২৬ জুলাই ২০১৭, বুধবার, ১১:৫৮

ইইউ থেকে অবৈধ বাংলাদেশী ফিরিয়ে নিতে রাজি সরকার

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে নিতে নীতিগত সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। তবে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিতদের বাংলাদেশী নাগরিকত্ব যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করতে চায় সরকার। ইইউর চাপ সত্ত্বেও এই প্রক্রিয়া শেষ করতে কোনো নির্ধারিত সময়সীমা থাকা উচিত না বলে মনে করে বাংলাদেশ।
অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে নিতে ইইউর সাথে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (এসওপি) সই করতে সম্মত সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১১ জুলাই ব্রাসেলসে ইইউ-বাংলাদেশ যৌথ কমিশনের অষ্টম সভায় অভিবাসন ইস্যুতে গভীর আলোচনা হয়। সভায় অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৬ সালের জুনে ইইউর দেয়া খসড়া এসওপির সংশোধনী উত্থাপন করে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এসওপি নিয়ে সমঝোতা শেষ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করে ইইউ। সমঝোতায় অগ্রগতি না হওয়ায় ইইউ অসন্তোষ প্রকাশ করে। চলতি জুলাইয়ের মধ্যেই এ ব্যাপারে সমঝোতা সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানায় ইইউ।
প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) পরিসংখ্যান দফতর ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৯৩ হাজার ৪৩৫ জন বাংলাদেশীকে অবৈধ অভিবাসনের প্রচেষ্টার সময় আটক করা হয়েছে। সম্প্রতি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বিভিন্ন রুটে ইইউতে অবৈধভাবে অভিবাসন চেষ্টা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক বাংলাদেশী নৌকাডুবিতে প্রাণও হারান। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
এরই প্রেক্ষাপটে ইইউ বলছে, আটক ব্যক্তিদের তালিকা বাংলাদেশকে দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে আটক ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ফিরতে বাধ্য করা হবে। নতুন শর্ত যুক্ত করে চলতি মাসের মধ্যেই একটি এসওপি চূড়ান্ত করতে চায় ইইউ। কিন্তু এমন প্রস্তাবে সাড়া দিতে যৌথ কমিশন সভায় অপারগতা জানিয়েছে সরকার।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/238942