২৪ জুন ২০১৭, শনিবার, ১২:১০

চাহিদা কমলেও রাজধানীতে মাছ মাংসের দাম চড়া

ঈদ সামনে রেখে মানুষ ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। ফলে আস্তে আস্তে ফাঁকা হচ্ছে যানজটের এ শহর। এ কারণে বাজারে ভোক্তা উপস্থিতিও কমছে। পাশাপাশি কমছে পণ্যের চাহিদাও। তারপরও বাজারে মাছ-মাংসের দাম চড়া। অস্থিরতা চিনির বাজারেও। তবে আমদানি করা রসুনের দাম কমেছে। কেজিতে ২০ টাকা কমে রসুন দেড়শ’ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। ছোট আকারের ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা এবং বড় আকারের ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়। লেয়ার বিক্রি হয় ১৮০ টাকায়। এছাড়া ছোট আকারের সোনালি (কক) মুরগি জোড়া ২৮০ টাকা, বড় আকারের সোনালি মুরগি জোড়া আড়াইশ’ টাকায় বিক্রি হয়।
কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা ইমরান জানান, ঈদ সামনে রেখে পাইকারি বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। তাই তারাও বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। ঈদের আগে দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
মুরগির মাংসের মতোই চড়া ভাব ছিল গরুর মাংসের বাজারে। রোজার মাস জুড়ে গরুর মাংস প্রতি কেজি নির্ধারিত দাম ৪৭০ টাকা বিক্রি হলেও শুক্রবার বিক্রি হয় ৫০০ টাকায়। মিরপুরের কোনো কোনো বাজারে গরুর মাংস সাড়ে ৫৫০ টাকায়ও বিক্রি হয়।
মুদি দোকানি কামরুল জানান, এবারের ঈদে গত বছরের দামেই সেমাই বিক্রি হচ্ছে। পাউডার দুধ ও প্যাকেটজাত দুধও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। খোলা সেমাই কেজি ৬০ টাকা, লাচ্ছা সেমাই একশ’ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সুগন্ধি চাল প্রতি কেজি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চাল একশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকার মিরপুরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে দেখা যায়, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে শসা, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি। পটোল প্রতি কেজি ২০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ২৫-৩০ টাকা এবং পেঁপে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার কারওয়ান বাজারে রুপচাঁদা মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, রুই মাছ ২৮০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। ইলিশের জোড়া (প্রতিটি ৬শ’ থেকে ৭শ’ গ্রাম) ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা বিক্রি হয়। একজন ক্রেতা জানান, রুই ও কাতল মাছের দাম আগের চেয়ে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ঈদ আপ্যায়নের মূল অনুষঙ্গ সেমাই, দুধ, কিশমিশ, দারুচিনির দাম নাগালের মধ্যে থাকলেও অস্থিরতা বিরাজ করছে চিনির বাজারে। খুচরা চিনি বিক্রেতা ইউসুফ আলী জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে খোলা চিনি কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬৬-৬৭ টাকা।

http://www.jugantor.com/last-page/2017/06/24/134995/