১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার, ৫:৩৯

ফের বেপরোয়া ঢাবি ছাত্রলীগ: একের পর এক অভিযোগ

দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত থাকলেও কমিটি ঘোষণার পরই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ঢাবি ছাত্রলীগ। আসছে একের পর এক অভিযোগ। সমর্থক, কর্মী থেকে শুরু করে বাদ যাননি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকও। তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রলীগের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে গোটা ক্যাম্পাসে।
হল কমিটি ঘোষণার আগেই অন্তর্কোন্দলের অনলে পুড়লেও কমিটিতে পদ পেয়ে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগ নেতারা। তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সংগঠনটিকে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক নিজ দলের অপর এক নেতার অনুসারীদের গণরুমে ঢুকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করা, বিভিন্ন হলে রুম দখল, চাঁদাবাজি, অন্তর্কোন্দল, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না করায় বৈধ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর, অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের কর্মসূচিতে বাধা প্রদান এবং ছাত্রনেতাকে মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগ ঢাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
ঢাবি ছাত্রলীগের উল্লেখযোগ্য বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেনের প্রিন্স কর্তৃক গণরুমে ঢুকে প্রথম বর্ষের সাধারণ শিক্ষার্থীদের হকিস্টিক দিয়ে মারধর ও আহত করা। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক আবদুল হক রনিকে লাঞ্ছিত করেন প্রিন্স। গত ১ ফেব্রুয়ারির সকালে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের দুইপরে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক পরে কর্মীদের হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন প্রিন্স। এতে হল শাখার সভাপতি ইউসুফ উদ্দিন খানের অনুসারী বিভিন্ন বর্ষের ৯ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত প্রথম বর্ষের চারজনের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় নিজ দলের নেতৃবৃন্দের কাছে বেশ সমালোচিত হয়েছেন প্রিন্স। তবে ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কোনো পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি।
ঢাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ রুম দখল। বেপরোয়াভাবে রুম দখলের মহড়ায় নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে হল শাখার নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হল কমিটি ঘোষণার পর এর মাত্রা অনেক বেড়েছে। কমিটি ঘোষণার আগে ৫ নভেম্বর রাতে সূর্যসেন হলের ৯টি কক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে নিজেদের কর্মীদের সেখানে তুলে দেন তৎকালীন হল কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান সভাপতি মো: গোলাম সারোয়ার। ওই ঘটনায় সারোয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসানের কথা বলে তাদের কক্ষ ছেড়ে দিতে বাধ্য করেন।
সম্প্রতি রুম দখলের জেরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ঢাবির শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও নিজ দলের নেতাদের হল ছাড়া করেন সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান। রুম দখলের জেরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে কবি জসীম উদ্দীন ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে।
১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে শহীদুল্লাহ হলের আতাউর রহমান খান খাদিম ভবনে ছাত্রলীগের হল শাখা সভাপতি সাকিব হাসান ও সেক্রেটারি আরিফ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন। বাগি¦তণ্ডার একপর্যায়ে মাথায় হেলমেট পরে রামদা, চাপাতি, রড, পাইপ ও হকি স্টিক নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায় তারা। হামলায় উভয়পক্ষে বিভিন্ন বর্ষের ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরে এ ঘটনায় পাঁচজনকে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাতে নিজ দলের ছয় নেতাকে হল থেকে বের করে দেন সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান। তারা বিগত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক রিফাত-জয়ের অনুসারী। এদের মধ্যে চারজন নিয়মিত ছাত্র। ঘটনার জেরে ৬ জানুয়ারি শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তেজনা চরম মাত্রায় পৌঁছলে ২১৭ নং রুমটি সিলগালা করে দেয় হল প্রশাসন।
তারও আগে, গত ১৫ ডিসেম্বরে কবি জসিমউদদীন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খানের বিরুদ্ধেও রুম দখলের অভিযোগ রয়েছে। সূত্রমতে, কমিটি ঘোষণার পরেই বৈধ শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে ২১৭ নং রুমটি দখল করেন শাহেদ। হল প্রাধ্যক্ষ কর্তৃক পূর্ণ আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্ধকৃত রুমটি থেকে দলের সক্রিয় কর্মীদেরও বের করে দেন তিনি। রুম থেকে বিতাড়িত করা শিক্ষার্থীরা হলেন আজিজ, মামুন ও আক্তার। এ সময় তাদের ২১৬ নং রুমে ফোরিং করতে বাধ্য করেন শাহেদ।
এ ছাড়া রুম দখলের জেরে গত ১ জানুয়ারি কবি জসীমউদদীন হলে এবং ৩ জানুয়ারিতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
গত ১৭ জানুয়ারি ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির জের ধরে কবি জসিমউদদীন ও শহীদুল্লাহ হলের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ব্রডব্যান্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কেএস নেটওয়ার্ক। হল দু’টির সূত্র জানায়, দু’টি হলে ইন্টারনেট সংযোগ চালু রাখতে কেএস নেটওয়ার্ককে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ ‘কমিশন’ দিতে হবে দুই হলের ছাত্রলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে। তাদের এ কমিশনের দাবি পূরণ না করায় দু’টি হলে সংযোগ বন্ধ করতে বলেন শাখা ছাত্রলীগ নেতারা। এরই জের ধরে গত মাসে দু’টি হলে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় কেএস নেটওয়ার্ক। পরে সেখানে অন্য একটি ব্রডব্যান্ড কোম্পানি প্রদত্ত ইনটারনেট সংযোগ চালু হয়।
এদিকে কর্মীদের অন্তঃকোন্দলেও পিছিয়ে নেই ছাত্রলীগ। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার হাজী মুহসীন হলের ঘটনায় নিজেদের দুই কর্মীকে পিটিয়ে হল ছাড়া করেছে ছাত্রলীগ। ইয়াবা ব্যবসায় ও গাঁজা সেবনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল থেকে তাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে চেয়ার ও রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে পরে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। হলছাড়া হওয়া দু’জন হলেন গত কমিটির গণশিাবিষয়ক উপ-সম্পাদক কাজী মেহেদী হাসান নিশাত। অন্যজন বিজ্ঞানবিষয়ক উপ-সম্পাদক টমাস হোসেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিগত হল কমিটির দায়িত্বে থাকায় ােভ থেকে এ কাজ করা হয়েছে। তবে হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন ইয়াবা ব্যবসায় ও দল বেঁধে গাজা সেবন করায় তাদের হল থেকে বের করে দিতে বলা হয়েছে।
এ দিকে গত ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে কবি জসীমউদ্দীন হলের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিার্থী মো: রিফাত ইসলামের সম্প্রতি অস্ত্রোপচার করা ক্ষতস্থানে লাথি মারে নিজ দলের কর্মীরা। সম্প্রতি প্রথম বর্ষের এই শিার্থী রিফাতের পেটে অস্ত্রোপচার হওয়ায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এ জন্য একাধিক সহপাঠী তাকে কর্মসূচিতে অনিয়মিত বলে গালিগালাজ করে। সেই সাথে হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি ও মুখে ঘুষি মারে তারা। সূত্রমতে, সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২১৫ নম্বর কে ডেকে নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ না নেয়ায় সিনিয়রদের আদেশে রিফাতকে মারধর করে শিা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের রেজাউল করিম, বাংলা বিভাগের শাকিল আহম্মেদসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় এদের একজন রিফাতের সেলাইয়ের ত স্থানে লাথি মারে। সেই সাথে ঘুষি দিয়ে দাঁত ও মুখ দিয়ে রক্ত বের করে ফেলে তারা।
একই সময়ে সংগঠিত অপর ঘটনায় আহত হন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পাঁচ শিার্থী। আহতদের দাবি, জগন্নাথ হলে পূজা উদযাপনকালে তারা লাইন ধরে ঘুরে ঘুরে নেচেছিল। একপর্যায়ে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উৎপল বিশ্বাসের অনুসারীরা তাদের বাধা দেন এবং ফিরে যেতে বলেন। এ সময় ছাত্রলীগকর্মীদের কথা উপেক্ষা করে তারা পাশ দিয়ে যেতে চাইলে তাদের মারধর করে উৎপলের অনুসারীরা। এ ঘটনায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি চারজনকে সাময়িক বহিষ্কার করার পাশাপাশি উৎপলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ছাত্রলীগ।
এর আগে, অভ্যন্তরীণ গ্রুপিংয়ের জেরে মারধরের ঘটনায় বিজয় একাত্তর হলের একজন দলীয় কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেলের অনুসারীরা। আহত ইউসুফ ভূঁইয়া নিরব বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদারের অনুসারী। জানা যায়, গত ২ জানুয়ারি হলের সভাপতি ফকির রাসেলের আদেশে ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ সেদিন রাত ৯টায় পদ্মা ব্লকের ১০০০৭ নং কে নিরবের ওপর হামলা চালায়। রড, লাঠি ও ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে অতর্কিত হামলায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশ থেতলে দেয় তারা। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবারের ঘটনায় চারুকলায় ক্যান্টিনের সামনে ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাজীব কুমার দাসের ওপর দলবল নিয়ে হামলা করেছেন চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফি আজাদ বান্টি। এ সময় শিা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক রাইসুল ইসলাম অনিক ও অন্যরা অংশ নেয়।
ছাত্র ইউনিয়নের অভিযোগ, গত ২৬ জানুয়ারি সুন্দরবনের রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে জাতীয় কমিটির হরতালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ার শেল থেকে রক্ষা পেতে রাজীব চারুকলা অনুষদের ভেতরে ঢুকতে চাইলে বাধা দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের সাথে রাজীব ও কয়েকজন বিােভকারী বাগি¦তণ্ডায় লিপ্ত হন। এ ঘটনার জের ধরেই মারধরের ঘটনা ঘটে।
হল কমিটি ঘোষণার পরে ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক অনিয়ন্ত্রিত কর্মকাণ্ডে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এমন পরিস্থিতি নিয়ে শহীদুল্লাহ হলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদ বলেন, ‘হল কমিটি ঘোষণার আগে এমন ঘোলাটে পরিস্থিতি অনুভূত হয়নি। কমিটি ঘোষণার পরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বে মেতে উঠেছে নবনির্বাচিত ছাত্রলীগ নেতারা।’ একই হলের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনায় একটু ভয়ে আছি। ভয়ে ভয়ে থাকেন আমাদের অভিভাবকেরাও। তথ্য-প্রবাহের যুগে কোনো ঘটনা ঘটলেই টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে বাসার সবাই জেনে যায়। বাড়ি থেকে অভিভাবকদের ফোন আসে। আমাদের চাইতেও শতগুণ বেশি উদ্বেগে থাকেন তারা।’
নাম উল্লেখ না করার শর্তে বঙ্গবন্ধু হলের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কমিটি ঘোষণার পরে যে বিষয়গুলো কানে আসছে তা আগে শুনিনি। কমিটির পরে বিষয়গুলো যেন একটু বেশিই ঘটছে বলে মনে হয়।’
উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে মতামত জানতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসানকে ফোন হলে তারা রিসিভ করেননি।
অভিযোগের জবাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, যে ঘটনাগুলো ঘটছে এর সবগুলোই ‘আন-জাসটেস্ট’। মেইন ঘটনার সাথে যেই জড়িত থাকুক তাকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। যেখানে যা ঘটছে সবগুলোতে আমরা স্টেপ নিচ্ছি। এর পরেও যদি কোথাও কোনো সমস্যা হয় তাহলে আমরা সেখানে ‘স্ট্রিক্টলি’ ব্যবস্থা নিব। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, সে যেই হোক।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সাময়িক মতপার্থক্য হয়েছে; কিন্তু এটাকে আমরা সমঝোতায় পরিণত করেছি। বড় কোনো বিশৃঙ্খলা হতে দেইনি। হল কমিটি ঘোষণার পরে এ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, হল কমিটির পরে সাধারণত সবাই একটু বেশ ভালোভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। এ সময় নিজেদের মতো করে রাজনীতিকে গুছিয়ে নেয়ার টেষ্টা করেন তারা। এ থেকে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সবসময় বিশেষ করে হলগুলোতে খবর নেয়। যেখানে কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পায় সেখানে গিয়ে তা নিরসন করে।
http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/194496