২৬ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার, ৮:৩৩

দেশি শিল্পের সর্বনাশ

এ দেশ থেকে সীমিত পরিসরে পোশাক রপ্তানি শুরু হয়েছিল আশির দশকে। সুতা, কাপড়, বোতাম থেকে শুরু করে পোশাকের ৮০ শতাংশ কাঁচামালই তখন আমদানি করতে হতো। গার্মেন্ট রপ্তানি উৎসাহিত করতে এসব পণ্য আমদানিতে সরকার শুল্কমুক্ত বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা দেয়। এরপর গত সাড়ে তিন দশকে বিকশিত হওয়া প্রচুর পশ্চাৎ-সংযোগ ও সহায়ক শিল্প এখন পোশাকের কাঁচামালের ৮৫ শতাংশের জোগান দিচ্ছে। তবু বন্ড সুবিধা এখনো বহাল থাকায় বিনা শুল্কে পণ্য আমদানির অবাধ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চলেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে বস্ত্র, প্লাস্টিক, কাগজসহ পুঁজিঘন বেশ কিছু দেশি শিল্পের বিকাশ।

কেবল রপ্তানি পণ্য উত্পাদনে ব্যবহার করা হবে—এ শর্তে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী কয়েকটি খাতকে বন্ডেড ওয়্যারহাউস বা বন্ড সুবিধা দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী আমদানি করা এসব পণ্য বন্দর থেকে শুল্ক কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে নির্দিষ্ট গুদামে এনে রাখতে হয়। সেখান থেকে সোজা কারখানায় যায়। কিন্তু ব্যবসায়ী নামধারী কিছু অসাধু ব্যক্তি মিথ্যা তথ্যে বন্ড সুবিধায় পণ্য এনে কারখানায় ব্যবহার না করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করছে। বিনা শুল্কে আমদানীকৃত পণ্যের গুণগত মান খারাপ হলেও তা দেশি পণ্যের চেয়ে কম দামে মেলায় বিক্রি বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে সব নিয়মকানুন মেনে দেশি শিল্প টিকে থাকার জন্য উত্পাদিত পণ্য যে দামে বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছে তা আমদানীকৃত পণ্যের চেয়ে গড়ে ১০-১৫ শতাংশ বেশি। ফলে অসম প্রতিযোগিতায় প্রতিনিয়ত লোকসানে পড়ছে দেশি শিল্প।
এনবিআরের সর্বশেষ হিসাবে দেশে বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তৈরি পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বেশি। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সাড়ে ৯ হাজার বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের অর্ধেকের বেশি এবং ঢাকা কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেটের আওতায় থাকা ছয় হাজার ২৭০টির মধ্যে চার হাজার ২৭২টিই গার্মেন্ট বন্ড।
বন্ড সুবিধায় বিনা শুল্কে সুতা, কাপড়, হ্যাঙ্গার, পলিথিন, শার্টের কলার, হাতায় ব্যবহৃত শক্ত কাগজ, আর্ট কার্ড, ডুপ্লেক্স বোর্ড, মিডিয়াম পেপার, লাইনার পেপার সবই আনার সুযোগ রয়েছে। তারসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, সকেট, পলিপ্রোপাইলিন (পিপি), বিএপিপি ও অ্যাডহেসিভ টেপ, প্লাস্টিক দানা, রাসায়নিক দ্রব্য, রড বন্ড সুবিধায় আমদানি করা যায়। তবে বন্ড সুবিধায় আমদানি করা পণ্যের ৯০ শতাংশই কাপড়, সুতা, কাগজ ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য। বন্ড দুর্নীতিও এসব খাতে বেশি।
আশির দশকে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানির প্রয়োজন থাকলেও এখন এ নির্ভরতা কমেছে। ১৯৯০ সালে দেশে সুতা তৈরির কারখানা বা স্পিনিং মিলের সংখ্যা ছিল সাতটি। ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএ থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে সুতা কেনার জন্য স্পিনিং মিলের খোঁজ করা হয়েছে। ২০১২ সালেও মোট চাহিদার ৯০ ভাগ ওভেন, ৪৫ ভাগ গার্মেন্ট এক্সেসরিজ এবং ৪৫ ভাগ নিট পণ্য আমদানি করতে হতো। কিন্তু দিন বদলেছে। দেশি শিল্পের সক্ষমতা বেড়েছে। এ অবস্থায় পোশাক খাতে ঢালাওভাবে বন্ড সুবিধা অব্যাহত রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদ ও রাজস্ব বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সর্বশেষ হিসাবে দেশে এক হাজার ৩৬৪টি বস্ত্র কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ইয়ার্ন অর্থাৎ সুতা উত্পাদনকারী স্পিনিং মিলের সংখ্যা ৩৮৪, কাপড় অর্থাৎ ফ্যাব্রিকস ৭৪৫ এবং ডায়িং, ফিনিশিং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিল ২৩৮। তৈরি হচ্ছে বিপুল পুঁজির কম্পোজিট টেক্সটাইল মিল, যেখানে তুলা থেকে শুরু করে পোশাক তৈরি পর্যন্ত সব কাজই সম্পন্ন হয় একই কারখানায়।
প্রাণ-আরএফএল, বেঙ্গল গ্রুপের মতো আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানসহ প্লাস্টিক খাতে রয়েছে প্রায় আড়াই শ প্রতিষ্ঠান। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিও করছে সেগুলো। দেশে আর্ট কার্ড, ডুপ্লেক্স বোর্ড, হার্ড টিস্যুসহ বিভিন্ন কাগজ ও কাগজ জাতীয় পণ্যের চাহিদা বছরে ১০ লাখ টন। দেশি ৮৫টি কাগজ কারখানায় উত্পাদন হচ্ছে ১২ লাখ টন। দেশীয় কাগজশিল্পে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। রপ্তানিমুখী শিল্পে প্রায় ৬০ শতাংশ রাসায়নিক দ্রব্য স্থানীয় শিল্প সরবরাহ করছে।
এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রথম সহসভাপতি ও এমবি নিট ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাতেম কিছু হিসাব জানিয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে নিট কাপড়ের চাহিদার বড় অংশ ভারত এবং ওভেনের কাপড় চীন থেকে আনা হতো। এখন দেশে ফ্র্যাবিকস খাতে সাত শতাধিক প্রতিষ্ঠান এবং চার শতাধিক স্পিনিং মিল আছে। আবার দেশে অনেক কম্পোজিট প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এগুলো শিল্প খাতের কাপড়, সুতার মোট চাহিদার ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ কাঁচামাল সরবরাহে সক্ষম। ’ ব্যবসায়ী এই নেতা দাবি করেন, তাঁর বিশ্বাস, সরকার পর্যাপ্ত নীতি সহায়তা দিলে আমদানিনির্ভরতা আরো কমে আসবে।
এনআরজি কম্পোজিট লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার কারখানায় সুতা তৈরি করি। এরপর তা দিয়ে কাপড় বানাই। এরপর ওই কাপড় দিয়ে শার্ট বানিয়ে রপ্তানি করি। ’
বিটিএমএর সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আল আমীন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একই ধরনের ব্যবসা করেও বন্ড সুবিধা না নিয়েই টিকে আছে দেশের টেক্সটাইল খাত। বন্ড সুবিধার অপব্যবহারে এ খাতের ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ’
শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযানে বন্ড দুর্নীতির নানা চিত্র উঠে আসে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে ধরা পড়ে বন্ডের পণ্যবাহী ট্রাক, অস্তিত্বহীন কারখানা। এসব পণ্য পরিবহন করা হয় মূলত গভীর রাতে। কখনো গুদাম থেকে, কখনো বন্দর থেকেই সরাসরি খোলাবাজারে চলে আসে রপ্তানিমুখী শিল্পের নামে আনা এসব পণ্য।
গাজীপুরের মেসার্স মেরিডিয়ান গ্লোবালস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড হাসপাতালের ইউনিফর্ম তৈরি করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। চীন, পাকিস্তান, ভারত থেকে আমদানি করা ফ্যাব্রিকস গাজীপুর সদরের ছয়দানায় নিজস্ব বন্ডেড ওয়্যারহাউসে রেখে পর্যায়ক্রমে ইউনিফর্ম বানানোর কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি কিছু কাপড় রেখে বাকিটা খোলাবাজারে বিক্রির উদ্দেশে অন্য একটি গুদামে মজুদ করে। ওই গোপন গুদাম থেকে শুল্ক গোয়েন্দারা প্রায় ১০ কোটি টাকার শার্টিং-স্যুটিং কাপড় জব্দ করেন। বন্ডের আওতায় না আনলে এ পণ্যে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা শুল্ক আরোপ হতো।
গত ৩ মার্চ বকশীবাজার থেকে ১২৩ রোল কাপড়সহ ট্রাক আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তদন্তে জানা যায়, আরডিপি লিমিটেড নামে বাস্তবে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। অথচ জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে বন্ড সুবিধায় এ প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ছাড় করা হয়। এরপর তা খোলাবাজারে বিক্রি করতে বকশীবাজারে ট্রাকে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখানে প্রায় দেড় কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে প্লাস্টিক পণ্যও খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে। গত ৮ মার্চ রাতে টঙ্গী থেকে নয়াবাজারে আনার পথে ৭৬ লাখ টাকার প্লাস্টিকের দানা ভর্তি একটি ট্রাক আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। একই দিন ভোরে বকশীবাজার থেকে প্লাস্টিকের দানা ভর্তি আরো একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়। পণ্যগুলো কারখানায় না নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি বকশীবাজারে আনে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রানা গার্মেন্টস এক্সেসরিজ লিমিটেড। সব পণ্যের মোট শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৯৮ লাখ টাকা। জড়িত রাজস্ব প্রায় ৪২ লাখ টাকা।
সরেজমিনে রাজধানীর ইসলামপুর, উর্দু রোড, গুলিস্তান, গাউছিয়া, নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা যায়, এসব এলাকার বিভিন্ন দোকানে বিনা শুল্কে আনা কাপড়, সুতা রাখঢাক ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে। ইসলামপুরের কাপড়ের দোকানি রজ্জব আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য দোকানে বসেই পেয়ে যাচ্ছি। দেশে তৈরি একই জাতীয় পণ্যের মান ভালো হলেও বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য কম দামে পাওয়ায় শুধু আমিই নই, অধিকাংশ দোকানি তা কিনছেন। অনেক ক্রেতা গুণগতমান যাচাই না করেই কম দামের কারণে এসব পণ্য কিনছেন। ’
গত রবিবার রাজধানীর পুরান ঢাকার নয়াবাজার, হাশেম টাওয়ারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করা আর্ট বোর্ড, ডুপ্লেক্স বোর্ড, প্রিন্টিং পেপারসহ বিভিন্ন কাগজ জাতীয় পণ্যের রমরমা অবৈধ ব্যবসা চলছে। দেশীয় শিল্পে উত্পাদিত প্রতি টন ২০০ থেকে ৩৫০ জিএমএমের (গ্রাম/বর্গফুট) আর্ট বোর্ড এক লাখ দুই হাজার থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা, ১৬ জিএমএমের হার্ড টিস্যু এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার, ডুপ্লেক্স বোর্ড ৬২ হাজার থেকে ৬৫ হাজার, জিএমএমের সাদা প্রিন্টিং পেপার (কাগজ) ৭৫ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অথচ খোলাবাজারে বন্ড অপব্যবহারে বিক্রি হওয়া একই জাতীয় আর্ট বোর্ড ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা, হার্ড টিস্যু ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার, ডুপ্লেক্স বোর্ড ৫২ হাজার থেকে ৫৮ হাজার, সাদা প্রিন্টিং পেপার (কাগজ) ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সচিব নওশেরুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এভাবে লোকসান গুনে দেশি কাগজশিল্পের টিকে থাকা সম্ভব নয়। অথচ স্থানীয় কাগজকল আমদানীকৃত কাগজ জাতীয় পণ্যের সবটাই সরবরাহে সক্ষম।
কাগজ, প্লাস্টিক, কাপড়, সুতা, রডসহ বিভিন্ন খাতেই বন্ডের অপব্যবহার হচ্ছে এমন তথ্য জানিয়ে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বন্ড মিসইউজ আর চাচ্ছেন না। বন্ড দুর্নীতি বন্ধ না হওয়ায় দেশি শিল্প ও উদ্যোক্তারা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁরা টিকে থাকতে পারছেন না। দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। দেশ পরনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যাঁরা বন্ডে আমদানি সুবিধা পাচ্ছেন, এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন সংগঠনের উচিত তাঁদের তালিকা নিয়ে দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করা। কিছু অসাধু ব্যক্তি বন্ড দুর্নীতি করে আমাদের মতো প্রকৃত ব্যবসায়ীদের বিপদে ফেলছেন। ’
আশির দশকে দেওয়া বন্ড সুবিধা ঢালাওভাবে এখন আর প্রয়োজন নেই—এমন মত জানিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কিছু সুবিধাবাদী মানুষ সহজে দুর্নীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন। একটি বা দুটি খাতকে সুবিধা দিতে গিয়ে সমগ্র অর্থনীতিতে তার নেতিবাচক প্রভাব ফেলা হচ্ছে। বিশেষভাবে যেসব পণ্য দেশের চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত হচ্ছে সেসবের ক্ষেত্রে অবশ্যই বন্ড সুবিধা বন্ধ করতে হবে। ’
এ অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, ‘বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় কী কী পণ্য থাকবে, কোন কোন শিল্প খাতের কারখানা এ সুবিধা পাবে, এর পদ্ধতি কী হবে—তা নতুনভাবে নির্ধারণ করা দরকার। এ বিষয়ে সরকারকে নতুনভাবে কাজ করতে হবে। বন্ড সুবিধা অনন্তকালের জন্য দেওয়া ঠিক নয়। ’
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ‘বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে শক্তিশালী চেইনের মাধ্যমে দুর্নীতি করা হচ্ছে। অতীতে অনেক সময় এসব দুর্নীতিবাজ পার পেয়ে গেলেও বা কৌশলে নিজেদের রক্ষা করতে পারলেও এখন আর তাঁরা টিকতে পারবেন না। এনবিআর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বন্ড দুর্নীতি রোধে কাজ করছে। আশা করি বন্ড দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে। ’

 

http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2017/04/26/490993