১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার, ৮:৩৫

বিতরণ সংস্থার নতুন নতুন শর্ত ॥ গ্যাসের সংযোগে ব্যর্থ ১৩৯ শিল্প প্রতিষ্ঠান

বিতরণ সংস্থার নতুন ও কঠিন শর্তের কারণে গ্যাসের সংযোগ নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। ইতোমধ্যে ১৩৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গ্যাস সংযোগের অনুমোদন পেয়েও শর্তের কারণে তারা সংযোগ নিচ্ছে না বলে জানা গেছে। ২০১১ সালের পর শিল্প ক্ষেত্রে গ্যাসের সংযোগ দেয়ার সিন্ধান্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত মোট ৫২০টি প্রতিষ্ঠান গ্যাস পাওয়ার অনুমতি লাভ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নতুন সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে কিছু নতুন ও কঠিন শর্ত মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। এসব শর্তে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারকারী কিংবা বিল বকেয়া রয়েছে, এমন কোনো গ্রাহকের নতুন সংযোগ কিংবা লোড বৃদ্ধির আবেদন অনুমোদন করা হবে না। গ্যাসের লোড বৃদ্ধি ও নতুন সংযোগ গ্রহণকারীকে গ্যাস সংরক্ষণ ও সাশ্রয়ী হওয়া, সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অর্জনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা গ্রহণ ও এনার্জি এফিশিয়েন্সি উন্নত করতে হবে। আর এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করার দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট বিতরণকারী প্রতষ্ঠানের ওপর।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণের সময় বিদ্যুৎ বিতরণকারী কর্তৃপক্ষের দেয়া শক্তি সংরক্ষণ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার-সংক্রান্ত শর্তাবলি পালনেরও শর্ত রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয় আরোপিত বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ব্যতিরেকে আবেদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাস সংযোগ রয়েছে, এমন প্রতিষ্ঠানকে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না। সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে বিতরণ কোম্পানিগুলোর সংশ্লিষ্ট এলাকাসহ ডাউনড্রিমে সুষ্ঠু গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রেখে ভারসাম্য বজায় রাখার দিকে লক্ষ রাখতে হবে। আর সিএনজি স্টেশনে নতুন কোনো সংযোগ দেয়া হবে না।
এদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গ্যাসস্বল্পতার কারণে ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ ও সার কারখানা বাদে অন্য সব খাতে নতুন গ্যাস সংযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। পরে ২০১১ সালে শিল্পে নতুন গ্যাস সংযোগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ২৯৭টি নতুন সংযোগের আবেদন অনুমোদন দিয়েছে সরকার। কিন্তু এ অনুমোদন পেয়েও গ্যাস সংযোগ নিতে প্রক্রিয়া শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে ১৩৯ প্রতিষ্ঠান।
অনুমোদন পেয়েও নতুন সংযোগের প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারা এসব প্রতিষ্ঠানকে পর্যায়ক্রমে নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ নোটিস পাওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যেও প্রক্রিয়া শুরু করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিলেরও সিদ্ধান্ত রয়েছে।
পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, দেশে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ২ হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। অথচ বিদ্যমান গ্রাহকের বিপরীতে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৩ হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ বর্তমান চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৬৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। দেশে উৎপাদিত মোট গ্যাসের ৪২ শতাংশ ব্যবহার হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এর বাইরে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার হয়। এছাড়া শিল্পে ১৭, আবাসিকে ১১, সার কারখানায় ৭ ও সিএনজিতে ব্যবহার হয় ৬ শতাংশ গ্যাস।
http://www.dailysangram.com/post/272231-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A7%A7%E0%A7%A9%E0%A7%AF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8