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
সরকার দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-উলামা ও ইসলামী ব্যক্তিত্ত¡দেরকে দীর্ঘ দিন যাবত কারাগারে আটক রেখেছে। তাদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন মসজিদে ইমামতির দায়িত্বও পালন করতেন। সরকার তাদেরকে আটক রাখায় বিভিন্ন মসজিদের মুসল্লীগণ তাদের ইমামতিতে সালাত আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে পবিত্র মাহে রমাদান সমাগত। পবিত্র রমাদান মাসে জুলুম-নিপীড়ন, অন্যায়-অবিচার বন্ধ করে সকল বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে মুক্ত পরিবেশে পরিবারের সাথে সিয়াম পালনের সুযোগ করে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে মাসে রহমতের বারিধারা বর্ষণের ঘোষণা দিয়েছেন, সেই মাসে আল্লাহর গোলামদের কষ্ট দেয়া সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার শামিল।
আমরা সকল জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করে পবিত্র রমাদানের সূচনালগ্নে ডাঃ শফিকুর রহমান, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডল, মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও জনাব শাজাহান চৌধুরীসহ গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সকল নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”