২২ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার, ১১:৪৫

জনসংখ্যা সমস্যা তৃতীয় শ্রেণীর পাঠ্য!

সপ্তমে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার

তৃতীয় শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা বিষয়ক লেখা পাঠ্য করা হয়েছে। এতে বড় পরিবারের সমস্যা, ছোট পরিবারের সুবিধা ও অধিক জনসংখ্যার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা, অতিরিক্ত জনসংখ্যার কুফল, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণীর বইয়ে জনসংখ্যা হ্রাসে আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী নিয়মিত ব্যবহার, জন্মনিয়ন্ত্রণ আন্দোলন প্রভৃতি কথা লেখা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণীতে পরিবার পকিল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ ও উদ্ধুদ্ধকরণ কার্যক্রম, প্রজনন স্বাস্থ্য প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।


এভাবে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর পাঠ্যবইয়েও বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত লেখা পাঠ্য করা হয়েছে। তৃতীয় থেকে শুরু করে অষ্টম পর্যন্ত প্রতি শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে একটি অধ্যায় রয়েছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে বড় অধ্যায় জুড়ে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।


প্রাইমারি স্কুলের পাঠ্যবইয়ে বিশেষ করে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর শিশুদের জন্য জনসংখ্যা সমস্যাবিষয়ক লেখা পাঠ্য করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক অভিভাবক ও শিক্ষক। বহু অভিভাবক জানিয়েছেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর শিশুদের মানুষের জন্ম প্রক্রিয়া সম্পর্কেই তো কোনো ধারণা নেই। আর জনসংখ্যা সমস্যা বিষয়ে এত ছোট শিশুদের জ্ঞান দিয়ে লাভ কী? এ বয়সে কি কোনো শিশুর বিয়ে হয়? জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধে তারা কী করতে পারবে?


তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানিয়েছেন তাদের শিশু সন্তানেরা জনসংখ্যা বিষয়ক পড়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অদ্ভূত প্রশ্ন করে। জনসংখ্যা সমস্যার মতো একটি বিষয় এত ছোট শিশুদের জন্য কেন পাঠ্য করা হলো তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। তাদের মতে এসব বিষয়ে শিশুদের জ্ঞান না দিয়ে বরং তারা যাতে ছোটবেলায় ভালো আচার-আচরণ, আদব কায়দা শিখতে পারে সে ধরনের লেখা পাঠ্য করা উচিত। তাদের মাথার ওপর এসব সমস্যার বোঝা চাপানো উচিত নয়। এ ধরনের বিষয় পড়ার সময় শিশুরা কিছু বুঝে উঠতে পারে না। অন্ধের মতো শুধু কতগুলো শব্দ মুখে আওড়ায় আর কিছু না বুঝে প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করে। তা ছাড়া সপ্তমসহ বিভিন্ন শ্রেণীতে আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী নিয়মিত ব্যবহার, পরিবার পরিকল্পনা প্রভৃতি যেসব কথাবার্তা লেখা হয়েছে তাতেও আপত্তি জানিয়েছেন অনেকে। কারণ ১৩-১৪ বছরের ছেলেমেয়েদের মুখে আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী নিয়মিত ব্যবহার, পরিবার পরিকল্পনা, প্রজনন স্বাস্থ্য এ ধরনের আলোচনা শুনতে ভালো লাগে না অনেক মা বাবার। অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেন, এ ধরনের পাঠ্য বিষয়ের সূত্র ধরে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে নোংরা কথাবার্তা বলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কাসে আলাদা আলাদা পরিবেশ থেকে উঠে আসা নানান চরিত্রের শিক্ষার্থী থাকে। তাদের কারণে এমনিতেই আতঙ্কে থাকেন অনেক অভিভাবক নিজেদের সন্তানদের নিয়ে। অভিভাবকদের অভিযোগ বর্তমান প্রযুক্তির যুগে অনেক কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী নিজেদের মধ্যে কী ধরনের ভাষা আদান-প্রদান করে তা অনেকে কল্পনাও করতে পারেন না। তারপর এ ধরনের পাঠ্য বিষয়ের কারণে তারা নোংরা কথাবার্তা বলার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাচ্ছে। অনেক শিক্ষকও এ সুযোগে শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন কথা বলার মওকা পেয়ে যান, যা ভালো পরিণতি বয়ে আনে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।


তৃতীয় শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে ১২তম অধ্যায়ে ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা’ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে জনসংখ্যা ও পরিবার এবং যানবাহন ও পরিবেশের ওপর অধিক জনসংখ্যার প্রভাব শীর্ষক দু’টি উপশিরোনামে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।
জনসংখ্যা ও পরিবার শিরোনামে লেখা হয়েছে পরিবারের লোকসংখ্যা বেশি হলে সবার প্রয়োজন মেটে না। যেমন সবাই পুষ্টিকর খাবার পায় না। প্রয়োজনীয় পোশাকের অভাব হয়। বাড়িতে থাকার যথেষ্ট স্থান পাওয়া যায় না। ঘুমানো বা বিশ্রামের জায়গার অভাব দেখা দেয়। বড় পরিবারে ময়লা আবর্জনা বেশি হয়। ছোট পরিবারে সবার প্রয়োজন মেটানো সম্ভব।
বড় পরিবারে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ছোট ভাইবোনদের দেখাশোনা করতে হয় বলে অনেক সময় মেয়ে শিশু পড়ালেখা করতে পারে না। যেসব পরিবারে লোকসংখ্যা বেশি সেখানে ছোট শিশুরা অনেক সময় মা-বাবার সাথে কাজে যায়। ফলে তারা ঠিকমতো বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। অসুখ হলে ঠিকমতো চিকিৎসা পায় না।
যানবাহন ও পরিবেশের ওপর অধিক জনসংখ্যার প্রভাব শিরোনামে লেখা হয়েছে বেশি জনসংখ্যা একটি দেশের প্রধান সমস্যা।
চতুর্থ শ্রেণীতে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে ১৩তম অধ্যায়ে ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা’ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা, অতিরিক্ত জনসংখ্যার কুফল, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ শিরোনামে লেখা হয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান চারটি কারণ হলোÑ সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও স্বাস্থ্যগত।
সামাজিক কারণ : বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির পেছনে বিভিন্ন সামাজিক কারণ রয়েছে। যেমনÑ শিক্ষার অভাব, বাল্যবিয়ে, বহু বিবাহ, কুসংস্কার, ছেলে সন্তান লাভের আশা ইত্যাদি। অনেক মা-বাবা মনে করেন, অধিক সন্তান থাকলে বৃদ্ধ বয়সে তাদের দেখাশোনা করবে। তাই তারা বেশি সন্তান নেন।
ধর্মীয় কারণ : অনেক মানুষ বিশ্বাস করেণ সৃষ্টিকর্তা যেহেতু আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনি খাবারের ব্যবস্থাও করে রেখেছেন। ফলে তারা অধিক সন্তান জন্ম দেয়ার বাস্তব সমস্যাগুলোর কথা ভাবেন না।
অর্থনৈতিক কারণ : বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। কৃষিকাজে লোকবল বেশি প্রয়োজন হয়। এ কাজ করতে সবাই ছেলেসন্তান চায়। কারণ ছেলেরাই কৃষিকাজ করে পরিবারের জন্য আয় করে থাকে। আবার ছেলে সন্তানের ওপর বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবা বেশি নির্ভর করে থাকেন।
স্বাস্থ্যগত কারণ : চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানোর ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েদের যথাযথ শিক্ষা থাকলে তারা তাদের পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জনের কাজ করতেন। শিক্ষা ও ভালো উপার্জন তাদের জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতন করত। ফলে পরিবার ছোট রাখা সম্ভব হতো।
অতিরিক্ত জনসংখ্যার কুফল সম্পর্কে লেখা হয়েছে, মানুষ কাজ পান না। প্রয়োজনীয় খাবার পাওয়া যায় না। অনেকে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারেন না। চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায় না। সমাজে অপরাধ বেড়ে যায়, পরিবেশ দূষিত হয়।
বাংলাদেশে জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে অধ্যায়টির শুরুতেই লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৩৭ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ১.২% হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বৃদ্ধির হার ১৯৭০ সালের থেকে কম। সেই সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৩%। দেখা যাচ্ছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। তা সত্ত্বেও অতীতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় আয়তনের তুলনায় তা অনেক বেশি।


অনেক অভিভাবক জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে শিশুদের জন্য এ ধরনের আলোচনাকে বোঝা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে বড় একটি অধ্যায়জুড়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অধ্যায়টি ১২ পৃষ্ঠা জুড়ে। বিভিন্ন শিরোনাম, উপশিরোনামে এমন সব বিষয় আলোচিত হয়েছে, যা সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। ষষ্ঠ শ্রেণীতেও আট পৃষ্ঠাজুড়ে একটি অধ্যায়ে জনসংখ্যা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সপ্তম শ্রেণীতে জনসংখ্যার পরিবর্তনশীলতা শিরোনামে এখানে লেখা হয়েছে ‘বাংলাদেশে জনসংখ্যা হ্রাসের পিছনে আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের প্রভাব রয়েছে।...জনসংখ্যাকে ভারসাম্য পর্যায়ে রাখতে আমাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ প্রয়োজন। যে বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন তাহলো মেয়েদের বিয়ের বয়স বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাসে কার্যক্রম গ্রহণ, জন্মনিয়ন্ত্রণ আন্দোলন জোরদার করা...।
আরেক পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, নগরজীবনের পরিবেশ নষ্ট করছে বস্তি। অপরাধ প্রবণতা, চোরাচালান, অপহরণ, মাদক, নারী ও শিশু পাচার, যৌনব্যবসাসহ নানা সামাজিক সমস্যা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূল হলো এই বস্তি।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ শিরোনামে আবার লেখা হয়েছে ‘বাল্যবিবাহ, বহু বিবাহ, ধর্মীয় কুসংস্কার এবং আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়মিত ব্যবহার না করা প্রভৃতি কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
জনসংখ্যা সমাধানে পদক্ষেপ শিরোনামে লেখা হয়েছে ‘জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে সচেতনতা উদ্ধুদ্ধকরণ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন এবং ছোট পরিবার গঠনে উদ্ধুদ্ধ করা। ’
সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে জনসংখ্যা সমস্যা বিষয়টি যেসব শিরোনাম-উপশিরোনামে ভাগ করে আলোচনা করা হয়েছে তা এখানে তুলে ধরা হলো :
পাঠ ১ : বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক কতিপয় দেশে জনসংখ্যার তুলনা।
পাঠ ২ : জনসংখ্যার পরিবর্তনশীলতা।
পাঠ ৩ : বাংলাদেশের জনসংখ্যার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক স্থানান্তরের কারণ ও ফলাফল।
৩.২ : অভ্যন্তরীণ স্থানান্তর, অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের কারণ, অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ফলাফল।
৩.২ : আন্তর্জাতিক স্থানান্তরের কারণ, আন্তর্জাতিক স্থানান্তরের ফলাফল।
পাঠ ৪ : বাংলাদেশে মা ও শিশু মৃত্যুর পরিস্থিতি।
৪.১ : বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু পরিস্থিতি, মাতৃমৃত্যুর কারণ, মাতৃমৃত্যুর প্রভাব।
৪.২ : বাংলাদেশে শিশু মৃত্যু পরিস্থিতি, শিশু মৃত্যুর কারণ, শিশু মৃত্যুর প্রভাব।
পাঠ ৫ : বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদ, বনজ সম্পদের ওপর চাপ, কৃষি জমির ওপর চাপ, গ্যাস ও তেলের ওপর চাপ।
পাঠ ৬ : বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ, প্রভাব ও সমাধান পদক্ষেপ।
৬.১ : জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ।
৬.২ : জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব।
৬.৩ : জনসংখ্যা সমস্যা সমাধান পদক্ষেপ।
ষষ্ঠ শ্রেণীতে জনসংখ্যাবিষয়ক অধ্যায়টি যেসব শিরোনাম উপশিরোনামে ভাগ করে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো হলোÑ জনমিতির ধারণা, জনসংখ্যা পরিবর্তনে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান, জন্মহার, মৃত্যুহার, স্থানান্তর, বিবাহ, সামাজিক গতিশীলতা, জন্মহার তারতম্যের কারণ ও প্রভাব, মৃত্যুহার তারতম্যের কারণ ও প্রভাব, স্থানান্তর তারতম্যের কারণ ও প্রভাব।
পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবনযাত্রার মান, পরিবেশের ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ২০১৩ এবং মাধ্যমিকের পাঠ্যবই ২০১২ সাল থেকে পাঠ্যবই হিসেবে নির্ধারিত।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/214081