কারওয়ান বাজারে ট্রান্সকম ডিজিটালের শোরুমে এসি দেখছেন এক ক্রেতা
২৪ মে ২০১৭, বুধবার, ৮:১০

গরমে ফ্যান–এসির বিক্রি বেড়েছে

দাবদাহে প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আজ-কালের মধ্যে স্বস্তি মেলার আশা নেই। তাই ঘর ঠান্ডা রাখার যন্ত্রপাতি কেনার দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে অনেককে। নগরের ইলেকট্রনিকসের দোকানগুলোর কেনাবেচার হিসাব আর ক্রেতাদের উপস্থিতি তেমনটিই বলছে।

গত দুদিনে ইলেকট্রনিকসের দোকানগুলোতে বেশি বিক্রি হয়েছে এয়ারকন্ডিশনার, এয়ারকুলার, সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান ও রিচার্জেবল ফ্যান।
কারওয়ান বাজারের ট্রান্সটেক ইলেকট্রনিকসের শোরুমে এসি দেখছিলেন মো. শহীদুল্লাহ। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে বললেন, ‘ছেলের রুমটি ছোট। গরমে বেশ কষ্ট পাচ্ছে। ফ্যানের বাতাস থেকেও যেন আগুনের হল্কা বের হচ্ছে। তাই এসি কিনতে হচ্ছে।’
এখানকার বিক্রয় কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, গরম পড়ার পর এসির বিক্রি বেড়েছে। এ ছাড়া সামনে রোজা আসছে। গরমে তখন আরও কষ্ট হবে। কেনার সময় ক্রেতারা সেই বিবেচনাও করছেন।’
এ শোরুমে ট্রান্সটেকসহ ওয়ার্লপুল, স্যামসাং, প্যানাসনিক ও হিটাচির ফ্রিজ, এসি বিক্রি করছেন। শরিফুল ইসলাম জানান, গ্রীষ্ম উপলক্ষে স্যামসাং ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনলে উপহার হিসেবে নগদ টাকা ছাড়, মোবাইল, ট্যাব এবং বিদেশ ভ্রমণের বিমান-টিকিট দিচ্ছেন তাঁরা। ক্রেতারাও আকৃষ্ট হচ্ছেন।
কারওয়ান বাজারের ভেতরে বাবলু ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকসে সোলার ফ্যান, বৈদ্যুতিক ও ব্যাটারিচালিত টেবিল ফ্যান, চার্জার ফ্যান ও সিলিং ফ্যান বিক্রি বেড়েছে বলে জানান বিক্রয়কর্মী মাহবুব এলাহী। তিনি বলেন, গরমে ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে, কিন্তু সরবরাহ পেতে সময় লাগছে। তাই বড় সিলিং ফ্যানের দামও একটু বেড়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলামের বাসায় সিলিং ফ্যান চলে। গরমের কারণে তিনি মশারির ভেতর চালাতে একটি ছোট ফ্যান কিনবেন। তিনি বলেন, ‘এসব ছোট ফ্যান ভালো চলে, অনেক বছর ব্যবহার করা যায়।’
রামপুরার সিঙ্গার প্লাস, ভিশন এম্পোরিয়াম ও মিয়াকোর শোরুমেও ফ্যান-এসির বিক্রি বেড়েছে বলে জানালেন সেখানকার কর্মকর্তারা। দামও কিছুটা বেড়েছে বলে জানালেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে এসব দোকানে এয়ারকুলার ও দুই টনের এসি কেনার ওপর ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১-এর ইলেকট্রনিকসের দোকানগুলোতেও ঘর ঠান্ডা করার যন্ত্রের বিক্রি বেড়েছে। সোর্স ট্রেডিং নামের ইলেকট্রনিকসের শোরুমে মালয়েশিয়ার কেডিকে ব্র্যান্ডের একটি সিলিং ফ্যান কিনেছেন ইঞ্জিনিয়ার এম সাইদুজ্জামান। এ দোকানে এয়ারকুলারের দাম রাখা হচ্ছে ৯ হাজার ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা, এসি টনভেদে ৫৫ হাজার থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
একই মার্কেটে ওয়ালটনের শোরুমেও ক্রেতা সমাগম দেখা গেছে। এখানে ক্রেতারা কিস্তিতে পণ্য কেনার সুবিধা পাচ্ছেন। দেড় টনের দুই ধরনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৪৩ হাজার ৯০০ এবং ৪৪ হাজার ৯০০ টাকায় এবং ইনভার্টার এসির দাম ৬৫ হাজার টাকা। দুটি মডেলের চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৫০ থেকে ৪৫০০ টাকায়।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1191121/