২৭ জুলাই ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৯

৫৭ ধারায় নাকাল মিডিয়া

লিখছি; হঠাৎ দেখি চেয়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’জন পুলিশ। সামনে তাকাতেই চোখে পড়লো বার্তা সম্পাদক ও চিফ রিপোর্টারকে ঘিরে রাখা হয়েছে। সব সহকর্মীকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেয়া হলো। কম্পিউটার ঘাটাঘাটি হুলুস্থুল কান্ড। বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে দুই ঘণ্টা তল্লাশির পর তিন সহকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হলো। এ ঘটনার কয়েক মাস পর মধ্যরাতে পত্রিকায় কর্মরত অবস্থায় বার্তা সম্পাদককে আবার গ্রেফতার করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা দু’টি মামলায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর গভীর রাতে সম্পাদকের বাসায় তল্লাশি, তাঁর বয়োবৃদ্ধ অসুস্থ মায়ের বাসায় গভীর রাতে তল্লাশি, অফিসে পুলিশের নজরদারী; নিত্য আসা-যাওয়া হুলুস্থূল কান্ড! ইনকিলাব সম্পাদক ও সহকর্মীদের এখনো চলছে আদালতে দৌড়ঝাঁপ। দেশের নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে করার লক্ষ্যে প্রণীত তথ্যপ্রযুক্তির আইন-২০১৩ এর ‘৫৭ ধারা’ তুমি সংবাদপত্র কর্মীদের এতো ‘তাড়া করছো’ কেন? 

‘স্বপ্রণোদিত বিবর্জন’ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘সেলফ সেন্সরশিপ’। মিডিয়া কর্মীরা সব সময় এখন এই শব্দটি হৃদয়ে ধারণ করেন। কিছু লেখার আগেই ‘সেলফ সেন্সরশিপ’ শব্দটি সবার মনে এসে যায়। তারপরও তথ্যপ্রযুক্তি আইন-২০১৩ এর ৫৭ ধারায় নাকাল হচ্ছেন মিডিয়াকর্মীরা। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং নীতি-নির্ধারকরা ধারাটিকে ‘সাংবাদিক নির্যাতনের জন্য নয়’ বরং ‘রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ’ দাবি করছেন। গতকালও মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ৫৭ ধারা সাংবাদিকদের উচ্ছেদের জন্য নয়; নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই করা হয়েছে। বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো। দৈনিক ইনকিলাবসহ দেশের অনেকগুলো মিডিয়া এই ধারার অপব্যবহারে নাস্তানাবুদ। সরকারের দাবি ‘রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ’ বা তথ্যমন্ত্রীর দাবি ‘নাগরিকের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত’ করা সরকারের দায়িত্ব; কিন্তু আইনটির অপব্যবহারে যে সাংবাদিক সমাজ আতঙ্কিত সেটা দূর করার দায়িত্ব কার?
যে কোনো আইন ভাল কাজে ব্যবহৃত হলে জনগণ উপকৃত হয়। কিন্তু ওই আইনের যদি অপব্যবহার হয়; যদি হিংসা-প্রতিহিংসায় প্রয়োগ করা হয় তাহলে ভাল আইনও ‘ভাল’ থাকে না; ‘কালো’ হয়ে যায়। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা যতই সৎ উদ্দেশে করা হোক না কেন ধারাটিকে মানুষ এখন ‘কালো’ আইন মনে করছে। দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, বিভিন্ন পেশাজীবী, সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব), সম্পাদক পরিষদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, রেডিও-টিভির সংবাদকর্মীসহ সর্বস্তরের সাংবাদিক এই ধারা বাতিলের দাবিতে হয়েছেন সোচ্চার। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই গ্রæপ ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইন-২০১৩-এর ৫৭ ধারা নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এই আইন থেকে ধারাটি বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে। মামলা বর্তমানে বিচারাধীন।
দেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম ড. কামাল হোসেনসহ সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং প্রখ্যাত আইনজীবীরা ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বিশ্লেষণ করে ৭টি বড় ধরনের অস্পষ্টতা দেখেছেন। সেগুলো হলো ‘মিথ্যা ও অশ্লীল, নীতিভ্রষ্টতা, মানহানি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমর্যাদা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি’। এই ৭টি অপরাধ আদৌ করা হয়েছে কি-না, আইনে তা নির্ধারণের ভার দেয়া হয়েছে পুলিশ বাহিনীকে। পুলিশই অভিযোগ শুনে মামলা নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা পাঠাতে পারবে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। এতো স্পর্শকাতর আইনের অপরাধী নির্ধারণের ক্ষমতা শুধু পুলিশের! আমাদের পুলিশ বাহিনী কি এ দায়িত্ব কখনো চেয়েছে? সারাদেশে দায়িত্ব পালনরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পক্ষ্যে কি একাধারে সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ, ভাষাবিদ, জনপ্রশাসনবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ধর্মবিশারদ এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞ হওয়া সম্ভব! পুলিশ সেটা দাবিও করছে না। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা প্রয়োগের চেয়ে অপপ্রয়োগ হচ্ছে বেশি। মামলার ক্ষেত্রে হিংসা-প্রতিহিংসা বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। ২৬ জুলাই ইনকিলাবের এক রিপোর্টে বলা হয় গত এক বছরে সারাদেশে অন্তত ৫০টি মামলা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায়। এর মধ্যে চলতি বছরে দায়ের করা হয় ৩৫টি মামলা। অধিকাংশ মামলা হয়রানিমূলক এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ। এর মধ্যে আসামি হয়েছে ১৬ জন সাংবাদিক। যাদের বিরুদ্ধে এ ধারায় মামলা হয়েছে তারা হারে হারে টের পাচ্ছেন ৫৭ ধারার যন্ত্রণা কাকে বলে। সেলফ সেন্সরশিপের পরও মামলা ভোগান্তি পরিস্থিতিকে নাজুক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ায় সাংবাদিক সমাজের পাশাপাশি প্রায় সর্বমহল থেকে ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি উঠেছে।
দেশের সবকিছুই এখন ডিজিটাল। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও সুযোগ্য নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি গ্রামগঞ্জে এখন ল্যাবটপের ব্যবহার হয়; ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায়। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে ২০০৬ সালে প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি আইন তৈরি করা হয়। ওই আইনে ৯টি অধ্যায়ে মোট ৯০টি ধারা যুক্ত করা হয়। ২০১১ সালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে সংশোধন আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর তথ্যপ্রযুক্তি আইন সংসদে সংশোধিত আকারে পাস করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটার ও প্রার্থীবিহীন নির্বাচনের পর প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা প্রয়োগ হয় গণমানুষের মুখপত্র ইনকিলাবের ওপর।
সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ আর ‘নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলনে’ দেশের মানুষের চরম বিপর্যয়কর অবস্থা। জ্বালাও-পোড়াওয়ে সবখানে বিশৃঙ্খলা। রাজধানী ঢাকা থেকে সারাদেশ বিচ্ছিন্ন। কোনো কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে না। ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন চিকিৎসার জন্য গেছেন দেশের বাইরে। এমন এক পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং জনগণের মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্বস্তির লক্ষ্যে নতুন সরকারের কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কে সুপারিশ ও দিক-নির্দেশনামূলক একটি লেখা লিখছিলাম। মাগরিবের আজানের ধ্বনি ভেসে আসছে কানে। হঠাৎ দেখি চেয়ারের পিছনে পুলিশ। প্রথমে মনে হলো হয়তো কোনো ক্রাইম রিপোর্টারের কাছে এসেছে। মুহূর্তেই ভুল ভেঙ্গে গেল। অফিসের চর্তুদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গিজ গিজ করছে। বার্তা সম্পাদককে ঘিরে রেখেছে। অন্যান্য টেবিলের সামনে বন্দুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সকলকে এক জায়গায় দাঁড় করানো হলো। একটি লেখা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হচ্ছে। বার্তা বিভাগে কর্মরত মনিরুজ্জামান নামের এক সহকর্মী কিছু জানতে চাওয়ায় জুটলো ‘কিলঘুষি’। ভীতি-আতঙ্ক-বিভীষিকাময় অবস্থা।
নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলনের সময় বিএনপির নয়াপল্টস্থ অফিস থেকে ২০ দলীয় জোটের অর্ধশতাধিক নেতাকে গ্রেফতার করে রশি দিয়ে বেঁধে সারিবদ্ধভাবে গাড়িতে তোলার দৃশ্য সরাসরি টিভি পর্দায় দেখেছিলাম। এখন নিজের অফিসে এ অবস্থা! সবকিছু তছনছ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভীষিকাময় অবস্থার সৃষ্টি করে দুই ঘণ্টা তল্লাশির পর তিন সহকর্মী বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবি, চিফ রিপোর্টার রফিক মুহম্মদ ও রিপোর্টার আহমেদ আতিককে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হলো। তারপরের কাহিনী সবার জানা। ওয়ারী থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার তিন সহকর্মীকে আদালতে নেয়ার পর ঢাকা মহানগর হাকিম ইউনুস খান উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সম্পাদক বিদেশে, পত্রিকা অফিসের প্রেস সিলগালা। অফিসে নিত্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আনাগোনা। সাংবাদিকদের সস্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া। চিকিৎসার জন্য সম্পাদক বিদেশে। বর্তমান সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র-প্রভাবশারী নেতার সঙ্গে সম্পাদকের ওঠা-বসা; ক্ষমতাসীন দলের এমপি আত্মীয় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বন্ধুবান্ধব; তারপরও তাঁর খোঁজে উত্তরার বাসায় গভীর রাতে তল্লাশির নামে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হয়। সম্পাদকের অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ মা বনানীতে থাকেন। সে বাসায় গভীর রাতে পুলিশের তল্লাশির নামে কেয়ারটেকারকে গালিগালাজ করা হয়। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আদালতের নির্দেশে পত্রিকা খুলে দেয়া হলেও গ্রেফতার ভীতি আতঙ্ক এবং অফিসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী কমে না; বরং বেড়ে যায়। কারাবন্দি সহকর্মী রবিউল্লাহ রবি, রফিক মুহম্মদের অসহায় স্ত্রী-অবুঝ শিশু সন্তানদের মুখে দিকে তাকানো যায় না। দীর্ঘ দেড়মাস কারাভোগের পর সহকর্মীরা জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে আসলেও হয়রানী কমে না। হাতে গোনা কিছু সাংবাদিক ‘নীরব’ থাকলেও অধিকাংশ সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা ইনকিলাবের পাশে দাঁড়ান। তারা ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ করেন এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নানান কর্মসূচি দেন। এই অবস্থায় আগস্ট মাসে আবার গভীর রাতে ইনকিলাব অফিসে তল্লাশি করে পুলিশ বার্তা সম্পাদককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পুলিশের একজন কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট লেখায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলায় পুলিশ বার্তা সম্পাদককে গ্রেফতার করে। রিপোর্টটি প্রকাশের পর প্রতিবাদ ও ভুল স্বীকার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরও নিয়ম অনুযায়ী প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ না করে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করায় গণমানুষের মুখপত্র ইনকিলাবের কর্মীদের চরম বিপর্যয়কর অবস্থায় পড়তে হয়। সহকর্মী ক্রাইম রিপোর্টার সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জানাশোনা; তারপরও তাকে মাসের পর মাস পালিয়ে থাকতে হয়েছে।
মাননীয় তথ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য; সংবাদিক নির্যাতনের জন্য নয়। অথচ ইনকিলাবসহ অনেক মিডিয়াকর্মী ওই ধারার মামলায় নির্যাতিত হয়েছেন এখনো হচ্ছেন। তাহলে কি ধরে নেব দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী, সুশীল সমাজ যে আইনটির অপব্যবহারের শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বাস্তবে সেটাই হচ্ছে? নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫৭ ধারাটি করা হলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ওই আইনে মামলা কেন? সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য তো সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রেস কাউন্সিল রয়েছে। যদি মিডিয়ার কণ্ঠরোধ এবং সাংবাদিক নিবর্তন করার চিন্তা না থাকে; তাহলে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব, সম্পাদক পরিষদ, সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোর তথ্যপ্রযুক্তি আইনের যে ‘৫৭ ধারা’ বাতিলের দাবি করছে তা নেয়াই কি যুক্তিসঙ্গত নয়? নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তো অন্য আইনও প্রণয়ন করা যায়। মাননীয় তথ্যমন্ত্রী কি ভেবে দেখবেন?

 

https://www.dailyinqilab.com/article/89210/