২০২৩ সালে সরকারিভাবে হজের খরচ রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ৫ ফেব্রুয়ারি প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “২০২৩ সালে সরকারিভাবে হজের খরচ রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এ বছর একটি মাত্র হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে যাতে জনপ্রতি খরচ পড়বে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। গত বছর দুটি প্যাকেজ ছিল। প্যাকেজ-১ এ জনপ্রতি খরচ ছিল ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ খরচ ছিল ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা। গত বছরের সর্বনিম্ন প্যাকেজ থেকে এ বছর জনপ্রতি খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৫ টাকা। এর সাথে আরো যুক্ত হবে কোরবানির খরচ। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে এমনিতেই মানুষ নানাভাবে অর্থনৈতিক সংকটে আছে। এর মধ্যে হজের খরচ দেড় লক্ষাধিক টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকের পক্ষে ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ এই বিধান পালন করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। আমরা হজের খরচ বৃদ্ধির এই সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
হজ হচ্ছে ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। সামর্থবানদের ওপর হজের ধর্মীয় বিধান পালন করা ফরজ। হজ সম্পাদনে উৎসাহিত ও সহযোগিতা প্রদান সরকারের একটি নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি যে, হজ যাত্রীদের যে ধরনের সহযোগিতা ও সেবা প্রদান করা দরকার সরকার সেভাবে সহযোগিতা করছে না। যেখানে ১ জনের ওমরা করতে ব্যয় হয় ১ লক্ষ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সেখানে জনপ্রতি হজের খরচ পড়বে প্রায় ৭ লাখ টাকা, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা মনে করি, অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ করলে এবং সরকার আন্তরিকতার পরিচয় দিলে হজের খরচ অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। এর ফলে আরো অনেকেই হজে যেতে উৎসাহিত হবেন এবং ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের সুযোগ পাবেন।
হজের খরচ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা ও যৌক্তিকভাবে হজের খরচ নির্ধারণ এবং হাজিদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”