২৬ মে ২০১৭, শুক্রবার, ১০:৪৪

সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে ৬ ঘণ্টা

রমজানও লোডশেডিং মুক্ত থাকছে না

বরাবরের মতো এবারো পবিত্র রমজান মাস লোডশেডিং মুক্ত থাকছে না। রোজাদাররা নির্বিঘেœ পালন করতে পারবেন না রোজা, ইফতার, তারাবি নামাজ ও সেহরি। তবে আগে বলা হতো রমজানকে লোডশেডিং মুক্ত রাখা হবে। এবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নিজেই জানালেন, রমজানে বিদ্যুতের লোডশেডিং একেবারে চলে যাবে না। তিনি চলমান ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বললেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো দুই দিন সময় লাগবে। যদিও তিনি গত ২২ মে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে তিন-চার দিন সময় লাগবে। এ দিকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে রমজানে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখা হবে।

দেশব্যাপী যখন তীব্র লোডশেডিং চলছে তখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানালেন।

দেশে ভয়াবহ তাপদাহ শুরু হয়েছে। গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। এর সাথে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। ভয়াবহ এ লোডশেডিংয়ে দর্বিষহ অবস্থা বিরাজ করছে সারা দেশে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে প্রচারিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড গড়ার গল্প আর বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি এতদিন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কথাও স্বীকার করা হতো না। প্রকৃত উৎপাদনকেই চাহিদা হিসেবে দেখানো হতো। অর্থাৎ যেটুকু উৎপাদন করা হচ্ছে ওই টুকুই চাহিদা হিসেবে দেখানো হতো। কখনো এমনকি চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি দেখানো হতো। যেমনÑ চলমান ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের সময়ও গত ২২ মে পিডিবি পিক আওয়ারে (সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা) বিদ্যুতের চাহিদা দেখায় ৯ হাজার ১০০ মেগাওয়াট। আর উৎপাদন দেখায় ৯ হাজার ১১৫ মেগাওয়াট। এ হিসাবে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ১৫ মেগাওয়াট বেশি দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ছিল ঠিক তার উলটো।

গতকাল বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এ ভয়াবহ লোডশেডিংকে লোডশেয়ারিং বলে দাবি করেছেন। পিডিবির হিসেবে লোডশেডিং না থাকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, লোডশেডিং করছি না। লোডশেয়ারিং করছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শনিবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারবো। এখন আট হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ১০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হলেই সমস্যার সমাধান হবে। শনিবার পর্যন্ত ধৈর্য ধরুন। এর মধ্যে পরিস্থিতি ভালো হবে।

বর্তমান পরিস্থিতির কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিবিয়ানা ও মেঘনার মতো বড় দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র মেরামতের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বেসরকারি আরো কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। সাধারণত শীতের সময় চাহিদা কম থাকে। ওই সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো মেরামত করা হয়। এবার গরমের সময় কেন বিদ্যুৎকেন্দ্র মেরামত করা হচ্ছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, নানা কারণে শীতের সময় বন্ধ রাখা যায়নি।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/223109