১ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার, ১০:৩৪

সাজার পরও পুলিশে বহাল পদোন্নতি!

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েও বরিশালের হিজলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন হাবিবুর রহমান। এমনকি এর মাঝে তার পদোন্নতিও হয়েছে। সাত খুন মামলার রায় ঘোষণার প্রায় আড়াই মাস পর গতকাল শুক্রবার কর্মস্থল থেকে তাকে গ্রেফতার করে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানা পুলিশ। সাত খুন মামলায় হাবিবুর রহমানের ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। হাবিবুর রহমান নড়িয়া উপজেলার কাঞ্চনপাড়া গ্রামের আহাদ বক্সের ছেলে। সাত খুনের ঘটনার সময় তিনি র্যাব-১১-এর অধীনে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি র্যাবের চাকরিচ্যুত লে. কর্নেল সাঈদ তারেকের দেহরক্ষী ছিলেন হাবিবুর। হত্যা মামলা চলাকালেই হাবিবুর রহমান পুনরায় পুলিশ বিভাগে ফিরে এএসআই পদে পদোন্নতি পান। বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান জানান, সাত খুন মামলায় এএসআই হাবিবুর রহমানকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সম্প্রতি বিচারিক আদালত থেকে সাজা পরোয়ানা নড়িয়া থানায় পাঠানো হয়। নড়িয়া থানা পুলিশ সাজা পরোয়ানামূলে গতকাল তাকে গ্রেফতার করে। দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েও এতদিন চাকরি করার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, হাবিবুর রহমান তথ্য গোপন করে চাকরিতে বহাল ছিল। হিজলা থানার ওসি মাসুদুজ্জামান সাজাপ্রাপ্ত হয়েও হাবিবুরের কর্মরত থাকার বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন গত ১৬ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন হাবিবুর রহমান।

 

http://bangla.samakal.net/2017/04/01/281603#sthash.XzCPTqHM.dpuf