১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শনিবার, ৫:০২

এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ হচ্ছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত প্রায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি পাস হলেই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সিন্ডিকেটে উত্থাপিত হবে মুসলিম শব্দ বাদ দেয়ার বিষয়টি। আইন ও শরিয়াহ অনুষদভুক্ত ‘আইন ও মুসলিম বিধান’ বিভাগের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে বিভাগের নাম শুধু আইন বিভাগ করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করছে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে অনুষদীয় সভায় মুসলিম শব্দ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে। সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ পড়বে।
এর আগে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নেজামে ইসলাম পার্টি তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানিয়ে বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, এ সিদ্ধান্ত একটি মহলের অনৈসলামীকরণের ধারাবাহিকতারই অংশ বিশেষ। এক দিন হয়তো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে ইসলাম শব্দটি বাদ দিলেও বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। যেমনিভাবে ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজের নাম পরিবর্তন করে প্রথমে কবি নজরুল ইসলাম কলেজ পরে ইসলাম শব্দটি বাদ দিয়ে বর্তমানে শুধু কবি নজরুল কলেজ নামে ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজের নামকরণ করা হয়েছে। তা ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমউল্লাহ মুসলিম হল ও ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে শুধু মুসলিম শব্দ বাদ দেয়া হয়নি বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে ‘রাব্বি-জিদনি-ইলমা’ শব্দগুলোগুলো বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার অনুশীলন করার কসরৎ করা হচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের বিভাগীয় অ্যাকাডেমিক কমিটির ২১১তম সভায় বিভাগের নাম সংশোধনের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে তারা বিষয়টি অনুষদীয় সভায় বিবেচনার জন্য প্রেরণ করেন। অনুষদীয় কমিটিতেও বিষয়টি সতর্কতার সাথে অনুমোদন পায়। তবে অভিযোগ আছে, অনুষদীয় অ্যাকাডেমিক কমিটির মিটিংয়ের আলোচ্যসূচি সদস্যদের কাছে সভার তিন দিন আগে দেয়ার কথা থাকলেও অনুষ্ঠানে আসার পর সদস্যদের হাতে আলোচ্যসূচি প্রদান করা হয়। যেটিকে অনেকে টেবিল এজেন্ডা হিসেবে বিবেচিত করেছেন।
http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/194792