২১ এপ্রিল ২০১৭, শুক্রবার, ৮:২৭

দিনে পরানো হয় ৫০ রিং মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশ

প্রতিদিন অর্ধশতাধিক রোগীকে রিং পরানো হচ্ছে। সে হিসাবে দেশে বছরে ১৮ হাজার হার্টের রিংয়ের প্রয়োজন। আর এ রিং পরানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্য চলছে। মেডিকেটেড রিং (ওষুধ দিয়ে) সবচাইতে দামি। অন্যদিকে নন মেডিকেটেড (ওষুধ ছাড়া) রিংয়ের দাম তুলনামূলক কম। সরকারি হাসপাতালে রিং ভেদে ৪০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা খচর হয়। অন্যদিকে বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে মেডিকেটেড রিং বিক্রি হতো ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকায়। আর নন মেডিকেটেড রিং বিক্রি হতো ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। যেটি সরকারি হাসপাতালে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। দেশে সর্বোচ্চ রিংয়ের মূল্য রাখা হয় বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে। আর সর্বনিম্ন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, হার্ট ফাউন্ডেশন, বিএসএমএমইউ ও বারডেম হাসপাতালে। আবার রোগীদের নিম্নমানের রিং দিয়ে উন্নতমানের রিংয়ের দাম নেয়ার অভিযোগও কম নয়। ডাক্তার এবং প্রাইভেট সাপ্লাইয়ের দালাল মিলে শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে রিং ব্যবসায়।

এ অবস্থায় সরকার নিয়ম অনুযায়ী ২৬টি ব্র্যান্ডের রিংয়ের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। গতকালই ওষুধ প্রশাসন সরকার-বেসরকারি হাসপাতালে এই সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি করতে হবে হার্টের রিং। এই মূল্য তালিকা জনসাধারণের চোখে পড়ে হাসপাতালের এমন জায়গায় টানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রিংয়ের গায়ে মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ লেখা থাকতে হবে। এর ফলে মনগড়া ব্যবসা বন্ধ হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওষুধ প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইস্যুকৃত কার্ডিয়াক স্ট্যান্ট (হার্টে রিং)-এর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তা হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এতে প্রতি একক সর্বোচ্চ মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা ও সর্বনিম্ন ২০ হাজার ৪০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩টি কোম্পানির ২৬টি ব্র্যান্ডের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এগুলো হলো-মেসার্স এশিয়া প্যাসফিক মেডিকেলস্ লিমিটেডের (ঈড়ৎড়ভষবী) ৭৩ হাজার ১২৫ টাকা ৬৫ পয়সা এবং ৭৩ হাজার ৯২১ টাকা ৫০ পয়সা। মেসার্স ইউনিমেড লিমিটেডের (টষঃরসধংঃবৎ ঝরৎড়ষরসঁং ঊষঁঃরহম ঈড়ৎড়হধৎু ঝঃবহঃ) ৬১ হাজার ৯০০ টাকা, মেসার্স লাইফ লাইন ইন্টারন্যাশনাল-এর (ঈড়সনড়) এর মূল্য ৬১ হাজার ২৮৪ টাকা ৮৮ পয়সা, মেসার্স ভাসটেক লিমিটেডের (জবনবষ) এর মূল্য ২৫ হাজার টাকা, মেসার্স গ্লোবাল করপোরেশনের তিনটি ব্র্যান্ড-(জবংড়ষঁঃব ঙহুং, জবংড়ষঁঃব ওহঃবমৎরঃু ্ ঊহফবধাড়ৎ জবংড়ষঁঃব) এর মূল্য যথাক্রমে এক লাখ ৪১ হাজার ৩৪৫ টাকা ৯৮ পয়সা, এক লাখ ৮ হাজার ১৬০ টাকা ৪০ পয়সা ও ৯২ হাজার ১৮২ টাকা ১৬ পয়সা, মেসার্স ওরিয়েন্ট এক্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (জবংড়ষঁঃব ঙহুী ্ জবংড়ষঁঃব ওহঃবমৎরঃু) এর মূল্য যথাক্রমে এক লাখ ৪৩ হাজার ৪৯ টাকা ৫৭ পয়সা ও এক লাখ ৭ হাজার ৮৬১ টাকা ৩৯ পয়সা, মেসার্স কার্ডিয়াক কেয়ার লিমিটেডেরে (ঢরবহপব ঢ়ৎরসব, ঢরবহপব ঢঢ়বফরঃরড়হ ্ ঢরবহপব অষঢ়রহব) এর মূল্য যথাক্রমে এক লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা ৮৮ পয়সা, এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৯১ টাকা ৭ পয়সা ও এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৯১ টাকা ৭ পয়সা, মেসার্স মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের (জবনবষ, ঢ়ৎড়সঁং ঊষবসবহঃ ঢ়ষঁং, ঝুহবৎমু ্ ঢ়ৎড়সঁং ঢ়ৎবসরবৎ) এর মূল্য যথাক্রমে ২৫ হাজার টাকা, ৬৯ হাজার ৫৯৭ টাকা ৫৩ পয়সা, এক লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৮ টাকা ৭৪ পয়সা ও ৯৪ হাজার ১৭৯ টাকা ৪৪ পয়সা, মেসার্স অ্যাডভান্সড মেডিটেকের(অষবী, ঘবভৎড়,ঘবঢ়ঃঁহ, গবৎ, অঃষধং ্ অনধৎরং )এর মূল্য যথাক্রমে ৬২ হাজার ৩৯৫ টাকা ৭৪ পয়সা, ৪৩ হাজার ৭৩৭ টাকা ১০ পয়সা, ৪৩ হাজার ৭৩৭ টাকা ১০ পয়সা, ৫৬ হাজার ১৭৬ টাকা ১৯ পয়সা, ২৫ হাজার ৪৮ টাকা ৯৭ পয়সা ও ৬১ হাজার ৯২১ টাকা ৮৩ পয়সা, মেসার্স বায়োভাসকুলার লিমিটেডের (ঈজঊ৮ ্ আধহঃমধৎফব) এর মূল্য যথাক্রমে ৫৯ হাজার ১৮ টাকা ৫৭ পয়সা ও ২০ হাজার ৪০৯ টাকা ৯ পয়সা এবং মেসার্স ওমেগা হেলথ কেয়ারের (ইরড় গধঃৎরী অষঢ়যধ) এর মূল্য ৮৬ হাজার ৩৬ টাকা ৬৮ পয়সা নির্ধারণ করে ২৭টি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে বর্তমানে ২১টি কোম্পানিকে ৪৭টি ব্র্যান্ডের করোনারি স্ট্যান্ট আমদানির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪টি কোম্পানি মূল্য প্রস্তাব করেছে।
এ প্রসঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া মানবজমিনকে বলেন, আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের মূল্য নির্ধারণে প্রক্রিয়া চলছে। মূল্য নির্ধারণ করে হাসপাতালগুলোতে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, রিং বাণিজ্যের বিষয়টি ধরা পড়েছে বিদেশে রিং পরাতে গিয়ে। অনেককেই নিম্নমানের রিং পরানো হয়েছে উন্নতমানের বলে। তবে রিং পরানোর ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ইনফেকশন দেখা দেয়। ফের রিং পরানো হলে রোগীদের আবারও ইনফেকশন হয়। উপায় না পেয়ে বিদেশে গেলে চিকিৎসকরা জানান, পরানো রিং ছিল নিম্নমানের। গত মঙ্গলবার হার্টের রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় রিংয়ের মূল্য নির্ধারণে ১৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে জাতীয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই কমিটি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় রিংয়ের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ একটি মূল্য নির্ধারণ করবে আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে। এ ছাড়া হার্টের রিংয়ের গায়ে মূল্য লেখা থাকবে। পরবর্তী সময়ে অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যেই আমদানিকারক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো রিং বিক্রি করতে বাধ্য থাকবে।
এদিকে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক হার্টের রিংয়ের মূল্য নির্ধারণের কমিটি গঠনের ঘোষণার পর গত বুধবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রিং বিক্রি বন্ধ রেখেছিল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। সূত্র জানায়, হৃদরোগ হাসপাতালে বুধবার কোনো রোগীকে রিং পরানো হয়নি। তবে রোগীকে রিং পরানো ছাড়া বাকি কাজ হয়। কিন্তু গতকাল স্বাভাবিক ছিল। রিং ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও। এতে সাধারণরা বলেছেন, জীবন-মৃত্যু নিয়ে কিসের ধর্মঘট। গতকাল সরজমিন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কথা হয় এক রোগীর মেয়ের সঙ্গে। ৬৫ বছর বয়সী টিকাটুলি থেকে আসা রোগী রফিকুল ইসলামের দুটি রিং পরানো হয় ক্যাথল্যাব-৩ এ। এতে খচর হয় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ল্যাবের সামনে মেয়ে রেজওয়ানা ইসলাম বলেন, রোগীরা জিম্মি। তারা বাবাকে কি ধরনের রিং পরানো হয়েছে তা তারা দেখেনি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বসানো হয়েছে। এনজিওগ্রাম করতে গিয়ে তার বাবার ব্লক ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তারা রিং পরানোর সিদ্ধান্ত নেন। অন্যদিকে হাসপাতালে রিং সরবরাহকারী কোম্পানির প্রতিনিনিধদের দেখা যায় বড় বড় ব্যাগে করে রিং নিয়ে একটি কক্ষে বসে আসেন। তারা জানান, গত বুধবার তাদের কোম্পানি নিষেধ করেছিল। এজন্য তারা রিং সরবরাহ বন্ধ রেখেছিলেন। তারা জানা, আমেরিকা, ইউরোপ এবং জাপানের রিং বেশি বিক্রি হয়। ডাক্তার যেটা পরানোর পরামর্শ দেন সাইজ অনুয়ায়ী তা বসানো হয়। সাধারণত রিং ২ দশমিক ২৫ থেকে ৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার মোটা এবং লম্বা ৮ থেকে ৪৮ মিলিমিটার হয়ে থাকে।
আগের দিনে যাদের রিং বাসানো কথা ছিল তাদেরও গতকাল রিং পরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান। তিনি আরো জানান, গতকাল ২০ জনের মতো রোগীকে রিং পরানো হয়েছে। মূলত নির্ধারিত ছিল ১৫ জন। গড়ে ১০ জনকে রিং পরানো হয় তার হাসপাতালে। পরিচালক বলেন, ধর্মঘটের কারণে রিং পরানো ছাড়া বাকি সব কাজ হয়েছিল। এলসি মূল্যের পর এমআরপি বসিয়ে রিং সারা দেশে একই মূল্যে বিক্রি করতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক আগামী রোববার ওষুধ প্রশাসনে হওয়ার কথা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তার প্রতিষ্ঠান তিনটি সোর্স থেকে রিং কিনে সংরক্ষণ করে বছরের প্রথম দিকে। এখন রিং মজুদ নেই, দরপত্রের কাজ চলছে বলে পরিচালক উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ডিভাইস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গাজী একে শাহীন বলেন, সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। এখন থেকে এমআরপি মূল্যে রিং বিক্রি করা হবে। আগামী রোববার এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক আছে। বধুবার তাদের ধর্মঘটের বিষয়টিকে কিছু সময়ের প্রতীকী বলে তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে রিংয়ের মূল্য নির্ধারণের এই বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। তবে তারা বলছেন, প্রতারকরা বসে থাকবে না। তারা হয়তো নতুন কোনো ফন্দিতে প্রতারণা করবেন। এই বিষয়ে সতর্ক থাকার এবং নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তারা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রিং পরানো নিয়ে কমিশন বাণিজ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসক। শতাধিক চিকিৎসক ও রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করছে হার্টের রিং বাণিজ্য। দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতার পরই রিং বিক্রি হয়। রোগীকে একটি রিং পরানো বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা চিকিৎসককে কমিশন দেন ব্যবসায়ীরা। এতে রিংয়ের মূল্য বেড়ে যায়। সাধারণ মানুষ এ কমিশন বাণিজ্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মঙ্গলবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্ট্যান্ট আমদানির জন্য বর্তমানে দেশে ২২টি কোম্পানির বৈধ অনুমোদন রয়েছে। এ কোম্পানিগুলো মোট ৪৭ ধরনের স্ট্যান্ট আমদানি করে। তিনি জানান, এখন থেকে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সব স্ট্যান্ট সরবরাহকারী কোম্পানিকে তাদের কাছ থেকে মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে। ১৭ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি স্ট্যান্টের মূল্য নির্ধারণ করবে। এখন থেকে প্রতিটি কোম্পানিকে আমদানিকৃত স্ট্যান্টের গায়ে ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিআর) রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পণ্যটির মূল্য ও এর মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। তিনি আরো জানান, দেশের চারটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হৃদরোগের অর্থাৎ করোনারি স্ট্যান্টের প্রস্তাবিত মূল্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে দাখিল করে। কোম্পানিগুলো হলো-কার্ডিয়াক কেয়ার, ভাসটেক লিমিটেড, মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড ও ওরিয়েন্টের এক্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে একটি বেয়ার মেটাল স্ট্যান্টের দাম ৭ হাজার ২৬০ রুপি, বাংলাদেশি টাকায় যার দাম হয় ৮ হাজার ৯২৯ টাকা। অন্যদিকে ড্রাগ ইলিউটিং স্ট্যান্টের দাম ভারতে ২৯ হাজার ৬০০ টাকা, বাংলাদেশি টাকায় যার দাম হয় ৩৬ হাজার ৪০৮ টাকা। তবে দু’দেশের মধ্যে পার্থক্য হলো ভারতে ৬টি প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করে, অন্যদিকে বাংলাদেশ পুরোটাই আমদানি নির্ভর। এক প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে বার্ষিক ১৮ হাজার করোনারি স্ট্যান্টের প্রয়োজন পড়ে। অন্যদিকে ভারতের বার্ষিক চাহিদা ১০ লাখ। 

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=62351&cat=2/