১৩ জুন ২০১৭, মঙ্গলবার, ১২:৩৪

আবাসনে নতুন খড়গ

প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট আইনের বিরূপ প্রভাব

সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতে ৫ বছরের জন্য ভ্যাট অব্যাহতি চায় রিহ্যাব
আওয়ামী লীগের রুপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে ‘সবার জন্য আবাসন’ নিশ্চিতের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ আবাসন খাত বর্তমানে বিপর্যয়কর অবস্থায়। দেশ উন্নয়নের সিঁড়িতে উঠলেও আবাসনখাতে চলছে চরম মন্দা। প্রায় ৭২ লাখ (৩৬ লাখ শ্রমিক ও ৩৬ লাখ কর্মকর্তা কর্মচারী) মানুষের কর্মসংস্থানের এই খাতে ‘মরার ওপর খরার ঘাঁ’ এর মতো ভ্যাট চরম ঝুকির মুখে ফেলছে। এমনিতেই জমির মূল্য, নিবন্ধন, অপরিশোধিত ব্যাংক ঋণ, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগসহ বিভিন্ন খাতে খরচ বেড়ে গেছে; তারপর এ খাতে ব্যবহৃত সকল পণ্য স্টিল, লোহা, ইস্পাত, সিমেন্ট, বালু, ইট সবগুলোর উপর পৃথক পৃথক ভাবে শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ করায় নির্মাণ ব্যায় বিপুল ভাবে বেড়ে যাবে। এ সিদ্ধান্তে মন্দা আরো দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশংকা করছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। স্বয়ং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের আবাসন খাত অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ করে থমকে গেছে। এই ‘হঠাৎ থমকে’ যাওয়া খাতকে এগিয়ে নেয়ার বদলে করারোপের মাধ্যমে ‘স্থবির’ করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামীন বলেন, ৭ বছর থেকে আবাসন খাত বিপাকে রয়েছে। এই শিল্পের সাথে জড়িতরা বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। আবার নতুন করে ভ্যাট আরোপের ফলে মন্দা আরো স্থায়ী হবে। রিহ্যাবের সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতে আগামী ৫ বছরের জন্য ভ্যাট অব্যাহতির দাবী জানিয়েছেন। এদিকে ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও এখনই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদেরকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র মতে, ১ জুলাইয়ের পর থেকে ফ্ল্যাটের অর্ধেক মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। অর্থাৎ প্রকৃত মূল্যের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এ সিদ্ধান্তে নির্মাণ খাতের প্রধান উপকরণ রডে দাম বাড়বে টনপ্রতি সাড়ে ৭ হাজার টাকা। এছাড়া আরেক নির্মাণ উপকরণ ইটের দামও বাড়বে হাজারপ্রতি সাড়ে ৪শ’ থেকে ৬শ’ টাকা। যদিও কাঁচামালের দামের অজুহাত দেখিয়ে ইতোমধ্যে এই দাম বাড়িয়েছে কিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
জানা যায়, বর্তমানে আয়তন ভেদে ফ্ল্যাটের ওপর ভ্যাট আরোপিত আছে ১ থেকে ১১শ বর্গফুট ফ্ল্যাটের ওপর সংকুচিত ভিত্তিমূল্যে দেড় শতাংশ, ১১শ থেকে ১৬শ বর্গফুটের ওপর আড়াই শতাংশ এবং ১৬শ বর্গফুটের বেশি হলে সাড়ে ৪ শতাংশ হারে। কিন্তু নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।
অর্থবিল ২০১৭ এর মাধ্যমে নতুন ভ্যাট আইন সংশোধন করা হয়েছে। প্রথম তফসিল সংশোধন করে ভ্যাট অব্যাহতির প্রাপ্ত পণ্য ও সরবরাহ তালিকা বাড়ানো হয়েছে। তফসিলের ১১নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘স্থাবর সম্পত্তি আবাসিক ভবন সংক্রান্ত হলে নতুন আবাসিক ভবনের প্রথম বিক্রয় বা আবাসিক ভবন হিসেবে প্রথম ব্যবহারের দুই বছরের মধ্যে পরবর্তী বিক্রয় ব্যতীত তার বিক্রয়।’ এই অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, নতুন ফ্ল্যাট ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এরপর দুই বছর পর্যন্ত তা হস্তান্তর হলে ভ্যাট দিতে হবে না। কিন্তু দুই বছর পর তা আবার বিক্রি বা হস্তান্তর করা হলে আবারও সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আগে ফ্ল্যাটের ওপর সংকুচিত ভিত্তিমূল্যে ভ্যাট দেয়ায় আবাসন ব্যবসায়ীরা রেয়াত নিতে পারতেন না। নতুন আইনে উপকরণ কর রেয়াত নেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে ভ্যাট হার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে আরো কমে আসবে।
আবাসন খাতে ভ্যাট প্রসঙ্গে বাজেট প্রস্তাবনার আগেই সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আবাসন খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেয়া হলে খাতটি মুখ থুবড়ে পড়বে। কোনো উন্নয়নশীল দেশে এত ভ্যাট নেয়া হয় না। ভ্যাট বা ট্যাক্সের আওতা না বাড়িয়ে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের ওপর তা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটা হতে পারে না। আবাসন খাতকে রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদে ও সিঙ্গেল ডিজিট হারে সুদের ব্যবস্থা করারও তাগিদ দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের আবাসন খাত অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ করে থমকে গেছে। তিনি বলেন, আবাসন শিল্প ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। তাই আমাদের আবাসনে আরো মনোযোগী হতে হবে। এখন পরিবেশের কথা মাথায় রেখে আবাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, আমাদের নীতি হওয়া উচিত জনবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব। কিন্তু তা হচ্ছে না। অন্যের যুক্তিতে ও পরামর্শে আইন করা হচ্ছে। ফলে সেগুলো বাস্তবায়ন করা যায় না।
আবাসন সংশ্লিষ্ট খাতকে সংবেদনশীল উল্লেখ করে হ্রাসকৃত হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব দিয়েছিল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। আবাসন খাতের ওপর দেড় শতাংশ, স্টিল খাতের ওপর দশমিক ৫ শতাংশ, ইটের ওপর দেড় শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে সেটিকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বর্তমানে আবাসন খাত ভালো অবস্থায় নেই। অনেক ফ্ল্যাট অবিক্রীত আছে। তা ছাড়া আবাসন খাতের ওপর লোহা, ইস্পাত, সিমেন্ট, বালু, ইটসহ বিভিন্ন খাত নির্ভরশীল। তাই এই খাতে পৃথকভাবে নজড় দেওয়া দরকার। শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ব্যবসাবাণিজ্যে আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। ২০০৮ সালের মন্দা থেকে এখনো বিশ্ব বেরিয়ে আসতে পারেনি। আমাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। আবাসন খাতে গতি ফিরিয়ে আনতে কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করতে হবে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘১৯৯১ সাল থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত হয়েছে। তাতে ভোক্তারা ও ব্যবসায়ীরা অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। আমি ভ্যাট হার ১৫ শতাংশই বহাল রাখার প্রস্তাব করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘মূল্য সংযোজন কর বর্তমানে এক অভিন্ন হারে প্রয়োগ করা হবে। হারটি হবে ১৫ শতাংশ এবং এটি আগামী ৩ বছরের জন্য অপরিবর্তিত থাকবে।’ যদিও অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় সংকুচিত ভিত্তিমূল্যের ব্যাপারে কিছুই বলেননি। এসব খাতের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ফলে কী প্রভাব পড়বে সেটিও উল্লেখ করেননি তিনি।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, আবাসন শুধু বাসস্থানের জন্যই নয়; একটি পরিবারের জন্য একধরণের নিরাপত্তাও। তিনি বলেন, বাজেটে আমাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করা হয়নি। আবাসন সেক্টরের জন্য ভালো কিছু নেই। কাচাঁমালের উপর ভ্যাট আরোপে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা খরচ বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, এমনিতেই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ রেজিস্ট্রেশন ব্যয় বাংলাদেশে। তারপর আবার নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। যা একেবারেই অসম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
রিহ্যাব সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রুপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতের কথা বলেছেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রাইভেট সেক্টরকে দরকার। আমরা আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য হলেও বাজেটে আবাসন খাতের জন্য নতুন কোন সুযোগ-সুবিধা থাকছে। অথচ ঘটলো উল্টো। যদিও তিনি এখনো আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবাসন খাতের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, আইন প্রণয়ন করে সংসদ। জনগনের প্রতিনিধিরাই সংসদে বসে আছেন। গণদাবি সবার জন্য আবাসন। অথচ গণদাবির বিষয়ে সংসদে কোন আলোচনাই নেই।
রিহ্যাবের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতে আগামী ৫ বছরের জন্য ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছেন। তিনি বলেন, আবাসন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাটের হিসাব রাখতে পারবে না। ভ্যাটের কারণে মানুষ এ খাতে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবে। এ খাতের স¤প্রসারণে আগামী ৫ বছর ভ্যাট হলিডে দেয়া দরকার। অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করে তিনি বলেন, সবার আবাসন নিশ্চিত করতে বাজেটে আমরা ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল করার প্রস্তাব করেছি। বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, এ খাতের সঙ্গে ৩৬ লাখ শ্রমিক ও ৩৬ লাখ শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। সরকারকে এ খাত নিয়ে ভাবা উচিত।
আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, ২০১২ সালের শেষে এ খাতে মন্দা শুরু হয়। সে সময় অভিজ্ঞ-অনভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের হাতে ছিল এ বাজার। বিশেষ করে মন্দা শুরু হওয়ার পর মৌসুমি ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের প্লট বা ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে সটকে পড়েন। মন্দার কারণে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় বিনিয়োগ আটকে যায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদেরও।
এদিকে আবাসন খাতের প্রধান উপকরণ রডও নিস্তার পায়নি নতুন ভ্যাট আইনের থাবা থেকে। প্রকৃত মূল্যের ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ফলে রডের দাম বাড়বে। বর্তমানে রডে টনপ্রতি ৫০০ টাকা ভ্যাট দিয়ে আসছে ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে অটো রি-রোলিং মিল এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আনামুল হক ইকবাল বলেন, রডের ওপর ভ্যাট আরোপের ফলে টনপ্রতি রডের দাম বাড়বে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সরকার। কারণ সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়ও আনুপাতিক হারে বাড়বে। পাশাপাশি ব্যক্তি খাতে ভবন নির্মাণের খরচ বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, এনবিআর বলছে নতুন আইনে রেয়াত নিতে পারবেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু রড তৈরি কাঁচামাল হচ্ছে স্ক্রপ ও ভাঙ্গারির দোকান থেকে সংগ্রহ করা পুরাতন লোহা-লক্কর। ভাঙ্গারির দোকানদারের কাছ থেকে পুরাতন লোহা কিনলে তিনি চালান দিতে পারবেন না। কারণ ওই দোকানদার এসব সংগ্রহ করেন টোকাই ও ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে। অর্থাৎ রি-রোলিং মালিকদের রেয়াত পাওয়ার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং এন্ড স্টিল মিলস্ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শহিদউল্লাহ বলেন, বাজেটে ১০৪৩টি এইচ.এস. কোড ভূক্ত আইটেমকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ সব পণ্যের সঙ্গে মৌলিক চাহিদার অন্যতম উপাদান এম.এস. রড সহ অন্যান্য এম.এস প্রডাক্টকে ভ্যাট অব্যাহতি প্রাপ্ত তালিকার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে লৌহ শিল্পের কাঁচামালের পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ আয়রণ এন্ড স্টীল ইম্পোর্টারস এসোসিয়েশন। সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমীর হোসেন নুরানী বলেন, ভ্যাট আইনের কারণে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিমন্ডলে ব্যপক মূল্যস্ফিতি দেখা দিবে। একই অবস্থা নির্মাণ খাতে আরেকটি উপকরণ ইটের। আগে ট্যারিফ মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো। নতুন আইনে প্রকৃত মূল্যের ওপর ভ্যাট দিতে হবে। আর তাই প্রতি হাজার ইটের দাম বাড়বে ৬০০ টাকা। যা মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে।

https://www.dailyinqilab.com/article/83587/