২৪ মে ২০১৭, বুধবার, ৮:১৭

ভ্যাট অব্যাহতির সীমা বাড়ছে

ভ্যাট অব্যাহতি সীমা ৩০ লাখ থেকে ৩৬ লাখ টাকা হচ্ছে ; টার্নওভারের সীমা ৮০ লাখ থেকে এক কোটি ৫০ লাখ করা হচ্ছে

ভ্যাট অব্যাহতি সীমা বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে ভ্যাট অব্যাহতির সীমা রয়েছে ৩০ লাখ টাকা। এটিকে বাড়িয়ে ৩৬ লাখ টাকা করা হচ্ছে। একই সাথে বাড়ানো জচ্ছে বার্ষিক টার্নওভারের সীমাও । এই সীমা প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে টার্নওভারের সীমা রয়েছে ৮০ লাখ টাকা। তা বাড়িয়ে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা করা হচ্ছে। আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন’২০১২ সংশোধনীতে এই প্রস্তাবগুলো রাখা হবে। এই সংশোধনীতে সব ক্ষেত্রে উৎসে ভ্যাট কর্তনের হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আগামী ১ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপনকালে এই প্রস্তাবগুলো রাখবেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রীর রাজনৈতিক নির্দেশনার আলোকে ভ্যাটের এই পরিবর্তনগুলো আনা হচ্ছে। এর আগে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর বাজেট প্রস্তাবনায় সব সরবরাহের (উৎপাদন, ব্যবসা, সেবাপ্রদান) েেত্র ৩০ লাখ টাকার পরিবর্তে ৩৬ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করার সুপারিশ করা হয়েছে। ুদ্র, গ্রামীণ উদ্যোগ, কুটির শিল্প ইত্যাদি প্রান্তিক খাতের বিকাশে এবং ুদ্র ব্যবসায়ী বা দোকানদারদের হিসাব সংরণের সমতার সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে ওই সীমা অবিলম্বে ৩৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ভ্যাট আইনের ৪৭ নম্বর আইনের ৪৬ এর উপ-ধারা(৩) এর সংশোধন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এনবিআরের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান আইনে তামাক ও অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে রেয়াত গ্রহণের সুযোগ বারিত করা হয়েছে। সমগ্র আইনের এ একটি স্থানে ভ্যাট চেইনকে ব্যাহত করা হয়েছে। ভ্যাট ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর রেয়াত ব্যবস্থা। ফলে কোনো স্থানেই তা ব্যাহত করা উচিত নয়। একটি খাতে তা ব্যাহত করা হলে তার উদাহরণ দিয়ে অন্য খাতেও ব্যাহত করার প্রবণতা তৈরি হতে পারে। আন্তর্জাতিক রীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এসব ক্ষেত্রেও রেয়াত গ্রহণের সুযোগ প্রদানের জন্য আইনের ৪৬ এর উপ-ধারা(৩) এর দফা(ঙ) বিলুপ্ত করা যেতে পারে।
উৎসে ভ্যাট কর্তনের হার ৫% করা হচ্ছে : এনবিআরের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘আইনের ধারা-৪৯ এ উৎসে কর্তনকারী সত্তা কর্তৃক সরবরাহ মূল্যের কর-ভগ্নাংশের ‘অনধিক এক তৃতীয়াংশ’ উৎসে কর্তনের বিধান রাখা হয়েছে। এর ফলে ভিন্ন ভিন্ন হারে উৎসে ভ্যাট কর্তনের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে যা প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি করবে। এ কারণে উৎসে কর কর্তনের বিষয়টি অধিকতর সহজ ও সব ক্ষেত্রে সমতা বিধানের জন্য এবং সব ক্ষেত্রে উৎসে ভ্যাট কর্তনের হার ৫% নির্ধারণের জন্য ধারা ৪৯ এর উপ-ধারা(১) সংশোধন করা যেতে পারে।
ভ্যাট কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে : আইনের সংশোধনীতে মূসক কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বৃৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিদ্যমান আইনে মূসক কর্মকর্তার প্রবেশ ও তল্লাশির ক্ষমতায় বলা হয়েছে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ধারা-৭৮ এ বর্ণিত মূসক কর্তৃপক্ষে অনুমোদনক্রমে নির্ধারিত পদ্ধতি কমিশনার বা মহাপরিচালকের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার বা সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার নিচে নন এমন যেকোনো মূসক কর্মকর্তা বেশ কিছু ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। তারা জরিমানা ও অর্থদণ্ড আরোপ করতে পারবেন।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/222602