১৩ এপ্রিল ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১০:৫২

অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান ছাড়া চুক্তি-সমঝোতা ফলদায়ক নয়

সুশাসন

ইকতেদার আহমেদ

ভারত বাংলাদেশের কাছের প্রতিবেশী। স্থল সীমানার তিন দিকে দক্ষিণ-পূর্বাংশের ২৭১ কিলোমিটার ছাড়া বাংলাদেশ ভারত দ্বারা বেষ্টিত। বাংলাদেশের জলসীমা দক্ষিণে উন্মুক্ত হলেও দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে সুদীর্ঘ ভারতের জল ও স্থল সীমা। বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত থাকাকালে সে রাষ্ট্রটির সাথে ভারতের সম্পর্ক ছিল সম্পূর্ণ বৈরী। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ-পরবর্তী পাকিস্তানের সাথে ভারতের বাণিজ্য শূন্যের কোঠায় নেমে গিয়েছিল। বাংলাদেশ অভ্যুদ্বয়-পরবর্তী ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্রমবর্ধমান। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলদেশে সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করা হয়। আর এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ভারত আমদানি করে মাত্র ৬৮২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে যে বিরাট ব্যবধান এর সুফল ভারত ভোগ করছে। এটিকে কমিয়ে এনে ভারতের পক্ষে বাংলাদেশের অনুকূলে পদক্ষেপ গ্রহণ যে সম্ভব, অত্যন্ত দুঃখ ও অনুতাপের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে সে বিষয়ে ভারত মোটেও আন্তরিক নয়। বাংলাদেশের পণ্য ভারতে রফতানি বিষয়ে ভারত থেকে প্রায়ই পণ্যের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় এবং অশুল্ক বাধা ও এন্টিডাম্পিং ডিউটি আরোপের মধ্য দিয়ে এখানকার রফতানিকারক ও ভারতীয় আমদানিকারকদের অযথা হয়রানির মধ্যে ফেলে উভয় দেশের রফতানি ও আমদানি সংশ্লিষ্টদের আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করে সামগ্রিকভাবে উৎসাহে ভাটা সৃষ্টি করা হয়। অথচ ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে সেভেন সিস্টার্সে পণ্য আনানেয়া ব্যয়বহুল হওয়ায় ভারত সেভেন সিস্টার্সভুক্ত বিভিন্ন রাজ্যকে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির সুযোগ দিলে তা বহুলাংশে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৈষম্য হ্রাসে সহায়ক।

ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ে দাবি করে যে, রাষ্ট্র দু’টি পরস্পর বন্ধুভাবাপন্ন। পৃথিবীর কোথাও এরূপ বন্ধুভাবাপন্ন রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে একে অপরকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আবৃত্ত করার নজির নেই। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো সরকারের পক্ষ থেকে কখনো ভারতের কাছে এ বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করা হয়নি। যেকোনো আত্মমর্যাদাশীল জাতির জন্য এ ধরনের বেড়া দ্বারা আবৃত্ত থাকা অবমাননাকর।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীর মধ্যে একমাত্র গঙ্গা বিষয়ে ভারতের সাথে আমাদের চুক্তি হয়েছে। যদিও চুক্তির শর্তানুযায়ী আমরা পানিপ্রাপ্তিতে বঞ্চিত। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে চুক্তি চূড়ান্ত হলেও রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর খোঁড়া আপত্তির অজুহাতে সে চুক্তিটির স্বাক্ষর বিলম্বিত হচ্ছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রতি বছর চোরাচালানের মাধ্যমে বিপুল পণ্য ও মাদক প্রবেশ করছে, যা ভারতের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চোরাচালান রোধে ভারত মোটেও আন্তরিক নয়।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্বেগজনক হারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী কর্তৃক নিরীহ ও নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের হত্যার ঘটনা প্রতিকারবিহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এ ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তিরোধের আশ্বাস দেয়া হলেও বাস্তব চিত্র এখনো সম্পূর্ণ ভিন্ন।

ভারতের সাথে বাংলাদেশের উপরিউল্লিখিত অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধান না হওয়ার কারণে যখন বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তখন দেখা যায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা, শিক্ষা, ভ্রমণ ও কেনাকাটা সংশ্লেষে এ দেশের নাগরিক তথায় যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে তা আমাদের এ দেশটিতে ভারতের রফতানি বাণিজ্যের চেয়ে কম নয়। তা ছাড়া আমাদের দেশে ভারতের প্রায় আট লাখ নাগরিক বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। এরা সম্মিলিতভাবে প্রতি বছর ভারতে যে অর্থ প্রেরণ করে তার পরিমাণ চার বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি, যা ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম প্রবাসী আয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় এ দেশের জনমানুষের প্রত্যাশা ছিল দেশটির সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে এবং বিশেষভাবে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সমস্যার সুরাহা হবে। সফর-পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় সফরকালে ভারতের সাথে সরকারিপর্যায়ে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতাস্মারক এবং বেসরকারিপর্যায়ে ১৪টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সরকারিপর্যায়ে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে সামরিক খাতে ঋণ, সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা প্রভৃতি। এ সফরকালীন সামরিক খাতে ৫ শ’ মিলিয়ন ডলারসহ অপরাপর বিষয়ে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রদান বিষয়ে সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষর হয়। ইতঃপূর্বে ভারতের কাছে থেকে দুই দফায় তিন বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর মাধ্যমে ভারতের কাছ থেকে প্রতিশ্রুত ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় আট বিলিয়ন ডলার।

ভারতের কাছ থেকে আগের দুই দফায় তিন বিলিয়ন ডলারের যে ঋণ নেয়া হয় তা ব্যবহারে পরামর্শক সেবা ও পণ্য ক্রয় বিষয়ে যে শর্ত দেয়া আছে তাতে বাংলাদেশের পক্ষে সে ঋণের অর্থের ব্যয় করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, যার কারণে ঋণের অর্থের ব্যয় সন্তোষজনক নয়। বর্তমান সফরের সময় প্রতিশ্রুত ঋণ বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে আগের ঋণের শর্তের অনুরূপ। এমতাবস্থায় প্রতিশ্রুত ঋণের অর্থ ব্যবহার করে বাংলাদেশ কতটুকু সুফল ভোগ করতে পারবে সে প্রশ্নে এ দেশের সচেতন জনমানুষের মধ্যে অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে অনেক সংশয় রয়েছে।
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠককালীন তার থেকে তিস্তার পানির পরিবর্তে তোরসাসহ তিনটি নদীর পানি বণ্টনের কথা বলা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এ প্রস্তাবটি অভিনব এবং তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে ইতঃপূর্বেকার চূড়ান্ত হয়ে থাকা চুক্তির বিষয়বস্তুর সম্পূর্ণ পরিপন্থী। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নতুন এ প্রস্তাবের কারণে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে গেল তার আভাস সফর-উত্তর সাংবাদিকদের কাছ প্রশ্নোত্তরকালে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে পাওয়া যায়। প্রশ্নোত্তরকালীন আমাদের প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাকে আশ্বাস দিয়েছেন উভয়ে ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এখন প্রশ্ন, উভয়ে বর্তমান মেয়াদে ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় এ চুক্তি স্বাক্ষর হবে, নাকি ভবিষ্যতে পুনঃক্ষমতাসীন হলে স্বাক্ষর হবে? ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মতো তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরে আন্তরিক হলে তা যেকোনো মুহূর্তে যে সম্ভব সে বিষয়টি ভারতের সংবিধান অবলোকন করলে নিশ্চিত হওয়া যায়। ভারতের সংবিধানের ২৪৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পানি রাজ্য সরকারের বিষয় হলেও সেটি দেশটির এক রাজ্যের সাথে অপর রাজ্যের অভ্যন্তরীণ পানি বণ্টন, আহরণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ভারতের সংবিধানের ২৫৩ নং অনুচ্ছেদে আন্তর্জাতিক চুক্তি বিষয়ে যে বিধানাবলির উল্লেখ রয়েছে তাতে বলা হয়েছে, অন্য কোনো দেশের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের রয়েছে। সুতরাং ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে রাজ্য সরকারের দোহাই দিয়ে কোনো দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চুক্তি স্বাক্ষর হতে বিরত থাকা সে দেশের সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়।

পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু প্রণীত ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়’Ñ এ নীতিটি অনুসরণ করে থাকে। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা নীতি সব সময়ই রক্ষণাত্মক এবং সেভাবেই বাংলাদেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ দেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাড়ে তিন ডিভিশন সৈন্য ছিল। এ দেশে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ পরবর্তী তাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জামাদি আমাদের সেনাবাহিনীর হেফাজতে না আসার কারণে বঙ্গবন্ধু এবং তদপরবর্তী যারা আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন তাদের সবাইকে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নসহ সমর সরঞ্জামাদি সংগ্রহে বাস্তবোচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ তার পূর্বসূরিদের বাস্তবোচিত পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে আমাদের দেশ স্বাধীনতার অব্যবহিত পর মিলিটারি অ্যাকাডেমি এবং মাঝপথে এনডিসির মতো প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় সফলতা পেয়েছিল। এ সফলতার কারণেই আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের প্রতিযোগী হলো আমাদের পাশের ভারত এবং উপমহাদেশভুক্ত পাকিস্তান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর পক্ষে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে তাদের কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে আধুনিক সমর প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। উভয় বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হলে এ কাজে আমাদের পাশের ভারত ও উপমহাদেশভুক্ত পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বী বিধায় তৃতীয় যেকোনো উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ আমাদের বেছে নিতে হবে। এরূপ বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে অতীতে আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা ছিলেন তারা যেমন ভুল করেননি, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও ভুল করবেন না সে বিষয়ে এ দেশের সব শ্রেণী-পেশার জনমানুষ আশ্বস্ত হতে চায়।

বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা বিষয়ে যে ঋণ চুক্তির প্রস্তাব পেয়েছে এর চেয়ে প্রায় চার গুণ অধিক ঋণ চুক্তির প্রস্তাব চীনের প্রেসিডেন্টের বিগত বছরে বাংলাদেশ সফরকালীন দেয়া হয়েছিল। যেকোনো ঋণচুক্তি শিথিল শর্তের হলে তা ঋণগ্রহীতা দেশের স্বার্থের উপযোগী। ভারত ও চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশ যে ঋণ প্রস্তাব পেয়েছে সে বিষয়ে আমাদের অর্থনীতিবিদদের একটি বড় অংশের ধারণা চীনের ঋণের প্রস্তাবের শর্ত তুলনামূলক বিচারে শিথিল হওয়ায় তা যদি আমরা যথাযথভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারি সেই ক্ষেত্রে অচিরেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামরিক উভয় দিক থেকেই আত্মমর্যাদাশীল অবস্থানে উন্নীত হবে।


ভারতের সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফরের সময় সরকারি ও বেসরকারিপর্যায়ে যেসব চুক্তি ও সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষর হয়েছে এগুলোর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উপযোগিতা নির্ণয়ের আগে উভয় রাষ্ট্র বিশেষত ভারত যদি আমাদের সাথে তার দীর্ঘ দিনের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হয় তাতে এ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান সুসংহত হওয়াসহ গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে। আর এর ব্যত্যয়ে ঋণ প্রস্তাব এবং চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের পরিধি যতই বিস্তৃত হোক না কেন তা দেশ ও জনগণের জন্য ফলদায়ক নয়।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান ও রাজনীতি বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/211729