সাপাহার সীমান্তে বাঁধ নির্মাণে ব্লক বসানোর কাজে বিএসএফের বাধা। ইনসেটে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ব্লক :নয়া দিগন্ত
২১ এপ্রিল ২০১৭, শুক্রবার, ৮:৩৩

সাপাহারে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজে বিএসএফের বাধা

৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনিশ্চয়তায়

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সীমান্তবর্তী পুনর্ভবা নদীর বাম তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্লক বসানোর কাজে বিএসএফ বাধা দিয়েছে। এতে প্রায় ছয় কোটি টাকার প্রকল্প অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ফলে ওই সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের চুক্তি অনুযায়ী ব্লক নির্মাণ শেষে চলতি মাসের প্রথম তারিখে সীমান্তের পুনর্ভবা নদীর বাম তীর সংরক্ষণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্লক বসানোর কাজে তাদের ড্রেজার মেশিন নিয়ে গেলে ভারতের রাঙ্গামাটি বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসে তাতে বাধা দেন। এ সময় ঠিকাদারের লোকজন তাকে চুক্তির কাগজপত্র দেখালেও তিনি উপরের নির্দেশ নেই বলে ব্লক বসানোর কাজ বন্ধ করে দেন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতায় দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে সীমান্তবর্তী পুনর্ভবা নদী বাম তীরে ৭২০ মি. এলাকা রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়। ওই বছরের নভেম্বর মাসে স্থানীয় এমপি সাধন চন্দ্র মজুমদার কাজের উদ্বোধন করেন। সে থেকে দিনাজপুরের একটি ঠিাকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্লক তৈরির কাজ শুরু করে। ব্লক তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে ১ এপ্রিল তারা ব্লক বসানোর জন্য ড্রেজার মেশিন নিয়ে নদী এলাকায় গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাতে বাধা দেন। ফলে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কনক নামে একজন বলেন, ড্রেজার মেশিন ও তার লোকজনকে বসিয়ে রাখায় তাদের এখন প্রতিদিন পাঁচ-সাত হাজার টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে। এ ছাড়া কয়েক মাস পরেই শুরু হবে বর্ষাকাল। তখন আর ব্লক বসানো যাবে না। এলাকার অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা মনে করছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হয়তো তখন নদীর পানিতেই ব্লক ফেলে কাজ শেষ করবে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা নদীর পানিতে ভেসে যাবে।
এ বিষয়ে পতœীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী রেজা জানান, সীমান্ত এলাকায় কাজ করতে গেলে অনেক নিয়ম নীতি থাকে। সে কারণেই বিএসএফ সদস্যরা হয়ত নিষেধ করেছেন। এ বিষয়ে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অচিরেই ব্লক বসানোর কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/213819