১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শনিবার, ৪:৫৫

নতুন নির্বাচন কমিশন : আশা ও আশঙ্কার কথা

|| ড. আবদুল লতিফ মাসুম ||

যেকোনো রাষ্ট্রে যে প্রতিষ্ঠানটি নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে তাকে নির্বাচন কমিশন বলা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নামে ধামে একটু ভিন্নতাও আছে। কোনো কোনো দেশে এটির নাম ইলেকট্ররাল ব্রাঞ্চ, ইলেকট্ররাল কোড, ইলেকট্ররাল কমিশন ইত্যাদি রয়েছে। তবে তাদের কাজ একই। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রগুলোয় একক আর ফেডারেল রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দুই ধাপের নির্বাচন কমিশন রয়েছে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং রাজ্য বা স্টেট পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন রয়েছে। দেশ রাষ্ট্রভেদে ইলেকশন কমিশনকে চার ভাগে ভাগ করা যায়; প্রথমত সম্পূর্ণ স্বাধীন, দ্বিতীয়ত মিশ্র প্রকৃতির, তৃতীয়ত বিচার বিভাগকেন্দ্রিক এবং শেষ পর্যায়টি হচ্ছে ক্যাবিনেটকেন্দ্রিক। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এদের নিজস্ব বাজেট ব্যাবস্থাপনা রয়েছে। মিশ্র ধরনটি অনেকটা আমাদের মতো। সরকার আর অন্যদের টানাপড়েনে থাকতে হয় এদের। বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন বিচার বিভাগের অংশ হিসেবে কাজ করে। ক্যাবিনেটকেন্দ্রিক মডেলটিতে একজন মন্ত্রী সরকারের সরাসরি দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা করেন। আমাদের নবনির্বাচিত নির্বাচন কমিশনারদের গতি-প্রকৃতি বোঝাতে এসব কথা।
পৃথিবীর আর সব দেশের মতো আমাদেরও একটি নির্বাচন কমিশন রয়েছে। সংবিধানের ১১৮/১ ও ৪৮/৩ ধারায় কমিশনের নিয়োগ ও দায়দায়িত্ব নির্ণীত করা আছে। সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশন গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে একটি আইন হওয়ার কথা। সব ক্ষেত্রে যেমন অ্যাডহক ভিত্তিতে সাময়িকভাবে সমাধান খোঁজা হয় এর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। নবগঠিত কমিশন গঠনের প্রাক্কালে সরকারের তরফ থেকে তড়িঘড়ি করে আইনটি করার কথা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। সংলাপে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোরও তাগিদ ছিল; কিন্তু অবশেষে আইনটি হয়নি। আইনটি হলে সরকার ও নির্বাচন কমিশন একটি আইনই কাঠামো বা সীমাবদ্ধতায় পড়ে যায়। সে যাই হোক আগের প্রক্রিয়ায় এরই মধ্যে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। পার্থক্য এই যে, গেল বারের চেয়ে ঘটনার ঘনঘটা বেশি হয়েছে। ‘যথাপূর্বং-তথাপরং’ হলেও অংশগ্রহণের আধিক্য এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু অসম্ভব আকস্মিকতায় সন্দেহের দোলাচল সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারব্যবস্থায় বিশেষত বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এটি সবারই বোঝার কথা যে, তার ইশারা ইঙ্গিত ব্যতীত কোনো কিছুই ঘটে না। জনগণের আশঙ্কাও সেখানে।
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন কখনোই নির্বাচনব্যবস্থার দণ্ডমুণ্ডের কর্তাব্যক্তি হয়ে ওঠেনি। তাকে সব সময়ই সরকারের অনুগ্রহের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। দলীয় সরকারের আমলে দলের আদেশ-নিষেধই ছিল শেষ কথা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সময়েই নির্বাচন কমিশন যথার্থ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছে। কারণ সরকারটি ছিল নিরপেক্ষ ও নির্বাচনকালীন। দুর্ভাগ্যের বিষয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়েছে, যাতে নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়। বিগত দশ বছর ধরে এই আজ্ঞাবহতার প্রতিযোগিতায় সম্ভবত রকীব কমিশন প্রথম স্থান দখল করবে। তারা নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এদের প্রতি মানুষের আর আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতা নেই। জনগণের ভোট ছাড়াই যে নির্বাচন হয়ে যায় তা তারা দেখিয়েছে। এদের সময়কালের নির্বাচনগুলো রক্তারক্তি, হানাহানি, সন্ত্রাস ও সহিংসতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। সব মিলিয়ে নির্বাচনকে তারা তামাশায় পরিণত করে। এখন নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য এর প্রাতিষ্ঠানিক কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে মন্তব্য করেছেন বর্তমান কমিশনের প্রথম কর্তব্য হচ্ছে ‘কনফিডেন্স’ বিল্ডিং মেজার বা আস্থা ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু করা। ২০১৯ সালের প্রত্যাশিত নির্বাচনের আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং অন্যান্য উপনির্বাচনের কার্যকারিতা জনগণ দেখতে চায়।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশন নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় একটি মাধ্যম মাত্র। নির্বাচনের জন্য সরকারই সব কিছু, যা আগেই বলেছি। এখন প্রধান রিরোধী রাজনৈতিক দল খুব সঙ্গত কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলতে না পারলেও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলছে। বস্তুত নির্বাচনকালীন সরকার যদি নিরপেক্ষ না হয়Ñ ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বেরই যদি নির্বাচন হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গ্রহণযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। যদিও প্রধানমন্ত্রী গতবারও ছোট মন্ত্রিসভা করে নির্বাচনকালীন সরকারের ছায়া দেখাতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের গণমনস্তত্ত্ব এ রকম যে, তারা সরকারপ্রধানের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমাদের আমলাতন্ত্র স্বাধীন এবং উন্নত পেশাগত মানসম্পন্ন নয়। ফলে একজন এইচ টি ইমাম প্রকাশ্যেই বলতে পারে যে, আমি প্রশাসনকে নির্বাচনকালীন সময়ে নিয়ন্ত্রণ করেছি। সুতরাং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার প্রধান শর্ত হচ্ছে সরকারপ্রধানের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা। বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোতেও নিরপেক্ষ সরকার সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে বর্তমান সংসাদের যেকোনো ব্যক্তি একটি ছোট মন্ত্রিসভাসহ নির্বাচনকালীন সময়ের নেতৃত্ব দিতে পারে। যদিও নীতিগতভাবে বিএনপির জন্য এটি বিব্রতকর, তবুও ব্যস্তবতার কারণে এটি মেনে নেয়া যায়।
নবগঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে সর্বত্র মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার ও তার অনুগামী দলগুলোর মধ্যে সন্তোষ লক্ষ করা যাচ্ছে। অন্য দিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই কমিশন সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে তাকে অগ্রহণযোগ্য বিবেচনা করছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘ব্যক্তিগত বিবেচনা ও পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে কোনো সংস্থা গঠিত হলে তার কাজকর্ম সম্পর্কে আগাম মূল্যায়ন মন্তব্য করা যায় না’। সিপিবির মতে, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছেন। সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অনুসন্ধান কমিটি বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে যে বৈঠক করেছিল, তাতে সুস্পষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে সিইসি ও কমিশনার পদে নিয়োগের কথা ছিল। তাদের সুপারিশ ছিল জনগণকে আস্থায় নেয়া, স্বচ্ছতার চর্চা করা এবং গোপনীয়তা সংস্কৃতি পরিহার করা। এ ছাড়া কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে সিইসি ও কমিশনারদের নেয়া হলো, তা প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছিল নাগরিকসমাজ। প্রকৃতপক্ষে তাদের এসব মতের কিছুই রাখা হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘নাগরিক সমাজের অন্তর্ভুক্তি চেয়েছিলাম। কারণ তাদের জ্ঞান নির্বাচনের সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়তা করতে পারত। তারা আস্থার জায়গা তৈরি করতে ভূমিকা রাখতে পারতেন।’ নবগঠিত কমিশনের সদস্যদের পেশাগত পরিচয় নিলে দেখা যায় যে, এরা সবাই আমলা। সামরিক, বেসামরিক ও বিচারিক অবস্থান তাদের রয়েছে। এখানে সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিত্বও নেই। সার্চ কমিটি গুরুত্বের সাথেই সুপারিশ করেছিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র প্রফেসরকে অন্তর্ভুক্ত করা কিন্তু তা করা হয়নি। এতে সরকারের আমলা নির্ভরতার সাথে আরেকটি মাত্রা যোগ হলো মাত্র।
নূরুল হুদা জনতার মঞ্চ সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে বলেছেন, তিনি তখন কুমিল্লার ডিসি ছিলেন। সুতরাং সংশ্লিষ্টতার সুযোগ থাকে না। আরেকটি অভিযোগ কুমিল্লার জেলা প্রশাসকের দফতর থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি অপসারণ। এর উত্তরে জনাব হুদা বলছেন, রাতের অন্ধকারে অপসারিত ছবির বিষয়ে তার সম্মতি ও সংশ্লিষ্টতা ছিল না। পরে বিএনপি সরকার কর্তৃক তাকে যুগ্মসচিব থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। এ বিষয়টির ব্যাপারে তিনি মামলা করেন। মামলায় তিনি বিভাগীয় রায় পান। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতিসহ সচিব পদে নিয়োগ করে। এতে জনাব হুদা স্বাভাবিকভাবে বিএনপির ওপর সংক্ষুব্ধ হতে পারেন। তবে নিয়োগপ্রাপ্তির পর তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি অতীত ভুলে যেতে চাই, নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চাই, বিএনপি কী করেছে বা করবে, আওয়ামী লীগ কী করবে বা করবে না, তা আমার কাছে একেবারেই বিবেচ্য বিষয় নয়। একটি বিষয় খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো দলের ওপরই আমার কোনো মান-অভিমান বা ক্ষোভ কোনো কিছুই নেই।’ তার এ মন্তব্য সহৃদয়তার প্রমাণ রাখে। তবে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমই বলে দেবে তিনি কতটা অনুরাগ বা বিরাগের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া এ সপ্তাহে ২০১৪ সালের নির্বাচনে জনাব হুদার আওয়ামী আনুকূল্য সম্পর্কে ফেসবুকে ছবি এসেছে (ছবিটি ফেকও হতে পারে)। এ ছাড়া আশঙ্কার আরেকটি কারণ হলো যে, তিনি সরকারি চাপ ও প্রভাবকে কতটা সক্ষমতার সাথে ধারণ করতে পারেন। বর্তমান সরকারের গতি-প্রকৃতি ও প্রবণতা এই যে নির্বাচন কমিশনকে বশংবদে পরিণত করা। তা ছাড়া এটি একটি টিমওয়ার্ক। টিমের অন্যান্য সদস্যের সহযোগিতা না পেলে কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হবে। জনাব হুদার ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তার ওপর অনেক কিছু নির্ভরশীল। নেতৃত্ব যদি কঠিন, কুশলী ও কার্যক্ষম হয় তাহলে তার পক্ষে প্রভাব- প্রতিপত্তি অগ্রাহ্য করা সম্ভব। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০০১ সালের নির্বাচনে সাবেক সচিব এম এ সাঈদ এ রকম আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হন। জনশ্রুতি ছিল ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্টতা, আত্মীয়তা ও আঞ্চলিক পরিচয়ে তিনি আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় ঘটে। লীগ তাকে ‘বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক’ অভিহিত করে। তখন এম এ সাঈদ বলেছিলেন, ‘আমি নিরপেক্ষ নই কিন্তু নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব’। জনাব হুদা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিনি নিতান্তই ভালো মানুষ। লোকালয়ে তার সুনাম আছে। কমিশনের কার্যকারিতা তার ওপর নির্ভর করে। আমরা সবাই জানি যে, নেতৃত্বের ওপর যেকোনো সংগঠন ও কার্যক্রমের সফলতা নির্ভর করে। জনাব হুদা ভয়ভীতি, লোভ-মোহ ও প্রশাসনিক চাপকে অগ্রাহ্য করে মেরুদণ্ড সোজা করে সব কিছু অতিক্রম করতে পারবেনÑ এই আশা সাধারণ মানুষের।
নির্বাচন কমিশনের প্রথম কাজ নাগরিক সমাজ তথা সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা। সরকারের উচিত নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল কর্তৃক যেকোনো কার্যক্রমকে নেতিবাচকভাবে দেখার যে রেওয়াজ চালু হয়েছে তার থেকে ভিন্নতর কিছু হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশন বা এর নেতৃত্ব সৎ, সাহসী ও শক্তিশালী হলেও সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যদি তাদের নেতিবাচক কার্যক্রম অব্যাহত রাখে তবে তাদের পক্ষে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। সিভিল সোসাইটির মিশ্র প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও জনগণ আশা করে নতুন কমিশন নতুন প্রতিজ্ঞায় নির্বাচনব্যবস্থার কার্যকারিতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবে। এ ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক এলিটকে বুঝতে হবে নির্বাচন সর্বস্বতার জন্য আমরা যেন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ভঙ্গুর না করে তুলি। আমরা যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি বিশ্বস্ত থাকি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে ‘‘A Politican thinks for the next election but a statesman thinks for the next generation’
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com
http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/194701