১৩ এপ্রিল ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১১:১৯

ছয়দিনে বাজারমূলধন কমেছে ৬ হাজার কোটি টাকা

টানা ৬ কর্মদিবস দরপতনের ধারায় রয়েছে শেয়ারবাজার। এ সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজারমূলধন ৬ হাজার কোটি টাকা কমেছে। আর ডিএসইর মূল্যসূচক কমেছে ১৩১ পয়েন্ট। কমেছে লেনদেনও। একই অবস্থা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের এ পতনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দায়ী। তারা শেয়ার ধরে না রেখে বিক্রি করে দিচ্ছে। এদিকে পতন ঠেকাতে বুধবার শীর্ষ ৩০টি ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে বৈঠক করেছে ডিএসই। এ সময়ে তাদেরকে পেশাদার এবং দায়িত্বশীল আচরণের পরামর্শ দেয়া হয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে বুধবার ৩২৭টি কোম্পানির ২২ কোটি ৮৫ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ৭১৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের দিনের চেয়ে যা ৬৮ কোটি টাকা কম। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের, কমেছে ১৭০টি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসইর ব্রডসূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৪৬ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ১৪ দশমিক ৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৯৩ দশমিক ৬০ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৯৮ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইর বাজারমূলধন আগের দিনের চেয়ে কমে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

সিএসই : চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বুধবার ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের ২ কোটি ৩ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ৪৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আগের দিনের চেয়ে যা ৩ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের, কমেছে ১১৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১০৫ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৪৯৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সিএসই-৩০ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১২৬ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৫৮২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সিএসইর বাজারমূলধন আগের দিনের চেয়ে কমে ৩ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

শীর্ষ দশ কোম্পানি : বুধবার ডিএসইতে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে সেগুলো হল : লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, ইভেন্স টেক্সটাইল, আইএফআইসি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, আইডিএলসি, রিজেন্ট টেক্সটাইল, তুংহাই ইন্ডাস্ট্রিজ, আরএসআরএম স্টিল এবং বেক্সিমকো লিমিটেড।

ডিএসইতে বুধবার যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হল : রহিম টেক্সটাইল, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ক্যাবলস, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ডেফোডিল কম্পিউটার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, অগ্নিসিস্টেম লিমিটেড, কর্ণফূলী ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন হারভেস্ট এবং ডরিন পাওয়ার।

অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি কমেছে সেগুলো হল : ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, প্রিমিয়ার লিজিং, ইস্টার্ন এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, মতিন স্পিনিং, শাহজীবাজার পাওয়ার, আইডিএলসি, ইসলামিক ফাইন্যান্স এবং রূপালী ব্যাংক।

http://www.jugantor.com/industry-trade/2017/04/13/117295