২৭ জুলাই ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১১:১৬

টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত : পানিবন্দী লাখ লাখ মানুষ

কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে দেশের বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। বাড়িতে পানি ওঠায় শত শত পরিবার আশ্রয়কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, ফসল, আমনের বীজতলা, মাছের ঘের ও খামার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট। অনেক জেলায় নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে বাঁধ, বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, গত এক সপ্তাহের টানা ভারী বর্ষণে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ভেসে গেছে বহু মৎস্যখামার। ঢাকা-নোয়াখালী মহাসড়কের মাইজদীর একটি স্থানে পানি উঠে গেছে। মাইজদী শহরের সরকারি অনেক অফিস ও বাসাবাড়িতে পানি উঠেছে। নোয়াখালী পৌরসভার সব ক’টি রাস্তা এবং বাসাবাড়ি, জেলার প্রধান বাণিজ্য শহর চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর, হাজীপুর, গনিপুর, কিসমত, করিমপুর গ্রামের অনেক রাস্তা ও বাসাবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এ দিকে টানা বর্ষণ ও জোয়ারে হাতিয়া উপজেলার পৌরসভাসহ প্রায় সব ক’টি ইউনিয়ন তলিয়ে গেছে। নি¤œচাপের প্রভাবে অব্যাহত ভারী বর্ষণে জেলা সদর, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, চাটখিলসহ ছয়টি উপজেলায় গ্রামগঞ্জের ৯০ ভাগ রাস্তা ডুবে গেছে ও অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার কাঁচা ও পাকা অনেক সড়ক প্লাবিত হয়। এসব এলাকার অনেক বাড়ি ডুবে গেছে।
চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, প্রবল ¯্রােত ও ঘূর্ণাবর্তে চৌহালীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে আবারো ৩০ মিটার এলাকায় ধস নেমেছে। এ নিয়ে ১১ বার ধসের কবলে পড়ল ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই বাঁধ। বুধবার সকালে খাসকাউলিয়া এলাকার মিয়াপাড়া অংশে এই ধস নামে। বাঁধটির নির্মাণকাজ ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। বারবার ধসের কারণে আতঙ্কিত এলাকাবাসী ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধস ঠেকাতে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে। তারা তীরবর্তীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ ছাড়া টানা বৃষ্টিপাত ও প্রবল ¯্রােতে উপজেলার উত্তরে বোয়ালকান্দি এবং দক্ষিণে পাথরাইল পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এবং যমুনার পশ্চিম পাড় এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাচিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে নদীভাঙন। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে প্রায় ৬৫০ বসত বাড়ি ও শত শত একর আবাদি জমি।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বাঁধের নকশায় ত্রুটি থাকায় বারবার এই বাঁধে ভাঙন দেখা দিচ্ছে বলে তাকে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে ছোট ফেনী নদী ও বামনী নদীর তীরবর্তী এলাকায় ২৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলীয় সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে যানবাহন ও মানুষের চলাচল। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে ঘেয়াঘাট স্টিল ব্রিজির, বাড়িঘর, মাছের ঘের, ফসলি জমি, কেল্লা, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, আশ্রয়ণকেন্দ্র। এসব এলাকার অসহায় মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।
ভাঙনকবলিত মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরী জানান, অবিরাম বর্ষণ ও ছোট ফেনী এবং বামনী নদী ভাঙনের ফলে চর ফকিরা ৬, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের শত শত বাড়িঘর, হাটবাজার নদীতে বিলীন হয়ে চরফকিরা ইউনিয়নের আয়তন ছোট হয়ে আসছে।
সেনবাগ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সেনবাগ পৌরসভা ও উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। পৌরসভা ৯টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ সড়ক ডুবে গেছে। টানা বর্ষণের তলিয়ে গেছে প্রায় ১০ হেক্টর আমনের বীজতলা। ডুবে গেছে অসংখ্য মৎস্যখামার। উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় কাদরা বালিকা মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সেনবাগ পৌরমেয়র আবু জাফর টিপু স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে পানিবন্দী লোকজনের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেন।
ফকিরহাট (বাগেরহাট) সংবাদদাতা জানান, ফকিরহাটে কয়েক দিন ধরে অবিরাম প্রবল বৃষ্টির ফলে শত শত বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাকা সড়ক ও কাঁচা রাস্তা নিমজ্জিত হয়েছে। অনেক মৎস্য ঘের, পুকুর ও পানের বরজ ও ফসল তলিয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানিতে থৈ থৈ করছে। বিভিন্ন হাটবাজার, নি¤œাঞ্চলের ঘরবাড়ি, পুকুর, রাস্তাঘাট ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। প্রবল বৃষ্টিতে খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। বহু প্রতিষ্ঠান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো স্কুলে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: শাহানাজ পারভীন জানান, ভৈরব নদী পলি জমে এবং খননের অভাবে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন অঞ্চল পানিতে ডুবে যাচ্ছে।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা জানান, প্রায় এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে তলিয়ে গেছে উপজেলার শত শত বিঘা জমির কাঁচাপাকা ধান। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চরবালিয়াকান্দী, হাউলি কেউটিল, বিলডাঙ্গা, তেনাপচা, দেবগ্রাম, দৌলতদিয়া, বাহের চর দৌলতদিয়া রিয়াজদ্দিন পাড়া, মৃধা ডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়ির চার পাশে ও উঠানে পানি জমেছে। এ সব এলাকার মাঠের ফসল পানির নিচে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে রোপণ করা কাঁচাপাকা ধান ও ৩০ হেক্টর জমির বীজতলা তলিয়ে গেছে।
গোয়ালন্দ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে গোয়ালন্দ প্রপার হাইস্কুলের পাশের পাকা সড়ক ও ছোটভাকল ইউনিয়নের চরবালিয়াকান্দী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের পাকা সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক ধসে চলাচলে বিঘœ ঘটছে।
চর বালিয়াকান্দি গ্রামের অজয় বিশ^াস, হাউলিকেউটিল গ্রামের আ: রহমান, রিয়াজদ্দিন পাড়ার ও মৃধা ডাঙ্গার মনো সরদার, আলামীন সরদার জানান, অতি বর্ষণে তাদের এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পৌর এলাকার অলিমদ্দিন সরদার পাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী আ: মান্নানের ছেলে মানিকসহ অনেকের বাড়িঘরে পানি উঠে যাওয়ায় তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালের বার্তী গ্রামের কৃতী সন্তান ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অপারেশন) মোখলেসুর রহমান (পান্না) সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী ও বস্ত্র (শাড়ি-লুঙ্গি) বিতরণ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইরমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩০০ পরিবারের মধ্যে এসব ত্রাণসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর আগে সোমবার তিনি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, টানা বর্ষণ ও ভারতের পানিতে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। লেকের ওপর চাপ কমাতে বাড়তি পানি ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার লেকের ১৬টি স্পিলওয়ে দিয়ে (২ ফুট উচ্চতায়) প্রতি সেকেন্ড ৩৮ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। কাপ্তাই বাঁধের ছেড়ে দেয়া পানিতে রাঙ্গুনিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা এবং চট্টগ্রামসহ কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় শত কোটি টাকার ওপরে। গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব স্প্রিলওয়ে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩ লাখ ৮০ হাজার কিউসেক পানি ছাড়ার কারণে এবং দীর্ঘ দিন যাবৎ জলাবদ্ধতা বিরাজ করায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসনের পরিসংখ্যান মতে প্রতি বছর রাঙ্গুনিয়ার ২৩২ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়। তিগ্রস্ত হয় ২৫ হাজার ২৮০ পরিবার, বিধ্বস্ত হয় ২৮০টি বসতবাড়ি, ভেঙে যায় এক কিলোমিটার বাঁধ, দুইটি ব্রিজ ও দুইটি কালভার্ট, তিগ্রস্ত হয় সড়ক ও জনপথের ২০ কিলোমিটার, এলজিইডির ২৫ কিলোমিটার এবং ৫ শতাধিক কাঁচা রাস্তা, ডুবে যায় ৫ শতাধিক হ্যাচারিসহ ৩ হাজার পুকুর, মারা যায় মুরগিসহ হাজারের বেশি গৃহপালিত পশুপাখি। তিগ্রস্ত হয় ৩১টি প্রাইমারি স্কুল, ১১টি হাইস্কুল, ৫টি মাদরাসা ও ৩টি কলেজ, তিগ্রস্ত হয় ২৮টি মসজিদ ও মন্দির।
কাপ্তাই হ্রদের ছেড়ে দেয়া পানির প্লাবন ও ইছামতি নদীসহ অন্যান্য খাল ও ছড়া দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ৪৫ বছরে রাঙ্গুনিয়ায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পদের তি সাধিত হয়। বন্যাপরবর্তী ৩ মাস পরও রাঙ্গুনিয়ায় খেটে খাওয়া মানুষের কাজ কর্ম থাকে না।
শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা জানান, গত তিন দিনের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। শেরপুর শহরতলীর হাসপাতাল রোড পল্লীবাস পাড়া এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শত শত মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন না থাকায় অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়েছে বৃষ্টির পানি। পল্লীবাস এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা নবগঠিত ১০ নং শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। খন্দকারটোলা মোজৗয় আমাদের ঘরবাড়ি। এখানে বসবাসরত দুই শতাধিক পরিবার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে কাঁচা ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি। এলাকায় অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণ করার ফলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোনো ড্রেন না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে প্রচণ্ড জলাবদ্ধতা। অসহনীয় এই চিত্র স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কোনো সাড়া মেলেনি। বগুড়া-৫ শেরপুর-ধুনটের এমপি আলহাজ মো: হাবিবুর রহমান এলাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য বার বার আশ^স্ত করলেও কোনো কাজ হয়নি।
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা জানান, এক সপ্তাহের বিরামহীন বৃষ্টিতে দামুড়হুদা উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানিবন্দী অবস্থায় দামুড়হুদা উপজেলা সদরে বসবাস করছে শতাধিক পরিবার। তলিয়ে গেছে ধান, বেগুন ও পটোলক্ষেত। বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলা শহরের গ্রামীণ টাওয়ারের সামনের সড়কটি হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। ওই নোংরা পানি মাড়িয়ে এলাকার মুসল্লিদের মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে হয়। এ ছাড়া শিশুদের ওই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কিন্তু ওই সড়কটি কয়েক বছরেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, ড্রেনেজব্যবস্থা না থাকায় তারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান বলেন, তলিয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা জানান, কেশবপুরে ৬ দিনের বৃষ্টিতে ও চারটি নদীর উজানের পানিতে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত। পানিবন্দী ৫০০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে।
২৫৪৩টি মাছের ঘের, ৩৮২০টি পুকুর ভেসে গেছে। ১১০ হেক্টর আউশ, ১৫০ হেক্টর বীজ তলা, ১৩০ হেক্টর রোপা আমন, ২১৫ হেক্টর সবজি ও ১০ হেক্টর পানের বরজ তলিয়ে গেছে। তির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। উপজেলা শহরের ৭৫ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। একটি পৌরসভা ও উপজেলার ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/239197